পোস্টগুলি

মে ১০, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হযরত ইদরীস (আ.) একজন প্রথম বিজ্ঞানী নবি

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ   ইদরীস (আ.) যিনি ইসলামের ইতিহাস অনুসারে মানবজাতির উদ্দেশ্যে প্রেরিত দ্বিতীয় নবি। পৃথিবীর প্রাথমিকপর্যায়ের মানুষ হিসেবে তিনিই ছিলেন ইতিহাসের প্রথম শিক্ষিত ব্যক্তি।মুসলমানদের বিশ্বাস অনুসারে তিনি ইসলামের প্রথম নবি আদম -এর পর নবয়ুত লাভ করেন।রাসুল (সা) মিরাজের রাতে চতুর্থ আসমানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “যখন আমাকে আকাশে উঠানো হয়েছিল মিরাজের রাত্ৰিতে আমি ইদরীসকে চতুর্থ আসমানে দেখেছি।’ (তিরমিযী- ৩১৫৭)। তাঁর জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কার ো মতে তিনি ইরাকের বাবেলে জন্মগ্রহণ করেন। আবার কারো মতে তিনি মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, বাইবেলে উল্লেখিত 'ইনোখ' (Enoch) ব্যক্তিটি হযরত ইদরীস (আ.)।হযরত ইদরীস (আ.) হযরত নুহ (আ.)-এর পূর্বের নবি ছিলেন,না পরের নবি ছিলেন এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইতিহাসবিদ এবং তাফসিরকার তাকে ইসলামের তৃতীয় নবি এবং হযরত আদম (আ.)এর তৃতীয় প্রজন্ম বলে মত প্রকাশ করেছেন।কারো মতে তিনি ছিলেন হযরত আদম (আ.)’র সপ্তম অধস্তন পুরুষ ও হযরত নুহ (আ.)’র পরদাদা।ইবনে ইসহাকের মতে, হযরত ইদরীস (আ.) হলেন ইসলামের নবী নূহ এর দাদা।

দারুল আরকাম ইসলামের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি
রাসুল (সা) এর ওপর প্রথম ওহি নাজিল হয় , পড় তোমার প্রভুর নামে । মানব জাতির উদ্দেশে আল্লাহ তায়ালার প্রথম আদেশ পড়,এই নির্দেশের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.)এর শিক্ষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়েছিল।ইসলামে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা উপরিউক্ত বাণীতে প্রকাশিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী মহানবী (সা.) এর বাণী “জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর নারীর উপর ফরয” একথা দ্বারাও জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বের প্রতি আরো জোর দেয়া হয়েছে। মূলত ইসলামী শিক্ষার প্রথম সূচনাগার হল মক্কা। ইসলাম প্রচারের সূচনা থেকেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জাতির মহান শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই আমি মু'আল্লিম (শিক্ষক) হিসেবে (দুনিয়ায়) প্রেরিত হয়েছি'।(দারিমী)।হযরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলামী শিক্ষার নিয়মনীতি প্রবর্তন করেন। তিনি নবুয়ত লাভের পর কাবাকে প্রথম শিক্ষায়তন হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি।রাসুল (সা.) মক্কায় আল্লাহর একত্ববাদের দাওয়াত দিলে কুরাইশ কাফের পৌত্তলিকদের অত্যাচারের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে।ফলে মুসলমানেরা শান্তিতে দ্বীনের প্রচার ও ইসলামের শিক্ষ