পোস্টগুলি

মে ২, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইয়াজুজ- মাজুজ এদের পরিণতি

ছবি
ছবিঃ প্রতীকী ইয়াজুজ-মাজুজ দুটি জাতি । ইয়াজুজ মাজুজ জাতি কে বাইবেলে গগ ম্যাগগ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।এদের প্রাচীন পৃথিবীর উত্তর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী বলা হয়েছে।  ইয়াজুজ-মাজুজ সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট বর্ণনা থেকে এতটুকু নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয় যে, ইয়াজুজ মাজুজ মানব সম্প্রদায়ভুক্ত।  অন্যান্য মানবের মত তারাও নূহ ‘(আ)-এর সন্তান-সন্ততি। কুরআনুল করীম স্পষ্টতই বলেছে , (وَجَعَلْنَا ذُرِّيَّتَهُ هُمُ الْبَاقِينَ) (আস-সাফফাত- ৭৭) অর্থাৎ নুহের মহাপ্লাবনের পর দুনিয়াতে যত মানুষ আছে এবং থাকবে, তারা সবাই নূহ ‘(আ) এর সন্তান-সন্ততি হবে। ঐতিহাসিক বর্ণনা এব্যাপারে একমত যে, তারা ইয়াফেসের বংশধর। (মুসনাদে আহমাদঃ ৫/১১)। ইয়াজুজ মাজুজ দুটি জাতি সহীহ হাদীস মোতাবেক এরা মনুষ্য জাতি। এদের সংখ্যা অন্যান্য জাতির তুলনায় অনেক বেশী হবে এবং তাদেরকে দিয়েই জাহান্নামের বেশী অংশ পূর্ণ করা হবে। (বুখারী, সূরা হাজ্জের তফসীর, মুসলিম ঈমান অধ্যায়)  । বুখারি ও মুসলিম শরিফে আবু সাইদ খুদরি (রা.)-এর বাচনিক বর্ণনায় রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা আদম (আ.)-কে বলবেন, আপনি আপনার সন্তানদে

আসহাবে হিজর বা সামুদ জাতির ওপর আল্লাহর গজব

ছবি
হিজর সালেহ (আ.)-এর জাতি সামূদের জনবসতির নাম। এদেরকে আসহাবে হিজর বলা হয়েছে। কুরআনে এদেরকে আসহাবে হিজর বা হিজরবাসী নামেও অভিহিত করা হয়েছে। ইতিহাসে এই জাতি সামুদ জাতি নামেও সমধিক পরিচিত। তাঁদের সেই ঐতিহাসিক এলাকার বর্তমান নাম হলো ফাজ্জুন্নাকাহ’ এবং ‘মাদায়েনে সালেহ’। এ স্থানটির অবস্থান হিজাজ ও সিরিয়ার গোটা মধ্যবর্তী অঞ্চল জুড়ে। সামুদ জাতির বাসস্থান ছিল হেজাজ ভূমি তথা বর্তমান সৌদির সিরিয়া সীমান্ত বরাবর অংশ এবং সিরিয়ার মধ্যস্থল হিজর ও ওয়াদিল কুরা নামক স্থানে।মূলত হিজর ছিল সামুদ জাতির কেন্দ্রীয় আবাসস্থল।সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। বর্তমান শহর আল উলা থেকে কয়েক মাইল ব্যবধানে তা দেখা যায়। বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত আছে, তাবুক যুদ্ধের সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজর নামক সে স্থানটি অতিক্রম করেন, যেখানে সামূদ জাতির উপর আযাব এসেছিল। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে নির্দেশ দেন, কেউ যেন এ আযাববিধ্বস্ত এলাকার ভেতরে প্রবেশ কিংবা এর কূপের পানি ব্যবহার না করে। আর যদি ঢুকতেই হয় তবে যেন ক্ৰন্দনরত অবস্থায় ঢুকে। (বুখারী- ৪৩৩, ৩৩৭৮, ৩৩৭৯, ৩৩৮১, ৪৭০২, ৪৪২০, মুসলিম-২৯৮০, ২