পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৬, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইতিকাফের ফযিলত ও কিভাবে আদায় করতে হয়

ছবি
ইতিকাফ একটি বিশেষ ইবাদত ।ইতিকাফের মাধ্যমে দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আল্লাহর সন্নিধানে চলে যাওয়া যায়।‘ইতিকাফ আরবি শব্দ অর্থ হলো অবস্থান করা, স্থির, আবদ্ধ করা বা আবদ্ধ রাখা। পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন তাঁকে মুতাকিফ বলে। মহান আল্লাহ পাক হযরত ইবরাহিম (আ.) এবং হজরত ঈসমাইল (আ.) এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেন ‘আর আমি ইবরাহিম ও ঈসমাইলকে আদেশ করলাম’ তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ। (সুরা বাকারা আয়াত- ১২৫)। ইতিকাফের সময়- ইতিকাফের সময় হলো রমজানের ২০ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত।কেউ যদি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতে চায়, তাহলে সে যেন ২০ রমজান সূর্যাস্তের আগেই ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে প্রবেশ করবে।(বুখারি, হাদিস)।এই ইতিকাফ মহিলারাও ঘরের কোলাহল মুক্ত নামাজের স্থানে করতে পরবে। আর বিবাহিতা নারীরা স্বামীর অনুমতি নিয়ে ইতিকাফে বসবে। হযরত আয়িশা সিদ্দীকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) আজীবন রমজানের শেষ দশকগুলো ইতিকাফ করেছেন। তাঁর ওফাতের পরও

ইফতারের সময় ,ফযিলত ও ইফতারের দোয়া

ছবি
ইফতার  হচ্ছে   রমযান   মাসে   মুসলিমগণ   সারাদিন   রোজা   রাখার পর   সূর্যাস্তের   সময় যে খাবার গ্রহণ করে । ইফতার  আরবি শব্দ , যার অর্থ রোজা ভঙ্গ করা বা সমাপ্ত করা।ইসলামি পরিভাষায় , সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার , কামাচার ও পাপাচার থেকে বিরত থেকে সূর্যাস্তের পর কিছু খেয়ে বা পান করে রোজা সমাপ্ত করার নামই ইফতার। রাসূল (সা.) বলেছেন, ' রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ- একটি হলো তার ইফতারের সময় , অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময়। ' ( বোখারি ও মুসলিম)। রোজা রেখে ইফতারের ওপর অশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।সময়মতো ইফতার করার মধ্যেও রয়েছে অশেষ সওয়াব ও ফযিলত। রাসুল (সা .)   এরশাদ করেন , তোমরা ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নাও। এতটুকু বিলম্ব করো না।তিরমিজি শরীফে বর্ণিত আছে যে , আমি ওই ব্যক্তিকে সর্বাধিক ভালোবাসি যে ইফতারের সময় হওয়ামাত্র ইফতার করে নেয়। সূর্যাস্তের পর ইফতারে বিলম্ব করা অনুচিত। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে সাবধানতার জন্য কিছু সময় বিলম্ব করা উত্তম। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইফতার করা সুন্নত এবং সূর্যাস্তের আগে ইফতারির সামগ্রী সামনে নিয়ে বসে

সেহেরি নয় সাহরি,সাহরির ফযিলত ও সাহরির শেষ সময়

ছবি
রমজান মাসে মুসলিমরা রোজা রাখার জন্য সাহরি খেয়ে থাকেন।সাহরি আরবি শব্দ। সাহার অর্থ হল রাতের শেষাংশ , প্রভাত, ভোররাত , ঘুম থেকে জেগে ওঠা , নিদ্রাভঙ্গ করা বা রাত্রি জাগরণ। আর সাহরি হল শেষ রাত বা ভোরের খাবার। সাহরি এক বরকতপূর্ণ খাবারের নাম যা রোজাদার রোজার আগের রাতে সুবহে সাদিকের আগে গ্রহণ করেন। সাহরি গ্রহণ করা রসুলুল্লাহ  এর   ( সা .) সুন্নাত। রোজা রাখার জন্য সাহরি খাওয়া সুন্নত।সাহরি বরকতময় আমল। রাসূল (সা.) এর কাছে একজন সাহাবী এলেন যখন তিনি সাহরি খাচ্ছিলেন। রাসূল (সা.) তাকে দেখে বললেন , এ খাবার বরকতের। আল্লাহ পাক বিশেষভাবে তোমাদের তা দান করেছেন। কাজেই তোমরা সাহরি খাওয়া ছেড়ে দিও না। (নাসাঈ) । রাসুল (সা.) বলেছেন , তোমরা সাহরি খাও , কারণ সাহরির মধ্যে বরকত নিহিত রয়েছে। (বোখারি ও মুসলিম) ।সাহরি শব্দটি নিয়ে বাংলাদেশে ভুল প্রচলন রয়েছে।অধিকাংশ বাংলাদেশি সাহরি না বলে সেহরি বলে থাকেন। এটা প্রচলিত ভুল। শুধু সাধারণ মুসলিম নয় , বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপানো রমজানের ক্যালেন্ডার বা সময়সূচিতে,আলেম ওলামা অনেক শিক্ষিত লোক সেহরি শব্দ উল্লেখ করে্ন। সেহরি শব্দটি সেহর মূল শব্দ থেকে এসেছে

চেং হো একজন চীনা মুসলিম নাবিক পরিব্রাজক কূটনীতিবিদ ও ধর্মপ্রচারক

ছবি
মো. আবু রায়হান : চেং হো ছিলেন একজন চীনা হুই মুসলিম, যিনি ছিলেন একাধারে নাবিক, পরিব্রাজক, কূটনীতিবিদ, নৌসেনাপতি,প্রশাসক, সেনাপতি, দপ্তরপ্রধান।শুধু সেনাবাহিনীর উচ্চ পদেই নয়, অভিযাত্রী ও সমুদ্রযাত্রার অধিনায়ক হিসেবেও চীনে মুসলিম জনগোষ্ঠীর খ্যাতি ছিল। এক্ষেত্রে চীনের ইতিহাসে চেং হো’এর নাম রীতিমতো স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। চেং হো ১৩৭১ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ চীনের ইউনান অঞ্চলের এক হুই মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।হুই জাতিগতভাবে চীনা গোত্র যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। Zheng He was born Ma He to a Muslim family of Kunyang, Kunming, Yunnan, China. তার এেজন বড় ভাই এবং চার বোন ছিল । জন্মকালে তাঁর নাম দেয়া হয় “মা হে”। He was originally born as Ma He in a Muslim family, and later adopted the surname Zheng conferred by Emperor Yongle.চীনে পারিবারিক নাম আগে বলা হয় এবং পরে ডাকনাম বলা হয়। চীনে “মা” হচ্ছে “মুহাম্মাদ” এর সংক্ষিপ্ত রূপ যা মূলত চেং হো’র পরিবারের মুসলিম পরিচয় ও ঐতিহ্যের নির্দেশক। তাঁর বাবা ও দাদা উভয়ই মক্কায় সফর করে হজ্জ পালন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় চেং হো এর জন্ম হয়েছি