পোস্টগুলি

আগস্ট ১, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নাসিরুল হাদিস ইমাম শাফেয়ি (রহ.)

ছবি
আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইদরিস (রহ.) ইমাম শাফেয়ি নামে পরিচিত। তাকে শায়েখ আল-ইসলাম হিসাবেও সম্বোধন করা হয় এবং তিনি ইসলামের প্রধান চারটি মাযহাবের একটি শাফেয়ি মাযহাবের প্রবক্তা। হাদিসশাস্ত্রে তাঁর দক্ষতার জন্য ইরাকবাসী তাঁকে ‘নাসিরুল হাদিস’ তথা হাদিসের সহায়ক উপাধিতে ভূষিত করেন। হাদীস সংগ্রহ, সংকলন, বিশেষ করে হাদীসের যাচাই-বাছাইয়ে তিনি সর্বপ্রথম অবদান রাখেন । তিনিই সর্ব প্রথম হাদীস শাস্ত্রের নীতিমালা প্রণয়নে কলম ধরেন আর রিসালাহ ও আল উম্ম’ গ্রন্থদ্বয়ে। অতঃপর সে পথ ধরেই পরবর্তী ইমামগণ অগ্রসর হন।তিনি ছিলেন ইমাম মালিক ইবনে আনাসের অন্যতম সেরা শিক্ষার্থী এবং তিনি নাজারাহ-এর গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৫০ হিজরি মোতাবেক ৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে ফিলিস্তিনের আসকালান প্রদেশের গাজাহ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। কারো কারো মতে, যেদিন ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ইন্তেকাল করেন সেদিনই ইমাম শাফেয়ি (রহ.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নাম মুহাম্মদ, উপনাম আবু আবদুল্লাহ, মাতার নাম উম্মুল হাসান। নিসবতি নাম শাফেয়ি, পিতার নাম ইদরিস, তাঁর পূর্বপুরুষ শাফেয়ি (রহ.)-এর নামানুসারে তিনি শাফেয়ি নামে পরিচিতি লাভ করেন। দুই ব

ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটালো যে চুক্তি

ছবি
  লুজান চুক্তি হল ১৯২৩ সালে স্বাক্ষরিত এমন একটি শান্তি চুক্তি যার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে বর্তমান তুরস্কের সীমানা। অর্থাৎ আধুনিক তুরস্কের জন্ম এই চুক্তির মাধ্যমে। লুজান চুক্তির আগে, ১৯২০ সালে ‘সেভের্সের সন্ধি’ সমাপ্ত করা হয়েছিল, যার আওতায় ওসমানীয় সাম্রাজ্যের বেশির ভাগ অ-তুর্কি রাষ্ট্রকে স্বাধীনতা দেয়া হয়। তবে তুর্কিরা এই চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে এবং মিত্র শক্তির বিরুদ্ধে ১৯২২-১৯২৩ যুদ্ধের দুর্দান্ত জয় অর্জন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যায়। তখন ১৯২২ সাল। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে।কিন্তু ইউরোপর কিছু কিছু জায়গায় তখনও সংঘাত চলছে। বিশাল ওসমানীয় সম্রাজ্য ভেঙে খান খান। পশ্চিমাদের মদদে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকায় ওসমানীয়ওদের অধীন থেকে বেড়িয়ে গঠিত হয়েছে প্রায় ৪৫ টির মত নতুন রাষ্ট্র। ইস্তান্বুলে উসমানীয়দের শেষ সুলতান কার্যত নিষ্ক্রিয়, ক্ষমতাহীন। মিত্রশক্তিদের হাত থেকে শেষ ভূমিটুকু রক্ষায় মরণপণ লড়াই করছেন কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে একদল তুর্কি সেনা। পরাশক্তির বিরুদ্ধে কয়েকটি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতাও পেয়েছেন তাঁরা। গ্রীকদেরকেও তাড়িয়ে দিয়েছেন নিজেদের ভূখণ্ড থেকে। ২৮ অক্টোবর ১৯২২ সাল। মিত

নেককার সন্তান

  মা-বাবা হওয়া সহজ হলেও দায়িত্বশীল মা-বাবা হওয়া সহজ নয়।মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে আম্মু আব্বু ডাক শোনার সৌভাগ্য সবার হয়না । আল্লাহ অসীম অনুগ্রহ করে সন্তান দান করে থাকেন। সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সন্তানের কারণে উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। তাই আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি তাদের মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (আল কুরআন, ২৫:৭৪)। ছেলে-মেয়েকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তুললে তারা দুনিয়াতে যেমন উপকারে আসবে তেমনি পিতামাতার জন্য তারা পরকালে মুক্তির কারণ হবে। সন্তান পৃথিবীতে আপনার মান-সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি করে আপনার প্রতিষ্ঠিত নিয়ম নীতি ও আদর্শকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। আপনি পৃথিবীতে যে আদর্শ রেখে ইন্তেকাল করবেন সে আদর্শকে পরে জীবিত রাখবেন আপনার সন্তান। জনৈক ব্যক্তিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করা হলে সে অবাক হয়ে বলবে, এমন মর্যাদা কোন আমলের বিনিময়ে পেলাম? আমিতো এতো সৎ আমল করিনি। বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের প্রার্থনার কারণেই তোমাকে এ মর্যাদা

ঐতিহ্য ভেঙ্গে পহেলা হিজরি কাবার গিলাফ পরিবর্তন

ছবি
কাবা শরীফের গিলাফ একটি বস্ত্রখণ্ড যা দ্বারা কাবাকে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়।ঐতিহাসিক সূত্রে বলা হয়েছে, হজরত ইসমাঈল (আ.) প্রথম পবিত্র কাবাঘরকে গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদন করেন।ভিন্ন আরেকটি বর্ণনায় আছে, মহানবীর (সা.) পূর্বপুরুষ আদনান ইবনে আইদ পবিত্র কাবাঘরকে প্রথম গিলাফ দিয়ে আচ্ছাদিত করেন।তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, হিমিয়ারের রাজা তুব্বা আবু কবর আসাদই পবিত্র কাবাঘর গিলাফের মাধ্যমে আচ্ছাদনকারী প্রথম ব্যক্তি। মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মাদ (সা.) এবং হযরত আবু বকর (রা.) কাবা শরিফে গিলাফ পরিয়ে দেন। এরপর থেকে মুসলিম খলিফা এবং শাসকেরা এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়াও নারীদের মধ্যে সর্বপ্রথম কাবা শরিফের গিলাফ পরানোর সৌভাগ্য অর্জন করেন আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের জননী নুতাইলা। মক্কা বিজয়ের পর রাসুলুল্লাহ (সা) কাবাকে লাল ও সাদা কাপড়ে ঢেকে দেন।পরে বিভিন্ন সময়ে সাদা রংয়ের গিলাফ, লাল গিলাফ, হলুদ গিলাফ ও সবুজ গিলাফ ব্যবহার করা হয়েছে। আর এখন ব্যবহৃত হচ্ছে কালো গিলাফ।যদিও গিলাফ নিয়ে এ সব তথ্য সম্পর্কে ভিন্নমতও আছে।১৯৬২ সাল পর্যন্ত কাবাঘরের গিলাফ মিসর থেকে আসত। মাঝে ১৯২৮ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত ব্যবহূত ক

হিজরি সনের ইতিহাস

ছবি
রাসুল (সা.) এবং তাঁর সঙ্গী-সাথিদের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আরবি মহররম মাসকে হিজরি সনের প্রথম মাস ধরে সাল গণনা শুরু হয়েছিল। আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে পবিত্র মক্কা থেকে মদিনায় রাসুলের (সা.) হিজরত থেকেই হিজরি সনের সূচনা। মূলকথা নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বর্ষে রবিউল আউয়াল মাসে রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হিজরতের ঘটনা মুসলিম জাতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে লক্ষ করেই ইসলামি সন প্রবর্তন করা হয়, যাকে ‘হিজরি সন’ বলা হয়। হিজরত মানে ছেড়ে যাওয়া, পরিত্যাগ করা; দেশান্তরি হওয়া ও দেশান্তরি করা। পরিভাষায় হিজরত হলো: ধর্মের জন্য এক স্থান ত্যাগ করে অন্য স্থানে চলে যাওয়া। কামনা-বাসনা বিসর্জন দেওয়া, সংযম অবলম্বন ও আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য পরিত্যাগ করাই হিজরতের অন্তর্নিহিত দর্শন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, যাদুল মাআদ, তারীখুল ইসলাম)।হিজরি সন মূলত চান্দ্রবর্ষনির্ভর। চান্দ্রমাস ২৯ ও ৩০ দিনে হয় বিধায় ৩৫৪ বা ৩৫৫ দিনে বর্ষ পূর্ণ হয়। সৌর মাস হয় ৩০ ও ৩১ দিনে বছর পূর্ণ হয় ৩৬৫ ও ৩৬৬ দিনে। তাই চান্দ্রবর্ষ ও সৌরবর্ষ স

