পোস্টগুলি

অক্টোবর ১৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইহুদিদের প্রতারণা

আপনি কি জানেন আজ ৮০% এর বেশি ইহুদি এবং যারা প্যালেস্টাইনে বসবাস করছে তারা বংশগতভাবে সেমিটিক নয়। তারা খাজার তুর্কিদের বংশধর। যারা সপ্তম শতাব্দীতে ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। এই ইহুদিদেরকে আশকেনাজি ইহুদিও বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, 'ইসরায়েল' বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একজন পোলিশ খাজার ইহুদি। প্রকৃত সেমিটিক হলো ফিলিস্তিনি মুসলমানরা। তাই ইহুদি বর্ণনা অনুসারে প্যালেস্টাইন ("প্রতিশ্রুত ভূমি") প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের অন্তর্গত যারা প্রকৃত সেমিটিক।যারা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা এনটি সেমেটিক। বর্তমানের বেশিরভাগ ইহুদিই ( ৯৩%) ইহুদি হযরত ইব্রাহিমের (আ) বংশধর না! তাদের সাথে মধ্যপ্রাচ্যেরও কোন সম্পর্ক নেই!! তাদের পূর্বপুরুষদেরও কেউ কোন কালেই মধ্যপ্রাচ্যে ছিল না! তাদের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের কারোরই রক্তের কোন সম্পর্ক নেই! ৭০০ খৃষ্টাব্দের পর সারা পৃথিবীতে তিনটি সুপারপাওয়ার সাম্রাজ্য ছিল।১. রোমান এম্পায়ার (খৃষ্টানদের) ২. মুসলিম খিলাফত (মুসলিমদের) ও. ৩. খাজার সাম্রাজ্য (Pagan বা প্রকৃতি পূজকদের, এই খাজাররা খুবই শক্তিশালী ছ...

শিক্ষক দিবসের নিবেদন

  খলীফা হারুনুর রশীদের দুই পুত্র আমীন এবং মামুন। দুজনই ইমাম কাসায়ী (রহ.) এর ছাত্র ছিল। একবার তাদের ওস্তাদ মজলিস থেকে উঠলেন। দেখেই দুই ভাই ওস্তাদের জুতা সোজা করার জন্য উদ্যত হলো। দুজনের মধ্যেই তর্ক হয়ে গেল কে জুতো সোজা করবে বলে। শেষে, দুজনেই এই সিদ্ধান্তে একমত হল যে, দুজনেই একটা করে জুতা সোজা করবে। এই ঘটনা যখন খলিফা হারুনুর রশীদের কানে গেল, তখন তিনি ইমাম কাসায়ী (রহ) –কে ডেকে পাঠালেন। উনি যখন এলেন তখন খলিফা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মানুষের মধ্যে কে সর্বাধিক সম্মানীয়?’ ইমাম সাহেব বললেন, ‘আমার মতে খলিফার থেকে বেশি সম্মানীয় ব্যক্তি আর কে হতে পারে!’ খলিফা বললেন, ‘সম্মানীয় ব্যক্তি তো তিনিই যিনি মজলিস থেকে উঠলে খলিফার দুই পুত্র তাদের ওস্তাদের জুতো সোজা করার জন্য পরস্পরের মাঝে তর্ক করে, কে জুতো সোজা করে দেবে বলে’। ইমাম কাসায়ী (রহ) ভেবেছিলেন, খলিফা হয়ত ঐ ঘটনায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সে জন্য তিনি চিন্তিত হয়ে চুপ থাকলেন। খলিফা বললেন, ‘শুনুন! আপনি যদি আমার পুত্রদ্বয়কে ঐ রকম আদব ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে নিষেধ করতেন, তাহলে আমি আপনার প্রতি খুব বেশি অসন্তুষ্ট হতাম। আগামীতে এই শিক্ষা অব্যাহত রাখবেন, নয়লে আপনি ...

