পোস্টগুলি

মে ১০, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোজার উপকারিতা, রোজাদারের করণীয় ও বর্জনীয় এবং রোজা ভঙ্গের কারণ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ মাহে রমজান সমাগত ।বছর ঘুরে আবার আমাদের দ্বারে হাজির হয়েছে পুণ্যময় এই মাস।রোজাদার যাবতীয় কটু বাক্য, ঝগড়া-ঝাটি, খারাপ আচরণ, মানুষ ঠকানো, ঘুষ-দূর্ণীতি, চুরি, পরনিন্দাসহ সকল প্রকার রিপুর তাড়নামুক্ত থাকার চেষ্টা করে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, "পাঁচটি বিষয় রোজাদারের রোজা বিনষ্ট করে দেয়- মিথ্যা বলা, কুটনামি করা, পশ্চাতে পরনিন্দা করা, মিথ্যা শপথ করা এবং খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো।"  হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.)  ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা-প্রতারণা ও গোনাহের কাজ ত্যাগ করে না আল্লাহ তায়ালার নিকট তার পানাহার থেকে বিরত থাকার কোনো মূল্য নেই।’ (বোখারি)। রাসুল (সা.) আরো বলেছেন, "রোজার দিনে কেউ তোমার সঙ্গে ইচ্ছে করে ঝগড়া করতে উদ্দ্যত হলে অথবা গালমন্দ করলে তাকে দুবার বলো আমি রোজাদার"(বোখারি শরীফ)। রোজার কিছু  মর্যাদা ও উপকারিতা রয়েছে -যেমন, ১) জাহান্নাম  থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল ২) জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ ৩) গুনাহ  মোচনের অন্যতম মাধ্যম ৪)  রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্ত

রোজাদারের জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার

ছবি
রোজার রাখা হয় আল্লাহর জন্য এবং এর পুরস্কার তিনি নিজে দেবেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে, যখন সে আনন্দিত হবে। এক. যখন সে ইফতার করে তখন ইফতারের কারণে আনন্দ পায়। দুই. যখন সে তার রবের সঙ্গে মিলিত হবে তখন তার রোজার কারণে আনন্দিত হবে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যখন সে আল্লাহর সঙ্গে মিলিত হবে, আর তিনি তাকে পুরস্কার দেবেন, তখন সে আনন্দিত হবে। (বুখারি-১৯০৪, ১৮৯৪; মুসলিম -১১৫১)    হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয় একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোজা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে।’ (মুসলিম - ১১৫১; ইবনে মাজা - ১৬৩৮)। আল কুরআনের সূরা আন-আম এর ১৬০ নং আয়াতে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে , ‘কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশগুণ পাবে।’  সূরা বাকারার ২৪৫ নং আয়াতে যেমন উল্লেখ

চীনের উইঘুর মুসলমানদের রোজা রাখতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা।

বছর ঘুরে মুসলিম বিশ্বে এসেছে মাহে রমজান। এ রমজান মুসলমানদের জন্য বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। সারা বিশ্বের মুসলমানরা রোজা রাখতে পারলেও চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমরা রমজান মাসে রোজা রাখতে পারছে না। জিনজিয়াং চীনের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। এবং একই সাথে এই অঞ্চল চীনের সবচেয়ে বড় প্রদেশ। এর সীমান্তের ওপাশে আছে আরো কয়েকটি দেশ- ভারত, আফগানিস্তান এবং মঙ্গোলিয়া। মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী। বর্তমানে উইঘুররা মূলত চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাস করে। উইঘুররা এই অঞ্চলের সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৬টি নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অন্যতম। এখানকার ৮০% উইঘুর অঞ্চলের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে তারিম বেসিনে বসবাস করে।জিনজিয়াং এর বাইরে উইঘুরদের সবচেয়ে বড় সম্প্রদায় দক্ষিণ মধ্য হুনান প্রদেশে রয়েছে।চীনের বাইরে মধ্য এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র যেমন কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উইঘুর বাস করে। উইঘুরদের বেশিরভাগই মুসলিম। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে তাদের  সংখ্যা প্রায় এক কোটি দশ লাখ। নিজেদেরকে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে মধ্য এশীয়র লোকজনের কাছাকাছি বলে মনে