বাগদাদ নগরীর ইতিহাস

ছবি
আব্বাসি খেলাফত মোট ৫২৫ বছর স্থায়ী ছিল। এই দীর্ঘ সময় ৩৭ জন খলিফা খেলাফতের মসনদে বসেন। খলিফা আল মনসুর ছিলেন দ্বিতীয় আব্বাসি খলিফা। আল মনসুর ইরাকের তাইগ্রিস নদীর পশ্চিম তীরে প্রাক-ইসলামী গ্রাম বাগদাদে ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে এই ঐতিহাসিক নগরটি নির্মাণ শুরু করেন। ৩০ জুলাই ৭৬২ সালে খলিফা আল-মনসুর শহরটি নির্মাণের অনুমোদন দেন। এর নির্মাণকাজ শেষ হতে প্রায় চার বছর সময় লেগেছিল। শহরের পরিকল্পনা তৈরির জন্য মনসুর সারাবিশ্ব থেকে প্রকৌশলী, সমীক্ষক এবং শিল্প নির্মাতাদের একত্রিত করেন। ১০ লক্ষাধিক নির্মাণ কর্মী পরিকল্পনাটি জরিপ করতে এসেছিলেন; নগরীর ভবন তৈরি শুরু করার জন্য অনেককে বেতন দেওয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিক ইয়াকুবীর তথ্যানুসারে এক লাখ লোকের অবিরাম পরিশ্রমের ফলে এই সময়ের মধ্যে এত বিশাল একটি নগর নির্মাণ সম্ভব হয়েছিল। শহরটি নির্মাণে ৪০ লাখ দিরহাম খরচ হয়েছিল।আল মনসুর যখন খেলাফতের রাজধানী হিসেবে বাগদাদকে নির্বাচন করেন তখন বাগদাদ ছোট একটি উপ-শহরের মতো ছিল। মনসুর এই স্থানটিকে এতটাই পছন্দ করেছিলেন যে তিনি বলেন: "এটি বাস্তবিকই সেই নগর, যা আমি স্থাপন করি. যেখানে আমি বাস করি এবং যেখানে আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা রাজত

হযরত উমরের শাহাদত

ছবি
উমর ইবনুল খাত্তাব ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এবং প্রধান সাহাবীদের অন্যতম। আবু বকর (রা) এর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। উমর (রা) ইসলামী আইনের একজন অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ ছিলেন। ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন করার কারণে তাঁকে আল-ফারুক (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধি দেওয়া হয়। আমীরুল মু’মিনীন উপাধিটি সর্বপ্রথম তাঁর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। উমরের(রা) দশ বছরের শাসনামলে খিলাফতের সীমানা অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। এসময় সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে আসে। তাঁর শাসনামলে জেরুজালেম মুসলিমদের হস্তগত হয়। তাঁর ব্যাপারে নবীজি সা. ইরশাদ করে ছিলেন, ‘আমার পরে কেউ নবী হলে উমর নবী হতো’। তিনি সেই উমর যিনি নিজে বলেছিলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে দিন-ধর্মের ক্ষতি হতে দেব না’ ৬৪৪ সালে উমর একজন পার্সি‌য়ানের হাতে নিহত হন।হত্যাকাণ্ডটি কয়েকমাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পিরুজ নাহাওয়ান্দি (আবু লুলু বলেও পরিচিত) নামক এক পার্সি‌য়ান দাস উমরের কাছে তার মনিব মুগিরা বিন শোবার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে। তার অভিযোগ ছিল যে তার মনিব মুগিরা তার উপর বেশি কর ধার্

