পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৮, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

লাত উযযা ও মানাত এদের পরিণতি

ছবি
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও উযযা সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে।(সুরা নাজম আয়াত-১৯-২০)। এ কথা মুশরিকদেরকে তিরস্কার করে বলা হচ্ছে যে, এই হল আল্লাহর মহিমা যা উল্লেখ হয়েছে। তিনি হলেন জিবরীল (আ)-এর মত মহান ফিরিশতার স্রষ্টা। মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটি হল তাঁর রসূল। তাঁকে তিনি আসমানে ডেকে নিয়ে স্বীয় বড় বড় নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করেন। তাঁর উপর অহীও অবতীর্ণ করেন। বল তো, তোমরা যেসব উপাস্যের উপাসনা কর, তাদের মধ্যেও কি এই বা এই ধরনের গুণাবলী আছে? অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের যে শিক্ষা দিচ্ছেন তোমরা তো তাকে গোমরাহী ও কুপথগামিতা বলে আখ্যায়িত করছে। অথচ এ জ্ঞান তাকে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে। আর আল্লাহ তা’আলা তাকে চাক্ষষভাবে এমন সব সত্য ও বাস্তবতা দেখিয়েছেন যার সাক্ষ্য তিনি তোমাদের সামনে পেশ করছেন। এ প্রসঙ্গে বিশেষভাবে মুশরিক আরবদের তিনজন দেবীর কথা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যাদেরকে মক্কা, তায়েফ, মদীনা এবং হিজাজের আশে পাশের লোক জন বেশী বেশী পূজা করত। তফসীরে কুরতুবীর বরাতে তফসীরে মাআরেফুল কোরআনে বলা হয়েছে,

আল্লাহ যেভাবে ইহুদিদের বানর বানিয়ে ধ্বংস করলেন

ছবি
হযরত ইসহাক (আ.)-এর পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধররা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত। বনি ইসরাইল হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধরদের একটি শাখা। এ শাখারই একটি অংশ পরবর্তীকালে নিজেদের ইহুদি নামে পরিচয় দিতে থাকে। ইয়াকুব (আ)-এর উপাধি ইসরায়েল। এই ইয়াকুব বা ইসরায়েলের ১২ সন্তান। ১২ সন্তানের চতুর্থ জনের নাম ইয়াহুদাহ। ইয়াহুদাহর অনুসারীরা তাঁর নামানুসারে ইয়াহুদি নামে পরিচিত হয়।হজরত ইয়াকুব (আ.)-এর এক পুত্রের নাম ছিল ইয়াহুদা । সেই নামের অংশবিশেষ থেকে ‘ইহুদি’ নামকরণ করা হয়েছিল। (তাফসিরে মাওয়ারদি - ১/১৩১)। ইহুদিবাদের আদি স্থপতি মুসা বা মোজেস। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের ওপর আরোপ করা হলো লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল। এ জন্য যে তারা আল্লাহর বিধা

হযরত দাউদ (আ.) তালুত বনাম অত্যাচারী শাসক জালুতের যুদ্ধ

ছবি
আল কুরআনে আল্লাহ পাক আলোচ্য কাহিনী রাসুল্ কে জানিয়ে দিয়েছেন, যা তিনি কখনো কারো কাছে পড়েননি, কারো কাছে শোনেননি কিংবা তিনি নিজেও সেসব ঘটনা দেখেননি; আর সে সময় তথ্যপ্রযুক্তিরও যুগ ছিল না যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধারণকৃত দৃশ্য তিনি দেখে বলছেন, তাও নয়। বরং এ ঘটনা স্বয়ং আল্লাহ জানিয়ে দিচ্ছেন, যা সত্যিই বিস্ময়। দাউদ বাইবেলে যাকে ডেভিড নামে অভিহিত করা হয়েছে। বাইবেলের পুরানো নিয়মে (ওল্ড টেস্টামেন্ট) দাউদ(আ.) কে বলা হয়েছে সেন্ট লুইস ডেভিড।বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে, তিনি ছিলেন একজন ইসরায়েল রাজতন্ত্রের দ্বিতীয় রাজা এবং বাইবেলের নূতন নিয়ম অনুসারে গালাতীয়দের প্রতি পত্র ও লূকলিখিত সুসমাচার মতে যীশুর পুর্বপুরুষ ইয়াকুবের পুত্র, ইয়াহুদার অধস্তন বংশধর । তার পিতার নাম জেসি।তার পিতামাতার অনেক পুত্র সন্তানের মধ্যে দাউদ ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান।বাইবেলের বিবরণে, ডেভিড একজন অল্প বয়সী মেষপালক ছিলেন, যিনি প্রথম একজন সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন এবং গলিয়াত দ্বারা মৃত্যুবরণ করেন। ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রথম রাজা ছিলেন তালুত, যাকে বাইবেলে বলে সল (Saul)।দাউদ রাজা সল প্রিয় ছিলেন এবং সলের ছেলে যোন