পোস্টগুলি

সাম্প্রতিক বিতর্ক ও হযরত আয়েশা (রা.)

ছবি
  আগেও মহানবী (সা) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে নানারকম বিতর্কিত মন্তব্য করা হলেও এমন গর্হিত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়নি। কি সেই বাক্য? অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিন্তু একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে সেই শব্দ মুখে আনা অসম্ভব। তাই আপনাদের সামনে সেই বাক্য উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। সম্ভবত এ জন্যই সৌদি আরব সহ মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফুঁসছে। এর ঢেউ লেগেছে সারা দুনিয়ায়। কয়েকদিন এটা টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এমন অবস্থা। কি সেই মন্তব্য! এটা এতটাই নিকৃষ্ট, অশালীন এবং অশ্লীল যে তা উচ্চারণ করা বা পাঠকদের সামনে পেশ করা সম্ভব নয়। কথা হলো হযরত আবু বকার (রা) তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা)'র সাথে এতে তার কোনো ব্যথা নাই যন্ত্রণা নাই। আয়েশা (রা) কোনদিন আল্লাহর রাসূলের সাথে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে অস্বস্তি প্রকাশ করেনি ৷ ১৪০০ বছর পরে বিজেপির নেতা - নেত্রীদের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ৷ তাদের অন্তরে খুব জ্বালা। মুসলমানদের নবী নাকি চরিত্রহীন ছিলো। শিশু কন্যা আয়েশা (রা) কে নাকি জোর করে বিবাহ করেছেন,,অর্থের লোভ দিয়ে নাকি নিজের লিপ্সা পুরণ করেছেন,, আয়েশা (রা) কে নাকি যৌন হয়রানি ক

আত্মহত্যার পরিসংখ্যান, কারণ, প্রতিরোধ ও ইসলাম কী বলে?

ছবি
  Suicide হচ্ছে আত্মহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ। লাতিন ভাষা Sui Sediur থেকে মূলত Suicide শব্দের উৎপত্তি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করছেন একজন। ধারণা করা হয়ে থাকে, বিশ্বজুড়ে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন নিজের হাতেই। বাংলাদেশের চিত্রও আশঙ্কাজনক। বেসরকারি এক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন আত্মহননে প্রাণ যাচ্ছে ৩৯ জনের। করোনার এই সময়ে আগের বছরের তুলনায় আত্মহত্যা বাড়ে ৪৪ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম।২০১৯-২০ করোনার সময়ে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। যাদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বয়সীরাই বেশি। বর্তমানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার পরিমাণ তিন গুণ।বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ২০২১ সালে ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৭৯ জন।জরিপে উঠে এসেছে যে, আত্মহত্যা করা ১০১ জন শিক্ষার্থী

কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ৫৬৯ তম বার্ষিকী

ছবি
১৪৫৩ সালের ২৯ মে পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচিত হয়েছিল । এ দিনই মুসলিম বাহিনীর হাতে বিজিত হয় তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে নয়নাভিরাম শহর বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল।কনস্টান্টিনোপল তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মর্মরা অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত একটি প্রদেশ। উত্তরে কৃষ্ণ সাগর এবং দক্ষিণে ভূমধ্যসাগরে ঘেরা এ নগরীকে বসফরাস প্রণালি দু’ভাগ করে রেখেছে।পশ্চিম দিক এশিয়ায় অবস্থিত। আর পূর্ব দিক ইউরোপে।পশ্চিমে তাগিরদাগ প্রদেশ এবং পূর্বে স্কোরিয়া ও কোগলি প্রদেশ অবস্থিত। ৩২৪ সালে সম্রাট কনস্টান্টাইন বাইজেন্টিয়াম দখলের পর নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে জায়গাটির নাম দেন ‘কনস্টান্টিনোপল’। এবং ৩৩০ সাল থেকে কনস্টান্টিনোপল রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। পরবর্তী ১১ শতাব্দী যাবত শহরটি বেশ কয়েকবার অবরোধ সম্মুখীন হলেও ১২০৪ সালে চতুর্থ ক্রুসেডের সময় ছাড়া এটি কেউ দখল করতে পারেনি। ইতিহাসে কনস্টান্টিনোপল নগরী বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত। বাইজান্টাইন, কুসতুনতিনিয়া, আসতানা ও ইসলাম্বুল নামসহ আরো অনেক নামেই বিখ্যাত এ নগরী পরিচিত ছিল। আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুসতুনতিনিয়া বলা হয়। মুসলিম বিজয়ের পরে এ জায়গ

হিটলার কেন ইহুদি নিধনে মেতে উঠেন?