আবুল মুজাফ্ফর মুহিউদ্দীন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব

ছবি
বাদশাহ আলমগীরের (১৬১৮-১৭০৭) পুরো নাম আবুল মুজাফ্ফর মুহিউদ্দীন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব। তাঁর বাবা ছিলেন মোগল সম্রাট শাহজাহান। দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার সময় ‘বাদশাহ গাজী’ উপাধি পান আলমগীর। আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণে মুগল সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটে।তাঁর সময়কালে আসাম ও চট্টগ্রামে অভিযান চালায় মোগল সেনারা। চট্টগ্রামে তখন পর্তুগিজদের দাপট ছিল। চট্টগ্রাম অভিযানের আগে মোগলরা সন্দ্ব্বীপ দখল করে। চট্টগ্রাম দখলের সময় শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি বিপুলসংখ্যক বাঙালিকে মোগলরা মুক্ত করে। সম্রাটের আদেশে তখন চট্টগ্রামের নাম দেওয়া হয় ইসলামাবাদ। মোগল সম্রাট হিসেবে আওরঙ্গজেবের শাসনামল বিভিন্ন যুদ্ধের মাধ্যমে সাম্রাজ্যের সীমানা বহুদূর বিস্তার করেন। তাঁর আমলে দক্ষিণাঞ্চলে ৪ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।তিনি ১৫৮ মিলিয়ন প্রজাকে শাসন করতেন। তার সময় মুঘল সাম্রাজ্যের বাৎসরিক করের পরিমাণ ছিল ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। যা তাঁর সমসাময়িক চতুর্দশ লুইয়ের আমলে ফ্রান্সের বাৎসরিক কর এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ছিল।তাঁর শাসনামলে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হিসেব

ইমাম বুখারী (রহ.)

ছবি
মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ(১৯ জুলাই ৮১০ – ১ সেপ্টেম্বর ৮৭০) একজন বিখ্যাত হাদীসবেত্তা ছিলেন। তিনি "সহীহ বুখারী" হাদীসের সংকলন রচনা করেন, যা মুসলমানদের নিকট হাদীসের সবোর্ত্তম গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদীস তাঁর উপাধি। বুখারা তাঁর জন্মস্থান বলে তাঁকে বুখারী বলা হয়। এ ব্যাপারে সকল ঐতিহাসিক একমত যে ইমাম বুখারী রহ. ১৯৪ হিজরী সনে শাওয়াল মাসের ১৩ তারিখে জুমা‘র নামাযের পর খুরাসানের প্রসিদ্ধ শহর বুখারায় (সাবেক, বর্তমান উজবেকিস্তান) জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালেই তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি তার মাতার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হন। দশ বছর বয়সে উপনীত হয়ে তিনি জ্ঞান চর্চার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন। অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআন মুখস্ত করেন। শৈশব কালে মক্তবে লেখাপড়া করার সময়ই আল্লাহ্ তাঁর অন্তরে হাদীস মুখস্ত ও তা সংরক্ষণ করার প্রতি আগ্রহ ও ভালবাসা সৃষ্টি করে দেন। ১৬ বছর বয়সেই হাদীসর প্রসিদ্ধ কিতাবগুলো পাঠ সমাপ্ত করেন।১৮ বছর বয়সে তিনি হজ্জ পালনের জন্য মক্কায় গমণ করেন। মক্কায় অবস্থান করে ত

রাসুলুল্লাহর (সা.) তায়েফের দিনগুলো

ছবি
সহিহ বুখারিতে বর্ণিত, আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, উহুদের চেয়ে কঠিন কোনো দিন কি আপনার জীবনে এসেছে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তায়েফের দিনগুলোর কথা উল্লেখ করেন। (সিরাতে মোস্তফা : ১/২৭১ ও ২৭৫) চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর পর মহানবী (সা.)-এর ওপর কোরাইশের অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। ফলে তিনি মক্কার বাইরে ইসলাম ও মুসলমানের নিরাপদ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মক্কা থেকে ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত নবুয়তের দশম বছর শাওয়াল মাসে তায়েফ গমন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আজাদকৃত গোলাম ও পালকপুত্র জায়িদ ইবনে হারিসা (রা.)। তায়েফে ১০ দিন তিনি গোপনে, প্রকাশ্যে, একাকী ও সামগ্রিকভাবে দাওয়াত দেন। তিনি বাজারে দাঁড়িয়ে কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেন। (মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস : ১/৩৬২) তায়েফের অদূরে বনি সাকিফ গোত্রে মহানবী (সা.) দুধ পান করেন এবং তায়েফ সর্দারদের একজন কোরাইশ গোত্রে বিয়ে করেছিল। দুধের আত্মীয় ও গোত্রীয় সম্পর্কের কারণে মহানবী (সা.) তাদের থেকে সদাচার প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু তারা চূড়ান্ত পর্যায়ের দুর্ব্যবহার ও অত্যাচার করেছিল।তারা মহানবী (সা.)-কে তায়েফ ত্যাগের ন