পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৭, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কুরআনে বর্ণিত আসহাবুল উখদুদের কাহিনি

ছবি
কুরআনের সূরা বুরুজের ৪ নং আয়াত হতে ৮ নং আয়াত পর্যন্ত আসহাবুল উখদুদের ঘটনা আলোচনা করা হয়েছে । আল্লাহ বলেন,  অভিশপ্ত হয়েছিল কুণ্ডের অধিপতিরা। যে কুণ্ডে ছিল ইন্ধনপূর্ণ আগুন । যখন তারা এর পাশে উপবিষ্ট ছিল এবং তারা মুমিনদের সাথে যা করছিল তা প্ৰত্যক্ষ করছিল। আর তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধু এ কারণে যে , তারা ঈমান এনেছিল পরাক্রমশালী ও প্রশংসার যোগ্য আল্লাহর উপর। ( সুরা আল বুরুজ আয়াত ,  ৪ -৮ )। যারা বড় বড় গর্তের মধ্যে আগুন জ্বলিয়ে ঈমানদারদেরকে তার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল এবং তাদের জ্বলে পুড়ে মরার বীভৎস দৃশ্য নিজেদের চোখে দেখেছিল তাদেরকে এখানে গর্তওয়ালা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে , তাদের ওপর আল্লাহর লা ' নত পড়েছিল এবং তারা আল্লাহর আযাবের অধিকারী হয়েছিল।(ইবন কাসীর ; ফাতহুল কাদীর) এর আরেক অর্থ ধ্বংস হয়েছিল।(সা ' দী)। জমিনে গর্ত করে এবং তাতে আগুন জ্বালিয়ে ঈমানদার লোকদের তার মধ্যে নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনার কথা আল কুরআন ও হাদিসে রাসূল-এ পাওয়া যায়।   মুসলিম ও তিরমিযী শরিফে বর্ণিত হয়েছে ঘটনাটি।গর্তে আগুন জ্বলিয়ে ঈমানদারদেরকে তার মধ্যে নিক্ষেপ করার ঘটনা।সুহাইব রুমী (রা) রাসূলুল

কুরআনে আলোচিত আসহাবে কাহফের কাহিনি

ছবি
ছবিঃ প্রতীকী আসহাবে কাহাফ অর্থ গুহাবাসী।আসহাবে কাহাফকে পাশ্চাত্যে Seven sleepers of Ephesus অর্থাৎ এফিসাসের সুপ্ত সপ্তক আখ্যায় আখ্যায়িত করা হয়। হযরত ঈসা (আ.)-এর ঊর্ধ্বলোকে গমনের পরবর্তী সময়ে আসহাবে কাহফের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাটি তৎকালীন রোম সাম্রাজ্যের কোনো এক স্থানে সংঘটিত হয়েছিল। রোমের ক্ষমতায় তখন অধিষ্ঠিত ছিলেন একজন অত্যাচারী শাসক। তাফসিরে ইবনে কাসিরে উল্লেখ আছে, যে অত্যাচারী শাসকের তাড়ায় যুবকরা পালিয়েছিল, তার নাম ছিল দাকিয়ুস। তাদের সঙ্গে একটি কুকুর ছিল। কুকুরের নাম ছিল কিতমির।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)বলেছেন, গুহাবাসীর সংখ্যা ছিল সাত জন। কোনো কোনো বর্ণনা মতে, তাদের নাম ছিল—মুকসালমিনা, তামলিখা, মারতুনিস, সানুনিস, সারিনুনিস, জু-নিওয়াস, কাস্তিতিউনিস।সুরা কাহাফের ৯-২৬ নং আয়াতে আসহাবে কাহাফের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে ।কুরআনের সুরা কাহাফ মক্কাতে অবতীর্ণ হয়, অর্থাৎ তখনও হযরত মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর অনুসারীরা হিজরত করে মদিনায় চলে যাননি। কিন্তু মক্কাতে তখন তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে দেখে কাফের কুরাইশরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ে। যেহেতু নবী (সা) এমন ধর্ম প্রচার করে চলেছিলেন, যেখ