ছবি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৬০ লক্ষ ইহুদী হত্যা করেছিলেন এডলফ হিটলার। ইতিহাসে এটি ‘হলোকস্ট’ নামে পরিচিত। হিটলার চেয়েছিল পৃথিবী থেকে ইহুদীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে। তাই তিনি এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। ধারণা করা যায় ইহুদীদের প্রতি হিটলারের অতিমাত্রায় ক্ষোভ এবং ঘৃণাই ছিল এই হত্যাকান্ডের মুল কারণ ।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন বিভৎস ক্ষোভ আর নির্মম ঘৃণা জন্ম নিয়েছিল জার্মান এই রাষ্ট্র প্রধানের মনে ? ইহুদীদের প্রতি হিটলারের এমন ভয়াবহ ঘৃণার সঠিক কারন বের করা অসম্ভব। হিটলার নিজেও সরাসরি কোন কারণ বলে যান নি। ইতিহাসবিদেরাও সঠিক কোন কারন বের করতে পারেনি। তবে কয়েকটি কারন অনুমান করা হয়, যা হিটলারের মনে ইহুদী বিদ্বেষের জন্ম দিয়েছিল। এডলফ হিটলার জার্মানির নাৎসি নেতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ইহুদিদের হত্যা করেছিলেন। হিটলারের ইহুদিদের প্রতি ঘৃণার কারণ হিসেবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের জন্য ইহুদিদের দায়ী করার কথা বলা হয়। যদিও এটা একটা ধারণা মাত্র। হিটলারের ইহুদি হত্যার আসল কারণ হলো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মুহূর্তে ইহুদি নেতা

তাজমহলের তালাবদ্ধ ২২ কক্ষের রহস্য কী?

ছবি
  ভারতে অনেকদিন ধরে একটি কল্পকথা চলে আসছে যে তাজমহল আসলে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। দেবতা শিবের নামে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল।পি এন ওক - যিনি ১৯৬৪ সালে ভারতের ইতিহাস নতুন করে রচনার জন্য একটি ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন - তার এই বইতে লিখেছেন, তাজমহল সন্দেহাতীতভাবেই একটি শিব মন্দির ছিল।২০১৭ সালে বিজেপির এক নেতা সাংগিত সোম বলেন তাজমহল ভারতের ইতিহাসের "একটি কলঙ্ক" কারণ, তার মতে, "বিশ্বাসঘাতকরা ছিল এর নির্মাতা।" এ সপ্তাহেই বিজেপির একজন এমপি দিয়া কুমারি বলেন, শাহজাহান হিন্দু একটি রাজপরিবারের জমি দখল করে তাজমহল বানিয়েছিলেন।তাজমহল ‘তেজো মহালয়’ নামে শিব মন্দির বলে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। তাজমহলের তালাবন্ধ ঘরগুলোতে আসলে কি কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে?ভারতের একটি হাইকোর্টের বিচারকরা তা মনে করেননি। সে কারণেই তারা ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির একজন স্থানীয় পর্যায়ের নেতার আনা একটি অবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।রাজেশ সিং তার আবেদনে দাবি করেছিলেন তাজমহলের ২০টিরও বেশি "স্থায়ীভাবে তালাবন্ধ" কক্ষগুলো খুলে দেওয়া হোক যাতে "এই সৌধের প্রকৃত ইতিহাস" বেরিয়ে আসে।মি. সি

কুতুব মিনার বিতর্ক

ছবি
  সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেকের তৈরি এই সুউচ্চ মিনার চত্বরে একদা হিন্দু মন্দিরের অবস্থান ছিল কি না, তা হতে চলেছে আদালতের বিচার্য বিষয়। গত সপ্তাহে খবর রটে, কেন্দ্রীয় সরকার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে (এএসআই) কুতুব মিনার চত্বরে নতুন করে খননের দায়িত্ব দিয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের ওই যুক্তি মেনে কুতুব মিনার–সংলগ্ন এলাকার ধর্মীয় চরিত্র নির্ধারণে দিল্লির নিম্ন আদালত রায় দিলে হিন্দুত্ববাদীদের পালে নিশ্চিতভাবে আরও হাওয়া লাগত। কারণ, এই মহলের দাবি, মোট ২৭টি মন্দির ভেঙে সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক কুতুব মিনারসংলগ্ন স্থাপত্য গড়েছিলেন। তাদের আরও দাবি, ওই চত্বরে থাকা দেব–দেবীর মূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে পূজার অনুমতি দেওয়া হোক। এর আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বানশালের দাবি ছিল কুতুব মিনারের নাম আসলে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’। অতএব ওই মিনারকে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ ঘোষণা করা হোক। কুতুব মিনার ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত একটি স্তম্ভ বা মিনার, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ ইটনির্মিত মিনার। লাল বেলেপাথরে নিৰ্মিত এই মিনারটির উচ্চতা ৭২.৫ মিটার (২৩৮ ফুট)। মিনারটির পাদদেশের ব্যাস ১৪.৩২ মিটার (৪৭ ফুট) এবং শীৰ্ষঅংশের ব্যাস ২.৭৫ মিটা

নজরুল ও বুলবুল

ছবি
কবি কাজী নজরুল ইসলামের চার বছর বয়সী পুত্র বুলবুল বসন্ত রোগে মারা যায়। সেসময় দাফন-কাফন করতে ১৫০ টাকার মতো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কবির কাছে একটি টাকাও সে সময় ছিলোনা। এত টাকা কোথায় পাবেন। বিভিন্ন প্রকাশনায় লোক পাঠানো হল। না, টাকার তেমন ব্যবস্থা হয়নি। শুধুমাত্র ডি. এম প্রকাশনী দিয়েছিল ৩৫ টাকা। আরো অনেক টাকা বাকি। নানান জায়গায় লোক পাঠিয়ে যখন নিরাশ হন, তখন কবি নিজেই এক প্রকাশকের কাছে টাকার জন্যে যান, প্রকাশক শর্ত দেন এই মুহুর্তেই কবিতা লিখে দিতে হবে, কবি শিশু সন্তানের লাশের বেদনা বুকে চেপে লিখলেন... "ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি, করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি।। ফুল ফুটিয়ে ভোর বেলাতে গান গেয়ে নীরব হ’ল কোন নিষাদের বান খেয়ে; বনের কোলে বিলাপ করে সন্ধ্যা–রাণী চুল খুলি’।। কাল হ’তে আর ফুটবে না হায় লতার বুকে মঞ্জরী, উঠছে পাতায় পাতায় কাহার করুণ নিশাস্‌ মর্মরি’। গানের পাখি গেছে উড়ে, শূন্য নীড় – কণ্ঠে আমার নাই যে আগের কথার ভীড় আলেয়ার এ আলোতে আর আসবে না কেউ কূল ভুলি’।।".... একদিন কলকাতার পুলিশ নজরুলের বাড়িতে নিষিদ্ধ বইয়ের সন্ধানে তল্লাশি করতে গেলো। অনেক খোঁ

সাবেক আফগান অর্থমন্ত্রী আমেরিকায় উবার চালক

ছবি
  আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রী হিসেবে এক সময় দেশটির সংসদে ৬ বিলিয়ন ডলারের বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন খালিদ পায়েন্দা।গত বছরের আগস্টে মার্কিন-সমর্থিত সরকারকে উৎখাত করে কাবুলের ক্ষমতায় তালেবান আসার পর কাবুল ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের ব্যয়ভার মেটানোর জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে উবারের চালক হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এই আফগান অর্থমন্ত্রী। কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে আফগান অর্থমন্ত্রীর পদ ছাড়েন খালিদ পায়েন্দা। প্রধানমন্ত্রী আশরাফ গনির সঙ্গেও তার সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল সেই সময়। গত বছরের ১০ আগস্ট এক টুইট বার্তায় পায়েন্দা বলেছিলেন, ‘আজ আমি ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দেওয়াটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মানের। কিন্তু ব্যক্তিগত অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোর জন্য পদত্যাগ করার সময় এসেছে।’ পরে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে তিনি আফগানিস্তান ত্যাগ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সাথে মিলিত হন।

