নেককার সন্তান
মা-বাবা হওয়া সহজ হলেও দায়িত্বশীল মা-বাবা হওয়া সহজ নয়।মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে আম্মু আব্বু ডাক শোনার সৌভাগ্য সবার হয়না । আল্লাহ অসীম অনুগ্রহ করে সন্তান দান করে থাকেন। সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে না পারলে সন্তানের কারণে উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। তাই আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি তাদের মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (আল কুরআন, ২৫:৭৪)।
ছেলে-মেয়েকে ইসলামী আদর্শে গড়ে তুললে তারা দুনিয়াতে যেমন উপকারে আসবে তেমনি পিতামাতার জন্য তারা পরকালে মুক্তির কারণ হবে। সন্তান পৃথিবীতে আপনার মান-সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি করে আপনার প্রতিষ্ঠিত নিয়ম নীতি ও আদর্শকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। আপনি পৃথিবীতে যে আদর্শ রেখে ইন্তেকাল করবেন সে আদর্শকে পরে জীবিত রাখবেন আপনার সন্তান।
জনৈক ব্যক্তিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন করা হলে সে অবাক হয়ে বলবে, এমন মর্যাদা কোন আমলের বিনিময়ে পেলাম? আমিতো এতো সৎ আমল করিনি। বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের প্রার্থনার কারণেই তোমাকে এ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ: ১০৬১৮, ইবনু মাজাহ: ৩৬৬০) মানুষ মৃত্যুবরণ করলে সৎ সন্তানের দোয়া পিতামাতার উপকারে আসে ( সহিহ মুসলিম: ১৬৩১, মিশকাত ২০৩)।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন