পোস্টগুলি

আগস্ট ২৬, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ত্রিমুখি টার্গেটে ফিলিস্তিন

ত্রিমুখি টার্গেটে পরিণত হয়ে নিজেদের সব হারানোর পথে ফিলিস্তিনিরা। ইহুদিবাদি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি আরব দেশগুলোও তাদের ছাড়তে শুরু করেছে। আরব শাসকেরা চায় ক্ষমতা, মসনদ ও অস্ত্র। ইসরায়েল চায় ভূমি। ট্রাম্প চায় ইহুদি ভোটাদের আকৃষ্ট করতে। আর তিন পক্ষের এই তিন স্বার্থের বলি হচ্ছে ফিলিস্তিন। কপাল পুড়ছে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের।ফিলিস্তিন-ইসরাইলের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানকে অস্বীকার করে বিতর্কিত একটি প্রস্তাবও প্রণয়ন করেছেন ট্রাম্প যা ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি নামে পরিচিত। সবকিছু বিবেচনা করে মনে হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জন্য আরো দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে ।

ভারতের রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু হলে?

বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে। কারা কি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছে তা বলতে চাচ্ছি না। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকায় মুসলিম নামধারী কথিত প্রগতিশীলদের কাছেও তা অবোধগম্য। তারা প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চান, আবার ভারতের ধর্মনিরপেক্ষদের পক্ষে কথা বলেন এটি দ্বিমুখি আচরণ হয়ে গেল না? আসলে ধর্মনিরপেক্ষকতা কী? অল্প কথায় রাষ্ট্রীয় কাজ-কর্মে ধর্মের বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে চলার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা।বহুভাষা, বহুধর্মের দেশ ভারত ১৯৭৬ সালে, ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি যুক্ত হয়। ভারতের সংবিধান কেন ধর্মনিরপেক্ষ জানেন? আশা করি উত্তর পেয়ে আপনার মনের তৃষ্ণা ও কথিত নামধারী মুসলিম প্রগতিশীল হবার খায়েশ তিরোহিত হবে। ইসলাম একটি রাষ্ট্রের অমুসলিম নাগরিকদের অবাধ ধর্মীয় স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, ব্যবসা বাণিজ্য ও মুসলিমদের পরধর্মে সহিষ্ণু হবার শিক্ষা দিয়েছে। এর ব্যতিক্রম হলে মুসলমানদের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারির কথা বলা হয়েছে। এখন আপনাকে বলছি হিন্দুধর্ম কি এভাবে অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি স

ইহুদিদের আরেকটি প্রতিশব্দ বিশ্বাসঘাতক

ইহুদিরা যে বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান তা যুগে যুগে প্রমাণিত সর্বশেষ উদাহরণ ইসরায়েল আরব আমিরাত চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আর ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ করবে না। বিনিময়ে আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। কিন্তু চুক্তির পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে অভিহিত করলেও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন থেকে সরে আসেননি বলে জানান।

মুসলিম বিশ্বের দ্বন্দ্ব

মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ভাঙ্গতে মরিয়া ভারত, ইসরায়েল, আমেরিকা। এক্ষেত্রে সৌদি আরব এদের প্রধান সহযোগী।পাকিস্তান-ইরান-কাতার-তুরস্কের মৈত্রীতে সৌদি ক্ষুব্ধ।চীনও বসে নেই। সৌদি আরব-আমিরাত -ভারত-ইসরায়েল- আমেরিকা জোটের পাল্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে চিন - তুরস্ক-পাকিস্তান-ইরান-কাতার জোট। তুরস্কের সঙ্গে ইমরানের মাখামাখি সম্পর্ক সৌদি আরবের একদম সহ্য হচ্ছে না। ইমরানের সঙ্গে মাহাথির থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পর মালয়েশিয়া নীরব। মুসলিম বিশ্বের এই দলাদলিতে ওআইসি অকার্যকর। কাশ্মীর ইসুতে পাকিস্তান ওআইসিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইলেও সৌদি আরবের কারণে পারছে না। এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে আমেরিকা ভারত ও ইসরায়েল। যাদের সঙ্গে সৌদি আরবের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক।

তুরস্ক ইসরায়েল সম্পর্ক

ছবি
মো আবু রায়হানঃতুরস্ক ইসরায়েলের সম্পর্ক ওপেন সিক্রেট বিষয়। যতই তুরস্ক ও এরদোয়ান ইসরায়েলের সমালোচনা করুক না কেন, দেশ দুটোর মধ্যে সম্পর্ক বেশ পুরনো ও গভীর। যদিও মাঝেমধ্যে তুরস্ক ও ইসরায়েলের সম্পর্কে বিভিন্ন ইসুতে টানাপড়েন দেখা গেছে। এরদোয়ানের উদার ইসলামি নীতি ও কৌশলের কারণে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক অটুট রাখা সম্ভব হয়েছে। এতো শত ভালো কাজ করার পরও ইসরায়েলের সঙ্গে এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠতার কারণে তাকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এজন্য এরদোয়ানকে বলা হয়েছে ইহুদীদের দালাল।কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও কৌশলের জন্য এরদোয়ান সমভাবে প্রশংসিত। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার আদায়ে এরদোয়ান অবিসংবাদিত ও মুসলিম বিশ্বের যেন সুলতান। মুসলিম বিশ্বে সর্বপ্রথম তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় নীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন মুস্তফা কামাল পাশা। ১৯২৮ সালে দেশটির শাসনতন্ত্রে রাষ্ট্রের ধর্ম ইসলাম বিলুপ্তির সংশোধনী বিল চালু করে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করা হয়।১৯৪৮ সালে অবৈধ দখলদার ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পরের বছর মার্চ মাসে মুসলিম বিশ্বের প্রথম দেশ- তুরস্ক ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।তাদে