পোস্টগুলি

অক্টোবর ২৬, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাক- স্বাধীনতা বলে কিছু নয়, ইসলামোফোবিয়া

ছবি
২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী ফ্রান্সের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬৯ লাখেরও অধিক।মুসলিম জনসংখ্যা হচ্ছে ৬মিলিয়নের ও বেশি।মার্কিন গবেষণা কেন্দ্র পিউ রিসার্চের ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান৷ পিউ রিসার্চ সেন্টার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ফ্রান্সে মুসলমানদের সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ হবে।প্রটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান ও ইহুদিদের সংখ্যা মুসলমানদের চেয়ে অনেক কম।ফ্রান্সে ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।বর্তমানে ফ্রান্সে ৩০০০হাজার মসজিদ আছে।পাঁচ শতের বেশি রয়েছে শুধু প্যারিস শহরে।গত ২৫ বছরে ফ্রান্সে ইসলাম গ্রহণের হার দ্বিগুণ বেড়েছে।গত ১০০ বছরে ফ্রান্সে যতগুলো ক্যাথলিক গির্জা নির্মিত হয়েছে,গত ৩০ বছরেই তার চেয়ে বেশি মসজিদ ও নামাজকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। মুসলমানদের অব্যহত অগ্রগতি ফরাসিদের ভাবিয়ে তুলেছে ।ফলে মুসলমানদের কোণঠাসা করতে ও ইসলামোফোবিয়া থেকে পরিকল্পিতভাবে ফ্রান্সে মুসলমানদের টার্গেট করা হচ্ছে ।ইতোমধ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।ফ্রান্স ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বোরকা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়৷ ২০১১ সালের ১১ এপ্রিল এই আইন কার্যকর হয়৷ বোরকা বা নেকাব পড়লে জরিমানার বিধান র

ম্যাক্রঁর বাক স্বাধীনতার নমুনা

  তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ইসলামের প্রতি ম্যাক্রঁর দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে তার "মানসিক চিকিৎসা করানো দরকার।" এরপর ম্যাক্রঁর শুরু হয় জ্বালা পোড়া। প্যারিসে তুর্কি রাষ্ট্রদুতকে ডেকে ফ্রান্স প্রতিবাদ জানিয়েছে এরদোয়ানের বক্তব্যে। ম্যাক্রঁকে মানসিক চিকিৎসা করানো দরকার বলে বক্তব্যে যদি ম্যাক্রঁর এতো গাত্রদাহ শুরু হয় তাহলে মুসলমানদের প্রিয় নবিকে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুনের প্রতিবাদ কীরূপ হতে পারে? শুধু কী পণ্য বয়কটই যথেষ্ট? ম্যাক্রঁকে নিয়ে কথা বলার বাক স্বাধীনতা তাহলে কোথায়?

অপ্রিয় কথন

কিছু বিজ্ঞ মানুষের মতামত ফ্রান্সের পণ্য বয়কট না করে পাসপোর্ট বর্জন করেন। আবার বলেন, এখনই ফ্রান্সের ভিসা পেলে তারা নাকি লুফে নেবেন। এরকমই একটি পোস্ট দেখলাম ঢাবির একজন শিক্ষকের। এমন বলদ মার্কা পোস্ট দেয়া একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন কিভাবে? সমাজে রাষ্ট্রে যারা নির্যাতন নিপীড়ন চালান তারা দানবীয় শক্তির অধিকারী তাদের তুলনায় শক্তিহীন নিপীড়িত মানুষের প্রতিরোধ প্রতিশোধের অবলম্বন অতি তুচ্ছ। তাদের অবলম্বন চোখের জল, ঘৃণা, আর ছোটখাটো বিষয়ে অসহযোগিতা করে তাদের বিব্রত করা।যারা ফ্রান্সের পণ্য বয়কট নিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করছে তারা হয়তো ভারতের ইতিহাসে সংঘটিত স্বদেশী আন্দোলন ও ব্রিটিশ পণ্য বর্জন আন্দোলনের কথা শোনেননি। ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করায় মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ফরাসি পণ্য মহাসংকটে। ইতোমধ্যে ফ্রান্স সরকার তাদের পণ্য বয়কট না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। দেখুন পণ্য বয়কট কতটা সফল হতে পারে। এক্ষেত্রে ফরাসি মুসলিম জনগোষ্ঠী হয়তো ফরাসি সরকারের রোষানল হতে কিছুটা রক্ষা পাবে। প্রতিবাদ ছোট হোক বড় হোক, নিজস্ব অবস্থান থেকে তুলে ধরলে একদিন যালিমের মসনদে অবশ্যই কম্পন ধরবে। আজ যদি শক্তিমানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলার মতো অবস

ঢাবির শিক্ষকদের যত ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষ

ছবি
শুদ্ধভাবে সালাম দেয়া ও আল্লাহ হাফেজ বলাকে বিএনপি-জামায়াতের মাসয়ালা ও জঙ্গিবাদের চর্চা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের উপসংহার অনুষ্ঠানে ধর্মের অপব্যাখ্যায় জঙ্গিবাদ বিষয় আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানের ভিডিওটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সালাম ও আল্লাহ হাফেজ নিয়ে এমন মন্তব্য করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা ও নিন্দার তীব্র ঝড়। জনগণের প্রশ্ন ইসলাম সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম জ্ঞান নাই, তাদের টকশোতে ডেকে এনে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি? গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম একটি এবং ইমরুল হাসান নামে এক আইনজীবী তার নামে দুটি মামলা দায়ের করেন।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলা দু’টি আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানান জানান আইনজীবী ইমরুল হাসান।মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ‘ডিবিসি নিউজ’ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘উপসংহার’ নামে টক শোতে ‘ধর