হারুত মারুত ও জোহরা নামক নারীকে নিয়ে যে মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে

ছবি
বর্তমানে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরের ধ্বংস হয়ে যাওয়া তৎকালীন সময়ের উন্নত এক শহরের নাম বাবেল। যার অবস্থান প্রাচীন মেসোপটেমিয়া বর্তমানের মধ্য ইরাক।সারা দুনিয়া যেটিকে ব্যাবিলন নামে চেনে।বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুটি নাম জড়িয়ে আছে। যাঁদের নিয়ে রচিত হয়েছে নানা কল্পকাহিনি। গদ্য-পদ্য আর সাহিত্যরসে ভরপুর সেসব ঘটনাবলি কমবেশি সবাই জানেন।ঘটনাটি এমন- হারুত এবং মারুত দুজন ফেরেশতার নাম। যাদেরকে বিশেষ কারণে পৃথিবীর কিছু বিষয় নিরীক্ষণের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাদের নিরীক্ষায় অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দেয় এবং শাস্তির মুখোমুখি হয়। ঘটনাটি এরকম- হজরত আদম (আ.) এবং বেশ কিছু নবি-রাসুলের পরলোক গমনের পর ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে যখন পাপাচার এবং অবাধ্যতা ছড়িয়ে পড়ে তখন ফেরেশতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলো, দেখো, মানুষগুলো কেমন অবাধ্য। তারা আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে পাপাচার এবং বিশৃংখলায় লিপ্ত হয়ে গেছে। আমরা যদি হতাম তবে কখনোই এমনটি করতাম না। আল্লাহ তাআলা তাদের কথা শুনে বললেন, ঠিক আছে, তবে তোমাদের মধ্য থেকে দুজনকে পৃথিবীতে পাঠাও পরীক্ষার জন্য। দেখা যাক তারা পৃথিবীতে কীভাবে নিজে

জুলকারনাইন ও কুরআনে বর্ণিত ইয়াজুজ-মাজুজের কাহিনি

ছবি
জুলকারনাইন কুরআনে উল্লিখিত একজন ব্যক্তি। কুরআনের সুরা কাহাফে জুলকারনাইন নামটি উল্লিখিত আছে।জুলকারনাইন কে ছিলেন, কোন যুগে ও কোন দেশে ছিলেন এবং তার নাম জুলকারনাইন হল কেন? জুলকারনাইন নামকরণের হেতু সম্পর্কে বহু উক্তি ও তীব্র মতভেদ পরিদৃষ্ট হয়। কেউ বলেন,তার মাথার চুলে দুটি গুচ্ছ ছিল। তাই জুলকারনাইন (দুই গুচ্ছওয়ালা) আখ্যায়িত হয়েছেন। কেউ বলেন,পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যদেশসমূহ জয় করার কারণে জুলকারনাইন খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। কেউ এমনও বলেছেন যে, তার মাথায় শিং-এর অনুরূপ দুটি চিহ্ন ছিল। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, তার মাথার দুই দিকে দুটি ক্ষতচিহ্ন ছিল।(ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর) ‘তাফহিমুল কোরআন’ গ্রন্থে এসেছে, জুলকারনাইন সম্পর্কে কোরআন থেকে চারটি কথা জানা যায়। এক. তাঁর ‘শিংওয়ালা’ উপাধি সম্পর্কে ইহুদিরা জানত। দুই. তাঁর বিজয়াভিযান পূর্ব থেকে পশ্চিমে পরিচালিত হয়েছিল এবং উত্তর-দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত হয়েছিল। তিন. তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাত থেকে রক্ষার জন্য কোনো পার্বত্য গিরিপথে একটি মজবুত প্রাচীর নির্মাণ করেন। চার. তিনি আল্লাহর আনুগত্যশীল ও ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। আধুনিক যুগের গবেষক ও পন্ডিতদের ম