পোস্টগুলি

মার্চ ১২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বোরকা ফ্যাশন হিসাবে নয় , হোক আল্লাহর ভয়ে

ছবি
ইসলামসম্মত পোশাক বলতে সেই পোশাককে বোঝায়, যা লজ্জাস্থান আবৃতকারী, মানানসই, সাদৃশ্যবর্জিত, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, বিলাসিতাবিবর্জিত, অহংকারমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ।বোরকার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া, যাতে করে পরপুরুষের দৃষ্টি শরীরে না পড়ে। উপরোক্ত উদ্দেশ্য শরীর ঢেকে দেয়, এমন প্রতিটি বোরকা দ্বারাই অর্জিত হয়ে যায়।তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেনো বোরকা এমন না হয়, যার ওপরের অংশই পুরুষদের আকর্ষিত করে। এ হিসেবে কালো বোরকা পরিধান করাই সর্বোত্তম।যদি পরপুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা বোরকা পরিধান করা হয়, তাহলে খারাপ নিয়তের কারণে ওই নারী গোনাহগার হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণা তথ্যের বিবেচনায় দেশে বোরকা ও হিজাব ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ। এ পোশাক বাবদ একজন নারী বছরে গড়ে এক হাজার টাকা ব্যয় করলেও দেশে বোরকা ও হিজাবের বাজার দাঁড়ায় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি।কারণ বিশ্ববাজারে বোরকা ও হিজাবের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে দেশে যেসব উন্নতমানের বোরকা ও হিজাব দেখা যায় তার সবই প্রায় পাকিস্তান, ইরানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে আসে।‘বাংলাদেশ ইয়ুথ সার্ভে’ শীর

গণভোট দিয়ে সুইজারল্যান্ড বোরকা নিষিদ্ধ করল

ছবি
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড ৭ মার্চ গণভোট দিয়ে বোরকা নিষিদ্ধ করল। গণভোটের সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, সামান্য ব্যবধানে এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ৫১.২% এবং বিপক্ষে ৪৮.৮% ভোট পড়েছে।এর ফলে মুসলিম নারীদের বোরকা বা নিকাবসহ প্রকাশ্যস্থানে মুখ-ঢাকা পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট পড়ল। তবে দেশটির ২৬টি ক্যান্টনের (প্রশাসনিক অঞ্চল) ছয়টিতে বেশির ভাগ মানুষ এই প্রস্তাব সমর্থন করেননি। এই ছয় ক্যান্টনের মধ্যে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় তিন শহর জুরিখ, জেনেভা ও বাসেল।এ ছাড়া রাজধানী বার্নের বেশির ভাগ মানুষও ছিলেন বিপক্ষে। বোরকা ও নিকাব বিরোধীরা তাদের প্রচারাভিযানে নিকাব-পরা মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে "উগ্র ইসলাম প্রতিহত করার" শ্লোগান দিয়েছিল।তাদের বিলি করা একটি প্রচারপত্রে বোরকা পরা এক নারীর চিত্র ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, ‘ইসলামী উগ্রবাদ থামাও’।উল্লেখ্য সুইজারল্যান্ডে মাত্র ৩০ জন নারী বোরকা পরেন। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮৬ লাখ জনসংখ্যার সুইজারল্যান্ডে মাত্র পাঁচ দশমিক পাঁচ ভাগ মুসলিম।ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে

হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন

ছবি
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাদ্রাসায় হেফজ শ্রেণির ছাত্র ছিল তাওহিদুল ইসলাম। পড়া মুখস্থ করতে না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাওহিদুলের পাজরের হাড় ও একটি পা ভেঙে দেন। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন ওই শিক্ষক।ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। তাওহিদুল তখন ১৮ পারা কোরআন মুখস্থ করেছিল, কিন্তু মাদ্রাসা থেকে ছেলের লাশ বাড়িতে আসবে কখনও ভাবেননি তার মা। তার মায়ের দাবি, তাওহিদুল মাঝেমধ্যে স্বপ্নে বলতো ‘হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন।’শেষ পর্যন্ত তাওহিদুল মারা যায় কিন্তু এরপরও থেমে যায়নি শিশু নির্যাতনের ঘটনা। কোমলমতি শিশুদের পিটিয়ে জখম করে কুরআনের হাফেজ বানাতে হবে এই শিক্ষা তারা কোথায় পেলেন?অথচ ইসলাম শিশুদের আদর ভালোবাসা দিয়ে লালন পালনে গুরুত্বারোপ করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা) শিশুদের দেখলে খুব খুশী হতেন। তাদের নিকটে যেতেন, সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করতেন, খোঁজ-খবর নিতেন, মাথায় হাত বুলাতেন, কোলে নিতেন, কাঁধে উঠাতেন, আদর-স্নেহ করতেন, খুব ভালবাসতেন। এমনকি চুমু খেতেন এবং দো‘আ করতেন। তাদের সাথে তিনি আকর্ষণীয়, রসাত্মক ও