নমরুদের করুণ মৃত্যু

পৃথিবীতে প্রথম খোদা দাবিকারী নমরুদ প্রায় ৪০০বছর রাজত্ব করে। ইতিহাসবিদরা নমরুদকে আল-জব্বার বা চরম স্বেচ্ছাচারী হিসেবে বিবেচনা করে। যার স্বেচ্ছাচারিতা তার শক্তি, ক্ষমতা ও দম্ভের প্রকাশভঙ্গি ছিল। ইবরাহিম আ. কে নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। নমরুদ আল্লাহর বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিল। হজরত ইবরাহিম (আ.) দূরে আকাশের দিকে আঙুল দিয়ে দেখালেন। দূরে কালো রঙের একটা মেঘ দেখা যাচ্ছিল, যখন সেটা কাছে চলে এলো, লাখ লাখ মশার গুনগুন শব্দে ময়দান মুখরিত হলো। কিন্তু নমরুদ অবজ্ঞার সুরে বলল, এ তো মশা! তুচ্ছ প্রাণী, তা-ও আবার নিরস্ত্র। এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সৈন্যের মাথার ওপর মশা অবস্থান নিল। অতঃপর তাদের বুঝে ওঠার আগেই মশাগুলো তাদের নাক দিয়ে মস্তিষ্কে প্রবেশ করল। তারপর দংশন করা শুরু করল। সৈন্যদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলো। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে তীরন্দাজরা ঊর্ধ্বে তীর নিক্ষেপ আর পদাতিক সেনারা নিজেদের চারপাশে অন্ধের মতো তরবারি চালাল, যার ফলে একে অপরকে নিজেদের অজান্তেই আহত বা নিহত করে ফেলল। মশার সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে নমরুদ পালিয়ে প্রাসাদে চলে এলো। এ সময় একটি দুর্বল লেংড়া মশা তাকে তাড়া করল এবং কিছুক্ষণ মাথ...

হযরত ওমর

  "অর্ধ পৃথিবী করেছ শাসন ধুলার তখতে বসি খেঁজুর পাতার প্রাসাদ তোমার বারে বারে গেছে খসি। " - কাজী নজরুল ইসলাম হযরত ওমর পরাশক্তি-প্রধান হওয়া সত্ত্বেও তিনি শেষ দিন পর্যন্ত যাপন করেছেন সাধারণ মানুষের জীবন। কোনো দেহরক্ষী রাখতেন না। পোশাক-আশাক চালচলন দেখে কেউ তাকে সাধারণ থেকে আলাদা করতে পারত না। একবার বাইজেন্টাইন শাসনাধীন এলাকা থেকে এক দূত এলো। মদিনায় এসে একজনকে বলল, তুমি তোমাদের রাজার কাছে আমাকে নিয়ে চলো। রাজপ্রাসাদ কোথায় আমাকে দেখিয়ে দাও। লোকটি হেসে তাকে বলল, ঐ যে দূরে খেজুর বাগান দেখছ। ওখানে যাও। আমি ওদিক থেকেই আসছি। দেখেছি গাছের ছায়ায় তিনি ঘুমাচ্ছেন। দূত সব দেখে দেশে ফিরে গিয়ে রাজাকে বলল, যুদ্ধ করে কোনো লাভ নেই। যে রাজা কোনো দেহরক্ষী ছাড়াই গাছের ছায়ায় ঘুমাতে পারে, তার সাথে যুদ্ধ করে আমরা কোনোদিন জয়ী হতে পারব না। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুমের সঙ্গে মিশ্রণ করেনি, তাদের জন্য রয়েছে নিরাপত্তা এবং তারাই সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা : আনআন, আয়াত : ৮২)

স্যার সৈয়দ আহমদ খান

ছবি
ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ভারতের মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার অগ্রদূত সৈয়দ আহমদ খান। তার চিন্তাধারা ও কাজকর্ম ভারতের মুসলিমদের মধ্যে একটি নতুন চেতনার জন্ম দিয়েছিল। আলিগড় আন্দোলনের প্রবর্তক ছিলেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান। পিছিয়ে পড়া মুসলমান সম্প্রদায়কে যুক্তিবাদী আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে যে আন্দোলনের সূচনা করেন তা আলিগড় আন্দোলন নামে খ্যাত। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহের পর অনগ্রসর মুসলিম সমাজে কিছু কিছু সংস্কারের প্রয়োজন অনুভূত হয়। হিন্দুদের তুলনায় অনগ্রসর পাশ্চাত্য শিক্ষায় উদাসীন মুসলিম সমাজের দুরবস্থার কথা সৈয়দ আহমদ অবগত ছিলেন। ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষাকে প্রগতির যথার্থ সোপান বলে মনে করতেন তিনি এজন্য মুসলমানদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রসারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ১৮৬৪ সালে গাজীপুরে একটি ইংরেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ইংরেজি ভাষায় লেখা মূল্যবান কিছু কিছু বই উর্দু ভাষায় অনুবাদ করে তা মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞান সমিতি (Scientific Society) নামে একটি সংস্থার ...

