ইসলামে পশুপ্রেম ও তথাকথিত ভন্ড পশুপ্রেমী
মো.আবু রায়হানঃপ্রতি বছর ঈদুল আজহা এলে তথাকথিত পশুপ্রেমী দের পশুকুলের জন্য মায়াকান্না বেড়ে যায়।১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটেনে একটি সংগঠন প্রাণীদের অধিকার বিষয়ে সোচ্চার হয়। ধীরে ধীরে তাদের চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশে দেশে। বলা যায়, তখন থেকেই সভ্য দুনিয়া পশু-পাখির প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনে মনোযোগী হয়েছে। ইংরেজদের আমলে বাস্তবায়ন করা 'পশু নির্যাতন আইন-১৯২০' এ উল্লেখ আছে, কেউ অপ্রয়োজনীয় নির্যাতনের দ্বারা পশু হত্যা করলে 'পশু নির্যাতন আইন-১৯২০ ধারা ৭' অনুযায়ী তার শাস্তি ২০০ (দুই শত) টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। এসব ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার 'প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৬ পাস করে। এই আইনে প্রাণী (পশু) হত্যা, ও পশুর সাথে নিষ্ঠুর আচরণ ও অতিরিক্ত কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করলে জেল ও জরিমানার বিধান রাখা রয়েছে।১৪শ বছর পূর্বে পশু-পাখির অধিকার রক্ষায় ইসলাম নির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। প্রাণীদের অধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি শরয়ি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ডেইরি খামারে বেশি বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুর ওপর নির্মমতা চ