‘তোমার সন্তান আমার গর্ভে’ চিরকুট লেখে তরুণীর আত্মহত্যা।

এরপরও থেকে যাবে অনৈতিক সম্পর্ক। চলবে সামাজিক অবক্ষয়। কিছু সম্পর্ক পূর্ণতা পাবে। আবার কিছু সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে এই তরুণ কিংবা তরুণী ঝুলিয়ে যাবে নিষ্পাপ, নিরীহ কারো কাঁধে। কোনো সম্পর্কে না জড়িয়েও এই সমাজে অনেক কে ঠকতে হয়। আমাদের সন্তানেরা কোথায় যায়, কী করে, কার সাথে সময় কাটায় তা নিয়ে কী আমরা আদৌ চিন্তিত? এছাড়া আমাদের সন্তানরা আজ ইন্টারনেটের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে, মনে হয় ইন্টারনেটই তার কাছে সব কিছু। সন্তানরা যেন ইন্টারনেটের অপব্যবহার না করতে পারে সে বিষয়েও পিতামাতাকে নজর রাখতে হবে। আমরা যদি আমাদের সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই উত্তমভাবে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতাম তাহলে কি আজ এ ধরনের জঘন্য কাজে জড়িয়ে পরার সুযোগ পেত? অবশ্যই না। আজ আমরা আধুনিকতার নামে সন্তানদের প্রতি কোন খেয়ালই রাখি না। আমরা আমাদের সন্তানদের উত্তম তরবিয়তের প্রতি দৃষ্টি না দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা আমরা কী করে করতে পারি। এজন্যই ইসলাম সন্তান জন্ম দেয়ার পরই তাকে উত্তম শিক্ষায় গড়ে তোলার আদেশ প্রদান করেছে। সন্তান যেন উত্তম গুণের অধিকারী হয় সেজন্য পিতা-মাতাকে সব সময় দোয়াও করতে হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক

হাউ টু মার্ডার ইয়োর হাজব্যান্ড

ছবি
হাউ টু মার্ডার ইয়োর হাজব্যান্ড” অর্থাৎ “কীভাবে আপনার স্বামীকে হত্যা করবেন” বইয়ের লেখিকা ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রফি। ২০১১ সালে বইটি প্রকাশ করেছিলেন ন্যান্সি। সেখানে কীভাবে ধরা না পড়ে হত্যা করা যায় অথবা হত্যা করার বিভিন্ন সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনাও করেন তিনি। এদিকে লেখিকা ন্যান্সি তার স্বামী ড্যানিয়েল ব্রফিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, আর্থিক সমস্যার কারণে ২০১৮ সালের ২ জুন স্বামী ড্যানিয়েলকে গুলি করে হত্যা করেন ন্যান্সি।২৫ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ডের একটি আদালত নিজের স্বামীকে গুলি করে হত্যার দায়ে তাকে দোষী করা হয়।২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে হাজতে আছেন তিনি। যদিও আদালতে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই লেখিকা। বইটি এ ঘটনার প্রায় ৭ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল বলে বিচারক ও জুরিরা জানিয়েছেন।

