আজ কাশ্মীরের মুসলিমরা আগে থেকেই ভারতীয় আগ্রাসনের শিকার হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে। ফিলিস্তিনের অবুঝ শিশু নারী পুরুষ হানাদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দেওয়া সীমা রেখার কোয়ারেন্টিন বন্দি।ইয়েমেন নামক গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে লকডাউনে। সিরিয়ার মাজলুমরা আপাতত শক্তিশালি বোমা থেকে আইসোলেটেড। এসব জনপদের মানুষের জীবনে করোনা কি, আর মহামারী কি! তারা আপাতত নিষ্কৃতিতে। তারা তাদের অবস্থান থেকে যালিম, নির্বাক মানুষদের অসহায়ত্ব দেখছে। আর হয়তো তাদের মনে করুণা জাগ্রত হচ্ছে। দোয়া করছে হে রাব্বুল আলামিন ওদের হেদায়েত দাও। আমরা যেখানে করোনার আতঙ্ক হতে মুক্তি চাচ্ছি, ওদের কামনাও হয়তো আমাদের মুক্তি নিয়ে। ওদের ওপর নিপীড়নকারীরা আজ খাঁচায় বন্দি। যতদিন তারা খাঁচায়, করোনার ভয়ে বিহ্বল। ততদিন ওদের একটু খানি নিষ্কৃতি ও শান্তি। করোনা আতঙ্ক কেটে যাবার পর ওদের জীবনে আবার নেমে আসবে হয়তো ঘোর অমানিশা, বীভৎসতা। তবুও মানবতা জাগ্রত হবে না।
মো.আবু রায়হান: সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন