পোস্টগুলি

জুন ২৬, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক

ছবি
মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক বা মিশরীয় চিত্রলিপি। ইংরেজি: Hieroglyphic বা বহুবচনে মিশরীয় হায়ারোগ্লিফিক্স হলো মিশরীয় লিপিবিশেষ। প্রাচীন মিশরে তিন ধরনের লিপি প্রচলিত ছিলো: হায়ারোগ্লিফিক (মিশরীয়), হায়রাটিক এবং ডেমোটিক। তিনটি লিপির নামই গ্রিকদের দেয়া। হায়ারোগ্লিফিক লিপির প্রতীককে বলা হয় "হায়ারোগ্লিফ"।গ্রিক "হায়ারোগ্লিফ" শব্দের অর্থ 'উৎকীর্ণ পবিত্র চিহ্ন'। গ্রিকরা যখন মিশর অধিকার করে তখন তাদের ধারণা হয় যে, যেহেতু পুরোহিতরা লিপিকরের দায়িত্ব পালন করেন, আর মন্দিরের গায়ে এই লিপি খোদাই করা রয়েছে,এই লিপি নিশ্চয়ই ধর্মীয়ভাবে কোনো পবিত্র লিপি।গ্রিক 'হায়ারোগ্লুফিকোস' থেকে পরবর্তি ল্যাটিন 'হায়ারোগ্লিফিকাস' হয়ে ফরাসি 'হায়রোগ্লিফিক' থেকে ইংরেজি 'হায়ারোগ্লিফিক' শব্দটি এসেছে। গ্রিক উপসর্গ 'হায়ারোস' অর্থ 'পবিত্র', আর 'গ্লুফি' অর্থ 'খোদাই করা লেখা। ১৭৯৮ খ্রিষ্টাব্দে নেপোলিয়ন মিশর আক্রমণ করেন এবং ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তার সৈন্যরা বিখ্যাত রোসেটা কৃষ্ণশিলাপট উদ্ধার করেন। রোসেটা কৃষ্ণশিলাপট আসলে একটি শিলালিপ

আহমদ শাহ দুররানি

ছবি
  আফগানিস্তানের ইতিহাসে আহমদ শাহ দুররানি আহমদ শাহ আবদালি নামে পিরিচিত। আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাকে সম্মান করা হয়। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন পারস্যরাজ (ইয়ানরাজ) নাদির শাহের সেনাপতি এবং পরবর্তীকালে প্রতিভাবলে তিনি আফগানিস্তানের রাজা হন। ১৭৪৭-১৭৭২ সালে তিনি স্বাধীন রাজা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি আটবার ভারত আক্রমণ করেন। ১৭৫৬ সালে তিনি পাঞ্জাব, কাশ্মির, সিন্ধু প্রভৃতি মুঘল এলাকা দখল করেন। পুত্র তাইমুরকে তিনি এসব এলাকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। পরে অরাজকতা দেখা দিলে মারাঠারা তাইমুরকে বিতাড়িত করে দখল করে নেয় লাহোর। এতে নেতৃত্ব দেন রঘুনাথ রাও। পরে আহমদ শাহ আবদালি আবার ভারত আক্রমণ করেন এবং পাঞ্জাবে দখলদারিত্ব কায়েম করেন। ১৭৬১ সালে তিনি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে বিশাল মারাঠা বাহিনীকে হারিয়ে দেন। দুররানি বংশ ও দুররানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান। অনেক মুঘল এলাকা দখল করলেও তিনি দ্বিতীয় শাহ আলমকে ভারতের সম্রাট বলে গণ্য করতেন। আফগানদের কাছে এখনো তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়। আহমদ শাহ আবদালী ১৬ আক্টোবর, ১৭৭২ সালে কান্দাহার প্রদেশে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে কান্দাহার শহরের কেন্দ্রস্

সুলতান শাহ জাহান বেগম

ছবি
ভোপাল রাজ্য আঠার শতাব্দীর ভারতবর্ষে একটি রাষ্ট্র ছিল, ১৮১৮ সাল থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের সাথে সহায়ক রাষ্ট্র এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। রাজ্যটি ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সেনাবাহিনীর পশতুন সৈনিক দোস্ত মোহাম্মদ খান দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে ভাড়াটে সৈনিক হন এবং তাঁর রাজত্বকে একাধিক অঞ্চল সংযুক্ত করেছিলেন। এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই এটি ১৭২৩ সালে হায়দরাবাদের নিজামের আধিপত্যের আওতায় আসে। ১৭৩৭ সালে, মারাঠারা মুগল ও ভোপাল নবাবদের ভোপাল যুদ্ধে পরাজিত করে এবং রাষ্ট্র থেকে রাজস্ব সংগ্রহ শুরু করে। তৃতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধে মারাঠাদের পরাজয়ের পরে, ভোপাল ১৮১৮ সালে একটি ব্রিটিশ দেশীয় রাজ্য হয়। ভোপাল রাজ্যটি স্বাধীনতার পূর্বে একজন মুসলিম নেতৃত্বের অধীনে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য ছিল, প্রথমটি ছিলো হায়দরাবাদ রাজ্য । রাজ্যটি ১৯৪৯ সালে ভোপাল হিসাবে ভারতীয় ইউনিয়নে একীভূত হয়। ১৮১৯ থেকে ১৯২৬ এর মধ্যে ভোপাল চারজন মহিলা দ্বারা শাসিত ছিল। এরা বেগম নামে পরিচিত ছিলো। কুদসিয়া বেগম প্রথম মহিলা শাসক ছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি তাঁর এ

হেলেন ও রবীন্দ্রনাথ

ছবি
হেলেন কেলার ১৮৮০ সালের ২৭ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আর্থার কেলার ছিলেন সামরিক বিভাগের একজন অফিসার এবং মা কেইট অ্যাডামস। হেলেনের বয়স যখন মাত্র ১৯ মাস তখন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বহু চিকিৎসার পর হেলেনের জীবন রক্ষা পায়। কিন্তু তার কথা বলা, শোনা এবং দেখার শক্তি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। তার বয়স যখন ছয় বছর তখন বাবা-মা তাকে ওয়াশিংটনের প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী ও টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কাছে পরামর্শ গ্রহণের জন্য নিয়ে যান। বেল বোস্টনের পার্কিনস ইনস্টিটিউশনে হেলেনকে ভর্তি করে দেওয়ার জন্য বলেন। এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ ছিল অন্ধদের শিক্ষাদান। পার্কিনস ইনস্টিটিউশনের অ্যানি সুলিভ্যান ম্যানসফিল্ড নামক এক শিক্ষিকার হাতে হেলেনের জীবন আলোকিত করার হয়। এ্যানিও ছোটবেলা থেকে চোখে কম দেখতে পেতেন। কয়েক বছরেই হেলেন ইংরেজি, ল্যাটিন, গ্রিক, ফরাসি এবং জার্মান ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠে। পরে সে ব্রেইল টাইপ রাইটারে লিখতে শেখে। হেলেন এগারো বছর বয়সে এক বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কথা বলার চর্চা করতে থাকে। ১০ বছর বয়সে নরওয়েতে উদ্ভাবিত এক পদ্ধতি অনুসরণ করে কথা বলা শেখেন। ১৯০৪ স