মসজিদে শিশুদের কাতার

বুঝ হয়েছে, এমন নাবালেগ শিশুদের ব্যাপারে বিধান হলো, যদি শিশু একজন হয়, তাহলে তাকে বড়দের কাতারেই সমানভাবে দাঁড় করাবে। এ ক্ষেত্রে বড়দের নামাজের কোনো অসুবিধা হবে না। একাধিক শিশু হলে সাবালকদের পেছনে পৃথক কাতারে দাঁড় করানো সুন্নাত। তবে হারিয়ে যাওয়া বা দুষ্টুমি করার আশঙ্কা হলে, বড়দের কাতারেও দাঁড়াতে পারবে। (আলবাহরুর রায়েক : ১/৬১৮, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫৭১) ৪অনেকের এ ধারণা রয়েছে যে নাবালেগ শিশুদের বড়দের কাতারের মধ্যে দাঁড় করালে পেছনের মুসল্লিদের নামাজ হয় না বা নামাজ ত্রুটিযুক্ত হয়, আসলে ব্যাপারটি সে ধরনের নয়। বরং যদিও জামাতের কাতারের সাধারণ নিয়ম ও সুন্নাত হলো, প্রাপ্তবয়স্করা সামনে দাঁড়াবে ও অপ্রাপ্তবয়স্করা পেছনে থাকবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে নামাজ অশুদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ জন্য শিশু একা হলে বা পেছনে দুষ্টুমির আশঙ্কা হলে বড়দের কাতারে সমানভাবে দাঁড় করানোই উত্তম।

কুরআনের সুরের জাদুকর

ছবি
  আব্দুল বাসিত মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ,যিনি কারি আব্দুল বাসেত নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন মিশরীয় কারি। কুরআনের সুরের জাদুকর। কুরআনের সুমধুর তেলাওয়াতের কারণে বিশ্ববিখ্যাত কারি হিসেবেই স্বীকৃতি লাভ করেন।কারি আব্দুল বাসিত ১৯২৭ সালে মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তার বংশের প্রথম কারি। তার দাদা ছিলেন ধর্মীয় শিক্ষক। আব্দুল বাসিত ছোটবেলা থেকে কুরআন তেলাওয়াতকে ভালো বাসতেন। তিনি ভালোবাসতেন কারিদের মত কোরআন তেলাওয়াত করতে। এরি ধারাবাহিকতায় তিনি মাত্র দশ বছর বয়সেই কুরআন শরীফ মুুখস্ত করেন । কারি আব্দুল বাসিত কে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মহল্লার মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ানোর সুযোগ পান। তিনি ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে তিনটি বিশ্ব কেরা'আত প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। কারি বাসিত ছিলেন প্রথম হাফেজ, যিনি তার কুরআন পাঠ্যক্রমের বাণিজ্যিক রেকর্ডিং করেন, এবং তিনি ছিলেন মিশরের কারি পরিষদের প্রথম সভাপতি। কারি আব্দুল বাসিতের সুললিত কন্ঠের কুরআন তেলাওয়াত যে কাউকে করত মোহমুগ্ধ ও মোহাচ্ছন্ন। তার সুললিত কন্ঠের কুরআন তেলাওয়াত ও সুরের মূর্ছনায় আনন্দ লাভ করেছেন মসলিম,অমুসলিম সকলেই। অনেক এ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তার সুললিত কন্

ইমরান খানের পতনে একজন মাওলানা

ছবি
মাওলানা ফজলুর রহমান একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের (জেইউআই এফ) বর্তমান সভাপতি। ২০০২ সালে মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে ওঠে পাকিস্তানের সবকয়টি ইসলামি দলকে সঙ্গে নিয়ে মাওলানা ফজলুর রহমান ‘মুত্তাহিদা মজলিসে আমল’ বা এম এম এ নামে জোট গঠন করে নতুন এক শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হন। কারচুপি সত্ত্বেও পরবর্তী নির্বাচনে ৭২টি আসন লাভ করেছিল এই জোট।১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য। সাবেক মন্ত্রী ও ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।কট্টরপন্থী হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি কট্টর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। বাম ও ডানপন্থীরাও তাঁর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন। জেইউআই-এফ দলের ডাকে হাজার হাজার মাদ্রাসাশিক্ষার্থী এক হতে পারে। তবে দলটি কখনোই এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এককভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও জেইউআই এফ সরকার গঠনে খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেছে। ইমরান খানের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে ফজলুর রহমানের। ইমরানের সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করায় তিনি ইমরানকে ‘ইহুদি’ বলেও উপহাস করেছেন। ইমরান খানও পাল্টা তাঁকে `‘মোল্লা ডিজে

রকস্টার থেকে ধর্মপ্রচারক জুনায়েদ জামশেদ

ছবি
জুনায়েদ জামশেদ খান (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ – ৭ ডিসেম্বর ২০১৬) ছিলেন একজন পাকিস্তানি গায়ক-গীতিকার, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন ডিজাইনার, অভিনেতা এবং ইসলাম ধর্মপ্রচারক। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন একজন পপ-তারকা। তাঁর মিউজিক-ইন্ডাষ্ট্রি Vitalsings -এর গান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। তার অ্যালবাম পাকিস্তানের সঙ্গীত চ্যানেল চার্টে শীর্ষস্থানে। বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জামশেদের ছেলে জুনায়েদ লাহোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন করেন৷ এরপর শখের বশেই রাহেল হায়াত ও শাহজাদ হাসানের সঙ্গে ১৯৮৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশাত্মবোধক গান ‘দিল দিল পাকিস্তান’ গাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির প্রথম পপ ব্যান্ড ‘ভাইটাল সাইন’৷ তাদের প্রথম হিট এ্যালবাম ‘দিল দিল পাকিস্তান’ এনে দেয় আকাশচুম্বী খ্যাতি। এই গানটিই ঘুরিয়ে দেয় তার জীবনের মোড়। ১৯৯৪ সালে পিটিভির ‘ঢুন্ডলে রাস্তে’ সিরিজটির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে জুনাইদ এবার নাম লেখালেন অভিনেতার খাতায়! অভিনেতা হিসেবে ছোট একটি ইনিংস খেলে জুনাইদ এবার মন দিলেন সলো গানের ক্যারিয়ারে। ১৯৯৮ সালে ব্য

আমেরিকার বিরোধিতাকারী পাক শাসকদের পরিণতি

  পাকিস্তান সৃষ্টির পর ৭৪ বছরে এ পর্যন্ত ২২ জন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন তিনি। এর আড়াই বছরের মাথায় খুন হতে হয় তাঁকে। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির কোম্পানিবাগে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা না গেলেও পরবর্তী সময়ে এর রহস্য উন্মোচিত হয়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ৬৪ বছর পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক গোপন নথি থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানের তৎকালীন সরকারের সহায়তায় লিয়াকত আলী খানকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। গোপন ওই নথির বরাতে জানা যায়, গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে মার্কিন তেল কোম্পানিগুলোকে ইরানে তেল–সংশ্লিষ্ট চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য লিয়াকত আলী খানকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময়

জুমার খুতবার সময় কথা বলা

ছবি
খুতবা জুমার নামাজের শর্ত বা ফরজ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য শোনা ওয়াজিব। তাই খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন- জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে ‘চুপ করো’ বলো সেটাও অনর্থক। ” (বুখারি, হাদিস: ৮৯২; মুসলিম, হাদিস: ২০০৫) হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়।

সুরমা আসলে কী ?

ছবি
অনেকের ধারণা সুরমা তুর পাহাড়ে পাওয়া যায়। হজরত মুসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ে আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখতে চেয়েছিলেন তখন আল্লাহর তাজাল্লিতে পাহাড় ভস্ম হয়ে গিয়েছিল। সেই ভস্মীভূত পাহাড় থেকেই সুরমার উৎপত্তি ও ব্যবহার—এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুরমা একটি খণিজ দ্রব্য। এর সঙ্গে তুর পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, অ্যান্টিমনি। অ্যান্টিমনি হলো একটি মৌলিক পদার্থ। এটি একটি চকচকে ধূসর ধাতুকল্প, এটি প্রকৃতিতে মূলত সালফাইড খনিজ স্টিবনেট হিসেবে পাওয়া যায়। অ্যান্টিমনি যৌগগুলো প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত ছিল এবং গুঁড়া করে চিকিৎসাক্ষেত্রে ও প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হতো। এটিকে প্রায়ই আরবি কাজল নামে ডাকা হতো। এর সাথে তুর পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। মুসা (আ.) এর আল্লাহকে দেখার ইচ্ছা ও তুর পাহাড়ের মূল ঘটনাটি সত্য। কোরআন মাজিদের সূরা আরাফের পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। কিন্তু কোথাও এই ঘটনার সাথে সুরমাকে জড়িয়ে দেয়ার কথাটি উল্লেখ নেই। অতএব এই ধরনের কথা পরিহার করা জরুরি। চোখের যত্নে রাসুলুল্লাহ (সা( সুরমাকে এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে সাহাবায়ে কেরামকে তিনি এটি লাগানোর ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি

আতর কিভাবে এলো ?

