মরুভূমির জাহাজ উট
সুরা গাশিয়ার ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি উটের প্রতি লক্ষ করে না যে তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে?’উটকে বলা হয় 'মরুভূমির জাহাজ'। আরবিতে একে বলা হয় ‘সাফিনাতুস সাহরা’।কারণ, উট মরুভূমিতে ৬ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত কোন খাবার, এমনকি পানিও গ্রহণ না করে বেঁচে থাকতে পারে! এদের নাক, কান ও চোখ এমনভাবে গঠিত যে মরূভূমির ধূলিকণা কর্তৃক এরা খুব সহজে আক্রান্ত হয় না! মরুযাত্রীদের কাছে তাই উট খুবই উপকারী আর প্রয়োজনীয় একটা প্রাণী!উট ২০০-৩০০ কেজি পর্যন্ত বোঝা নিয়েও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে। তৎকালীন সময় আরবের বণিকদের ব্যাবসায়িক পণ্য নেওয়ার মাধ্যম ছিল উট। উটের পিঠে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে সে যুগের লাক্সারি ভ্রমণ করা হতো। মরুভূমির প্রচণ্ড তাপমাত্রায় নির্বিঘ্নে পথ চলার এক অসাধারণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মরুজাহাজ নামে খ্যাত উটকে। ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও পানিবিহীন বাঁচতে পারে লাগাতার ১০ দিন। এর শরীরে আল্লাহ এমন অসাধারণ ক্ষমতা দিয়েছেন যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম, যা অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে নেই। মরুভূমির ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমেও উটের শরীর থেকে ঘাম নির্গত হয় না। (হায়াতুল হায়ওয়ান)এ