করিম বেনজেমা

ছবি
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ‘ব্যালন ডি’অর’ প্রথমবারের মতো ওঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার হাতে।করিম মোস্তফা বেনজেমা হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা।আগে ২০০৮ ও ২০২১ সালের মধ্যে ব্যালন ডি’অরের জন্য ১০ বার মনোনীত হলেও কখনো হাতে ওঠেনি ফুটবলের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার এ পুরস্কারটি। তবে এবার তিনি পারফরম্যান্স নৈপুণ্যে আদায় করে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ব্যালন ডি’অর।করিম বেনজেমা এবারের ব্যালন ডি’অর জিতবেনই। কেবল জিতবেন না, বিশাল ব্যবধানেই জিতবেন। আর যদি সেটি না হয়, তবে ব্যালন ডি’অরের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন চিরকালই থাকবে।’- ফুটবল ভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল.কমের একটা আর্টিকেলে এভাবেই বেনজেমার ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে লেখা ছিল। ২০১৫ সালের পর থেকেই ফ্রান্সের জাতীয় দলে নিষিদ্ধ ছিলেন করিম বেনজেমা। বছরের পর বছর ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত খেললেও জাতীয় ...

স্লামালাইকুম/ ছায়ামকুম

সালাম হল মহান আল্লাহর অন্যতম নাম এবং সালাম মানে শান্তি। সুতরাং সালাম দিয়ে ও নিয়ে এ দু‘আই করা হয় যে, আস্-সালাম আল্লাহ তোমার সাথী হোক অথবা তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইয়াহুদীরা রাসুল (সা) কে সালাম দিত; বলত, ‘আসসা-মু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! (তোমার উপর মৃত্যু বর্ষণ হোক, হে মুহাম্মাদ!)’ ‘আসসা-ম’ এর অর্থ মৃত্যু। তারা রাসুল (সা) কে মৃত্যুর বদদোয়া দিত। তাই রাসুল (সা) বললেন, ‘‘ইহুদীরা বলে, ‘আসসা-মু আলাইকুম।’ সুতরাং ওরা যখন তোমাদেরকে সালাম দেবে তখন তোমরা তার উত্তরে বল, ‘অ আলাইকুম।’’ ‘আস্-সালামু আলাইকুম’-এর জবাবে ‘অআলাইকুমুস্-সালামু অরাহমাতুল্লাহ’ এবং ‘আস্-সালামু আলাইকুম অরাহমাতুল্লাহ’-এর জবাবে ‘অআলাইকুমুস্-সালামু অরাহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ’ বলা উত্তম। নচেৎ সালামদাতা যে বাক্যে সালাম দেবে, সেই বাক্য দিয়েই তার উত্তর দেওয়া জরুরী। সালাম অপেক্ষা তার উত্তর যেন নিকৃষ্টতর না হয়, নচেৎ সম্প্রীতির স্থানে বিদ্বেষ জন্ম নেবে।

কোরআনের হাফেজ

  আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় আমিই কোরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।( সুরা হিজর আয়াত ৯) প্রতি যুগেই লাখো লাখো বরং কোটি কোটি মুসলিম যুবক-বৃদ্ধ এবং বালক ও বালিকা এমন বিদ্যমান থাকা, যাদের বক্ষ-পাজরে আগাগোড়া কুরআন সংরক্ষিত রয়েছে। কোন বড় থেকে বড় আলেমের সাধ্য নেই যে, এক অক্ষর ভুল পাঠ করে। তৎক্ষনাৎ বালক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে অনেক লোক তার ভুল ধরে ফেলবে। প্রায় ১৪ শত বছর আগের তুলির সাহায্যে লেখা আর বর্তমান কম্পিউটার যুগের কোরআনের মধ্যে বিন্দুমাত্র ফারাক নেই। এমন উদাহরণ আর কী আছে? নিশ্চয়ই নেই।এর কারণ হচ্ছে, কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এর সংরক্ষক আল্লাহতায়ালা স্বয়ং। পবিত্র কোরআনের মতো এমন অলৌকিক নজির আর কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হাফেজ বলতে বুঝানো হয়, যার সমস্ত কোরআন মুখস্থ আছে। সারাবিশ্বে হাফেজে কোরআনদের বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়, সম্মান করা হয়। কোরআন ব্যাতীত পৃথিবীতে আর কোনো বই কী আছে, যার শুরু থেকে শেষ অবধি কেউ মুখস্থ করেছেন? মনে হয় নেই, কারণ তা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক হাফেজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে একটি জরিপ সংস্থা।সংস্থাটি জানিয়েছে, এটা একটি মত...