ছবি
আতর শব্দটি পারসিয়ান শব্দ ইতির থেকে এসেছে, যার অর্থ সুগন্ধি। লাতিন শব্দমূল 'পার' ও 'ফিউম' (ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে) থেকে আমাদের কাছে পারফিউম বা সুগন্ধির আত্মপ্রকাশ। উদ্ভিদ বা ফুলপাতাকে পেষণ করে সরাসরি পানি বা তেলের মধ্যে দিয়ে দেয়ার মাধ্যমে মানুষ প্রথম এই সুগন্ধি তৈরি করে। সুগন্ধির প্রতি অনুরাগ নবী-রাসুলদের আদর্শ। সুগন্ধি ও সুরভির ব্যবহার রাসুল (সা.)-এর সুন্নতও বটে। বিভিন্ন উপলক্ষে ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সুগন্ধি-আতর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আতর-সুরভিকে পবিত্রতার প্রতীক মনে করা হয়। লোকসমাগমে, জুমার দিন ও ঈদের দিনে সুগন্ধি ব্যবহারের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন তোমরা যথাসম্ভব সুগন্ধি ব্যবহার করো।’ (নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ১৩৫৮) পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মের আচার-অনুষ্ঠানে সুগন্ধি ব্যবহারের রীতি দেখা যায়। এই হিসাবে বলা যায়, ধর্মের ইতিহাসের মতো সুগন্ধির ইতিহাসও অত্যন্ত প্রাচীন। পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থগুলোর বর্ণনায় সুগন্ধি ব্যবহারের কথা জানা যায়। আতরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব) নামই পাওয়া যায়

হাশরের ময়দানে সূর্যের অবস্থান এবং কারা উত্তাপ থেকে রক্ষা পাবে?

ছবি
জ্বলন্ত গ্যাসের বিশাল এক অগ্নিগোলক আমাদের সূর্য। এর আলো এবং তাপ পেয়েই পৃথিবী হয়েছে সবুজ শ্যামল। সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস , যেটা ফিউশন এর জন্য পর্যাপ্ত। সূর্যের কেন্দ্রে উৎপাদিত এই তাপ বিভিন্ন পর্যায় পার হয়ে পৃথিবীতে আসে এবং এটাই প্রাণের উৎস। পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব আনুমানিক ১৪.৯৬ কোটি কিলোমিটার। প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরের সূর্য থেকে আগত পৃথিবীর বুকে তাপমাত্রা কোথাও কম আবার কোথাও বেশি। নাসার তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ভূ-পৃষ্টের গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠেছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল।থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। এটা হলো দ

Qatar

ছবি
Qatar is a country in the Persian Gulf. Qatar is bordered by Saudi Arabia to the south and Bahrain to the west. Like the Arabian Peninsula, Qatar is a hot and dry desert. There are no surface water bodies and the number of animals and plants is negligible. Capital- Doha Area: 11,517 sq km area. It is the 157th largest country in the world in terms of area. The population is about 26 lakh 41 thousand. There are more males than females in Qatar. Religions- About 8% of the population believe in Islam , 13.7% in Christianity , 13.7% in Hinduism and 3.1% in Buddhism. Language: Arabic is the official language of Qatar. About 56% of the people here speak Arabic. About a quarter of the people speak Persian. The rest speak other languages ​​of the Indian subcontinent and the Philippine Islands. English is used in international affairs. Currency -Rial. History: Life has been found in Qatar since prehistoric times. According to archaeologist de Cardi, life existed in Qatar. The weather was rainy