শবে মেরাজের ১৪ দফা

ছবি
১.একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কারও শরিক না করা, ২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করা, ৩. আত্মীয়স্বজন, এতিম ও মুসাফিরের হক মেনে চলা, ৪. অপচয় না করা, ৫. অভাবগ্রস্ত ও প্রার্থীকে বঞ্চিত না করা, ৬. হাতকে গুটিয়ে না রেখে সব সময় কিছু দান করা, ৭. অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা না করা, ৮. দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা না করা, ৯. ব্যভিচারের নিকটবর্তীও না হওয়া, ১০. এতিমের সম্পদের ধারে-কাছেও না যাওয়া, ১১. যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তা অনুসন্ধান করা, ১২. মেপে দেওয়ার সময় সঠিক ওজন পরিমাপ করা, ১৩. প্রতিশ্রুতি পালন করা, ১৪. পৃথিবীতে দম্ভভরে চলাফেরা না করা।

ফেসবুকীয় পাপ

ছবি
মানুষের মৃত্যুর পর তার আমল করার পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন পাপ ও পূণ্য অর্জনের পথও বন্ধ । হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করে থাকে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার (মৃত ব্যক্তির) সঙ্গে থেকে যায়। জিনিস তিনটি হলো- তার পরিবার; তার ধন-সম্পদ ও তার আমলনামা। এর মধ্যে পরিবার ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে। তার সঙ্গে শুধুমাত্র আমলনামায় থেকে যায়। (বুখারি ও মুসলিম) দুনিয়ার বুকে রেখে যাওয়া কিছু ভালো কিংবা খারাপ আমলের ছোয়াব কবর থেকে সে বখশিস হিসেবে পেতে থাকে। কবরে বসে যদি সে দুনিয়ার ভালো কাজের ছোয়াব পেতে পারে তাহলে দুনিয়ার বুকে করে যাওয়া খারাপ কৃতকর্মের ফলাফল পেতেও সে বাধ্য। কবরে যে সব ছোয়াব পৌঁছে -, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩টি আমল বন্ধ হয় না- ১. সদকায়ে জারিয়া, ২. এমন জ্ঞান (ইলম)- যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দোয়া করে। ( সহিহ মুসলিম - ৪৩১০)অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)

শুধু কি মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতন হচ্ছে?

ছবি
  মাদ্রাসায় কোনো ঘটনা ঘটলে যতটা না মার্কেটিং হয় অন্য ঘটনায় সেটি দেখা যায় না। অপরাধকে স্থান কাল পাত্রভেদে অপরাধ হিসেবেই সাব্যস্ত করা উচিত। কোন ঘটনা ঘটলেই মাদ্রাসাকে নিয়ে যেভাবে তুলকালামকান্ড ঘটে তা নজিরবিহীন। শুধু কি এসব ঘটনা মাদ্রাসায় ঘটে? মাদ্রাসা বন্ধ করার হুমকি দেন, হুজুরদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেন। রাজধানীর ইংরেজি মাধ্যম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন ওরফে শাহনূরীকে ধর্ষণের পর আপনারা কতটুকু প্রতিবাদে সরব হয়েছেন? বাংলাদেশে পারিবারিকভাবেও অনেক শিশু নির্যাতনের শিকার। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, এক থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় ৮৯ শতাংশ সমীক্ষা চলাকালীন আগের এক মাসে অন্তত একবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। (প্রথম আলো) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ‘শিশু পরিস্থিতি রিপোর্ট মতে, ২০২০ সালে একহাজার ৫২১টি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়ে শিশু ১০৮৮ আর ছেলে শিশুর সংখ্যা ৪৩৩। নির্যাতনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৬২৬টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ৬১৬ এবং ছেলে শিশুর ১০টি। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে

নারী কন্ঠের পর্দা

ছবি
  নারীদের কথার আওয়াজকেও পর্দার অন্তর্ভুক্ত করে অপ্রয়োজনে পরপুরুষের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।একান্ত প্রয়োজনে কথা বলতে হলেও সুরা আহযাবের ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। যাতে নারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কোনো পুরুষ আকর্ষণবোধ না করেন। কন্ঠ দেখা যায় না। শোনা যায়, ভাবা যায়, অনুভব করা যায়। কথায় আছে 'কণ্ঠে জাদু আছে', একথা সর্বত সত্যি, যার কন্ঠে জাদু আছে, সে জগতকে মোহিত করে। কন্ঠে সুর, কণ্ঠে কথা আর তা দিয়েই প্রথম আকর্ষণ, প্রথম ভাল লাগা তৈরি হয়। নারীদের কন্ঠ কেন এতো সুরেলা? মেয়েদের দেহে অ্যান্ড্রোজন হরমোনের প্রভাব অনেক কম থাকায় স্বাভাবিক নিয়মে তাদের স্বরযন্ত্রের আকার ও গঠন পাল্টায় না। ছেলেদের স্বাভাবিক কথাবার্তার সময়ে কম্পাঙ্ক সেকেন্ড ১২০ বার হয় অথচ মেয়েদের কম্পাঙ্কের সংখ্যা পাওয়া যায় সেকেন্ড ২৫০ বার। গবেষকদের গবেষণায় প্রমানিত, এই জন্য মেয়েদের গলার স্বরের তীক্ষ্ণতা বেশি। কণ্ঠস্বরের কম্পাঙ্ক ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয় বিধায় মেয়েদের গলার আওয়াজ চিকন,মিস্টি-মধুর ও সুরেলা শোনায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে নবী-পত্নিগণ! তোমরা অন্য না