পোস্টগুলি

এপ্রিল ৬, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করোনার ভয়াবহতায় মুসলিমরা আজ তিন ভাগে বিভক্ত

এক. একপক্ষ শুধু ভরসা করে কিন্তু বাহ্যিক কোনো উপায় অবলম্বন করে না।আল্লাহর উপর ভরসা সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ বলেন,  ‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, এবং তিনিই সর্বোত্তম কর্মকর্তা।’ (আলে-ইমরান, আয়াত-১৭৩) দুই. এই পক্ষ নানাপন্থা অবলম্বন করলেও আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে না। (যা সম্পূর্ণ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি)। তিন. মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী। এদের বৈশিষ্ট্য হলো, তারা আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখার পাশাপাশি সুরক্ষার নিমিত্তে পূর্ণ সতর্কতা নিয়ে নানা উপায় অবলম্বন করে।আর তুমি তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা (কাসদ) অবলম্বন কর এবং তোমার কণ্ঠস্বর নীচু করো; নিশ্চয় সুরের মধ্যে গর্দভের সুরই সবচেয়ে অপ্রীতিকর।(সুরা লোকমান, আয়াত -১৯)। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও।( বুখারী) এই ভরসা হবে কাজের মধ্য দিয়ে। হাদিসে এসেছে, হযর

মাযলুমদের করোনা

আজ কাশ্মীরের মুসলিমরা আগে থেকেই ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে। ফিলিস্তিনের অবুঝ শিশু নারী পুরুষ হানাদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দেওয়া সীমা রেখার কোয়ারেন্টিন বন্দি।ইয়েমেন নামক গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে লকডাউনে। সিরিয়ার মাজলুমরা আপাতত শক্তিশালি বোমা থেকে আইসোলেটেড। এসব জনপদের মানুষের জীবনে করোনা কি, আর মহামারী কি! তারা আপাতত নিষ্কৃতিতে। তারা তাদের অবস্থান থেকে যালিম, নির্বাক মানুষদের অসহায়ত্ব দেখছে। আর হয়তো তাদের মনে করুণা জাগ্রত হচ্ছে। দোয়া করছে হে রাব্বুল আলামিন ওদের হেদায়েত দাও। আমরা যেখানে করোনার আতঙ্ক হতে মুক্তি চাচ্ছি,  ওদের কামনাও হয়তো আমাদের মুক্তি নিয়ে। ওদের ওপর নিপীড়নকারীরা আজ খাঁচায় বন্দি। যতদিন তারা খাঁচায়, করোনার ভয়ে বিহ্বল। ততদিন ওদের একটু খানি নিষ্কৃতি ও শান্তি। করোনা আতঙ্ক কেটে যাবার পর ওদের জীবনে আবার নেমে আসবে হয়তো ঘোর অমানিশা, বীভৎসতা। তবুও মানবতা জাগ্রত হবে না।

যে মহাদেশে করোনা নেই

ছবি
মো.আবু রায়হান: করোনা ভাইরাস পৃথিবীর প্রায় দুশো দেশে হানা দিয়েছে।করোনা ইতোমধ্যে মৃত্যু উপত্যকা বানিয়েছ অনেক দেশ ও জনপদ। পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা এখনো করোনা মুক্ত। এই অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ পৃথিবীর সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু এই মহাদেশের অন্তর্গত। সামগ্রিকভাবে অ্যান্টার্কটিকা হল পৃথিবীর শীতলতম, শুষ্কতম এবং সর্বাধিক ঝটিকাপূর্ণ মহাদেশ।আয়তন ১,৪২,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৫,০০,০০০ বর্গমাইল।আয়তনে অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ এবং আয়তনে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় দ্বিগুণ। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বনিম্ন জনবসতিপূর্ণ মহাদেশ। সমগ্র মহাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরই ১,০০০ থেকে ৫,০০০ লোক বসবাস করে। তন্মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৮৯ জন মানুষ বসবাস করছে অ্যান্টার্কটিকায়। করোনা থেকে বাঁচতে ২৮ টি দেশের ৪ হাজার মানুষ বাস শুরু করেছে মহাদেশটিতে। গণামধ্যম নাইন ডট কম এইউকে এ তথ্য জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। গবেষকরা বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা বলছেন অ্যান্টার্কটিকাকে এবং করোনা থেকে বাঁচতে এখানে এসে বাস

একজন আজহারীর চলে যাওয়া এবং ওয়াজের স্টাইল কেমন হওয়া উচিত?

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ এই মুহুর্তে খুব বেশি আলোচনায় রয়েছেন তরুণ উদীয়মান ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। কুরআন হাদীস ও যুগের সঙ্গে মিল রেখে দেওয়া তার ইসলামি বক্তৃতা দেশের লাখ লাখ  ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষ করে তরুণ সমাজের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।ইতোমধ্যে আজহারী রীতিমতো তরুণদের আইডলে পরিণত হয়েছেন।বাংলা ভাষাভাষী সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ ইউটিউবে শোনছেন ও দেখছেন তার হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য। সেই সঙ্গে তিনি চষে বেড়িয়েছেন  ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের বাংলাদেশ। যেখানেই গিয়েছেন আবাল বৃদ্ধা থেকে শুরু করে তরুণ যুবারা হয়েছেন তার ইসলামি বক্তব্যের মনোমুগ্ধকর শ্রোতা। জনগণ ব্যাকুল হয়ে উপচে পড়া ঢেউয়ের মতো হাজির হয়েছেন তার মাহফিলে, তার কথা শুনতে ও এক নজর দেখতে।আজহারীর বয়ান শুনতে ঘন্টা পর ঘন্টা অপেক্ষা, বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। প্রচন্ড হাড় কাঁপুনি শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করে হিন্দু মুসলিম সকলেই হয়েছেন তার মাহফিলের শ্রোতা।ভারতীয় উপমহাদেশে যে ওয়াজ মাহফিলের জনাসমাগমের রেকর্ড তা এখন আজহারীর দখলে।এতোদিন গ্রাম গঞ্জের মানুষ  রাত জেগে ওয়াজ মাহফিল শোনে নিজেদের ইসলামের রঙে রঙিন করতেন। এখন শুধু রাত নয়, দিনে

বিপদে আল্লাহকে স্মরণ ও একটি গল্প

ছবি
মো.আবু রায়হান : জাহাজ থেকে এক ব্যক্তি সাগরের পানিতে পড়ে যায়। জীবন বাঁচানো তার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। কোনোমতে খড়কুঁটো ধরে প্রাণপণ বেঁচে থাকার চেষ্টা। এরমধ্যে মাথায় বুদ্ধি এলো এই বিপদে আল্লাহকে ডাকি ও কিছু মান্নত করি।সে বলল আল্লাহ এই বিপদ থেকে যদি তুমি রক্ষা করো তাহলে আমি দশজন গরীবকে তেহারি খাওয়াবো। আল্লাহ তার কথা শুনলো এবং  বড় একটা ঢেউয়ে ঐ ব্যক্তিকে তীরের কাছে নিয়ে আসলো। তীরের খুব কাছাকা‌ছি আসার পর ঐ ব্যক্তি বললো কিসের তেহারি? এবার আবার জোরে একটা ঢেউয়ে বেচারাকে আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলো। এবার ঐ ব্যক্তি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বলল আল্লাহ আগে শুনবে তো। কিসের তেহারি মানে কি? বলছি গরু, ছাগল না মুরগীর তেহারি। অবাধ্যতা ও পাপাচারের দরুন একসময় দুনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের শাস্তি নেমে আসে। তখন মানুষ আল্লাহকে ডাকতে থাকে। কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে থাকে। বিপদ আপদ ব্যাধি, দুর্যোগ মহামারি এলে আমরা মহা ঈমানদার হয়ে যায়।মহান আল্লাহ যখন তাঁর বান্দাকে বিপদমুক্ত করেন তখন সে পুনরায় আল্লাহকে ভুলে যায়। সে মনে করতে থাকে অন্য কারো মাধ্যমে, অন্য কোনো উপকরণের অছিলায় তার বিপদ দূর হয়েছে। এটা শির

ইসলাম দিয়েছে আইসোলেশনের ধারণা

ছবি
  মো.আবু রায়হান : করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে আইসোলেশন কথাটি খুব বেশি আলোচিত হচ্ছে। আইসোলেশনের বহুবিধ অর্থ থাকলেও  রোগীকে আলাদা ব্যবস্থায় রেখে চিকিৎসা করাকে আইসোলেশন বুঝানো হয়। ‘The complete separation from others of a person suffering from contagious or infectious disease.’ কারো শরীরে করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে, সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে, মূল কথা করোনার উপসর্গ হয়েছে তা ধরা পড়লে তাকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।আইসোলেশনের সময় চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে থাকতে হয় রোগীকে। অন্য রোগীদের কথা ভেবে হাসপাতালে আলাদা জায়গা তৈরি করা হয় এসব রোগীদের জন্য। অন্তত ১৪ দিনের মেয়াদে আইসোলেশন চলে। অসুখের গতিপ্রকৃতি দেখে তা বাড়ানোও হতে পারে। আইসোলেশনে থাকা রোগীর সঙ্গে বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না। তাদের পরিবার পরিজনের সঙ্গেও এই সময় দেখা করতে দেওয়া হয় না। জরুরী প্রয়োজনে দেখা করতে দেওয়া হলেও অনেক বিধিনিষেধ মেনে অনুমতি মিলে। যেহেতু করোনা অসুখের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই আক্রান্ত ব্যক্তিকে এই সময় কিছু অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ দিয়ে, শরীরের রোগ

মো.আবু রায়হানের কবিতা

এসো সালাউদ্দিন আইয়ুবী এসো সত্যের লড়াকু সৈনিক,  বায়তুল মোকাদ্দাস কিবলা ইহুদিরা অশুচি করছে দৈনিক।  ওমরের স্মৃতি যে জনপদে রাসুলুল্লাহর(স.)ঐ মিরাজ,  সে পবিত্র মসজিদ আঙিনায়  ইহুদী আবাস ভূমি বিরাজ। আজ হাতে নাও তীক্ষ্ণ কৃপাণ সঙ্গে কালেমার বিজয়ী নিশান,  তাকবীর ধ্বনিতে দৃঢ় করো ভাই তামাম দুনিয়ার মুসলিমের ঈমান। ৬/৪/২০১৮

মো.আবু রায়হানের কবিতা

কোথায় আলী সাইফুল্লাহ জাগবে না তুমি, ঘুমে রবে?  নাঙ্গা তলোয়ার নাও হাতে,  হও আগুয়ান আজি সবে।  মুসলিমের খুনে বিশ্ব লাল আবার আসিছে কারবালা,  শোকের মাতমের নয়রে দিন কেন নিরব মিছে হরবোলা। জাগবে তারিক, মুহাম্মদ বিশ্ব বিজয়ী মুসলিম বীর,  ধরার বুকে বুলন্দ হবে তাওহিদের সেই তাকবীর। আসবে ফিরে সেই সুদিন মিলিবে মানবের মুক্তি,  নিপীড়িত নিঃস্ব ফিরে পাবে বেঁচে থাকার সাহস শক্তি।       ৬/৪/২০১৮ ঈসায়ী।

আগামী দু'সপ্তাহ কেন বাংলাদেশের জন্য এতো ভয়ের ?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের ৪০-৫০ দিনের মধ্যে এটি মহামারি আকার ধারণ করেছে।  ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ৪৩তম দিনে আক্রান্তের হার ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এরপর  স্পেনে ৫০ দিনের মাথায় এবং আমেরিকার ৫৫তম দিনে করোনা মহামারি আকার ধারণ করে। দিন যত গেছে আক্রান্তের হার ততই বৃদ্ধি পেয়েছে ঐসব দেশে। শুরুতে মৃত্যুর হার কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়।সে হিসেবে আজ দেশে  করোনা সনাক্তকরণের ২৯ তম দিন চলছে।  ২৯তম দিনে এসে পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর পর এক দিনেই নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়ালো।ইতোমধ্যে ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় আগামী দুই সপ্তাহ দেশের জন্য দুঃসময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। #ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন

সামাজিক দূরত্ব ও ইসলাম

  মো.আবু রায়হান :মানুষ সামাজিক জীব। যুগযুগ ধরে একসাথে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বিশেষ সময় যেমন মহামারি প্রাকৃতিক দুর্যোগে কখনো কখনো তাদের  বিচ্ছিন্ন করেছে কিংবা রোগ মুক্তি ও সুস্থ থাকার জন্য নিজেদের বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে হয়েছে। এই সাময়িক দূরত্বকে সামাজিক দূরত্ব হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।  ইসলাম সামাজিক বন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে কিন্তু বিশেষ কারণে শিথিলতাও দিয়েছে। করোনার প্রেক্ষিতে সামাজিক দূরত্ব ( So-called distance )- হলো নিজের বাসায় থাকা, ভিড়ে না যাওয়া, একজন আরেকজনকে স্পর্শ না করা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই জরুরি, কারণ আক্রান্ত কেউ হাঁচি কাশি দিলে তার সূক্ষ্ম থুতুকণা যাকে ইংরেজিতে ‘ড্রপলেট’ বলা হয় তা বাইরে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই ড্রপলেটের মধ্যে ঠাসা থাকে ভাইরাস।যেসব জায়গায় এ কণাগুলো পড়ে সেসব জায়গায় যদি আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করেন, এবং তারপর আপনার সেই অপরিষ্কার হাত আপনি মুখে দেন অথবা খুব কাছ থেকে সেই কণাগুলো নি:শ্বাসের মধ্যে দিয়ে আপনার শরীরে ঢোকে, আপনি সংক্রমিত হবেন। সামাজিক দূরত্ব কতটুকু হবে সে সমন্ধে আমেরিকার সেন্টারস্‌ ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছেন, প্রত্যেকের সঙ্