পোস্টগুলি

মে ২২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইহুদিদের বাটপারী

তাওরাত গ্রন্থে আল্লাহ তায়ালা ইহুদিদের ওপর সুদ হারাম করেন। তারা আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আল্লাহর বাণীর বিকৃতি সাধন করে মনগড়া ব্যাখ্যা স্থির করে। তারা যুক্তি দেয় সুদ হারাম শুধু ইহুদিদের পরস্পরের মাঝে সুদী লেনদেন করা। অন্য ধর্মের লোকদের সঙ্গে সুদী কারবার করতে কোনো বাধা নেই। এভাবে এরা আল্লাহর বাণী নিজেদের মতো পরিবর্তন করে নেয়। এরা যে কত বড় সুদখোর শেকসপিয়রের দ্য মার্চেন্ট অব ভেনিস ( The Merchant of Venice) কমেডি নাটক তার বড় প্রমাণ। হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ে বনি ইসরাইলের একটি জনপদ ছিল সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি লোহিত সাগরের তীরবর্তী আইলাহ অঞ্চলে। এখানকার ইহুদিদের প্রধান পেশা ছিল মৎস্যশিকার। পুরো সপ্তাহ তারা মাছ শিকার করত আর শনিবার ছিল ইবাদতের দিন। সেদিন দাউদ (আ.) আসমানি কিতাব জাবুর পাঠ করতেন। অনেক সৃষ্টিজীব মুগ্ধ হয়ে তার জাবুর পাঠ শ্রবণ করত। শনিবার দিন নদী ও সমুদ্রতীরে অনেক বেশি মাছ আসত। যেহেতু একটি পবিত্র উদ্দেশ্যে এসব প্রাণী একত্র হতো, তাই আল্লাহর পক্ষ থেকে হজরত দাউদ (আ.) সে দিন মাছ শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা তার উম্মত বনি ইসরাইলকে জানিয়ে দেন। যেহেতু শনিবারেই সমস্ত মাছ

ইসরায়েল ফিলিস্তিন সংঘাত ও একজন নোয়াম চমস্কি

ছবি
নোয়াম চমস্কি একজন মার্কিন তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও সমাজ সমালোচক। তিনি বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি নামক মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজীবন অধ্যাপক (Emeritus professor) এবং একই সাথে ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা নামক মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর জন্ম একটি ইহুদি পরিবারে।তাঁর বাবা, জেয়েভ উইলিয়াম চমস্কি এবং এলসি সাইমনোফস্কি ছিলেন ইহুদি অভিবাসী। উইলিয়াম ১৯১৩ সালে রাশিয়ান সাম্রাজ্য থেকে পালিয়ে বাল্টিমোর সোয়েটশপ এবং হিব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ করেছিলেন। ফিলাডেলফিয়ায় চলে আসার পরে, উইলিয়াম মিকভেহ ইস্রায়েল ধর্মীয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন এবং গ্র্যাটজ কলেজে যোগদান করেন। চম্‌স্কি রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী হিসেবে মার্কিন অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বৈদেশিক নীতি ও বুদ্ধিজীবী সংস্কৃতির উপর তথাকথিত মার্কিন অর্থনৈতিক অভিজাতদের ক্ষতিকর প্রভাব বিশ্লেষণ করেন; যার সুবাদে তিনি বিশ্বব্যাপী অসংখ্য ভক্ত ও অনুরাগী অর্জন করেন। নোয়াম চমস্কি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধ্বংসাত্মক ফলাফলগুলি নিয়ে নিয়মিত খোলাখুলি সমালোচনা করেন। তিনি বল

ফেসবুকে ইসরায়েল বিরোধী কনটেন্ট উধাও কেন?

  ফিলিস্তিন ইসরায়েল সংঘাত শুরু হবার পর ফেসবুকে ইসরায়েল বিরোধী কোনো কনটেন্ট দিলে তা অপসারণ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন? ফেসবুকের কনটেন্ট দেখভাল করে অর্থাৎ নজরদারি করে যে ওভারসাইট বোর্ড, তার অন্যতম সদস্য হলেন ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক এমি পালমোর। পালমোর একসময় ইসরায়েলের সাইবার ইউনিটে কাজ করেছেন এবং তিনি ফেসবুক থেকে ফিলিস্তিনপন্থী হাজার হাজার কনটেন্ট অপসারণে লিয়াজোঁ করেছেন। পূর্ব জেরুজালেমের কাছের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার দৃশ্য অনেকে ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছিলেন। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম সে কনটেন্টগুলো পরিকল্পিতভাবে ‘সেন্সর’ করেছে। এসব কনটেন্ট মুছে দেওয়ার যুক্তি দিয়ে ইনস্টাগ্রাম বলছে, এটি নাকি ‘গ্লোবাল টেকনিক্যাল ইস্যু’। সম্প্রতি ফিলিস্তিনি লেখক মারিয়াম বারঘুতির টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়। টুইটার পরে তাঁর অ্যাকাউন্ট সচল করে বলেছে, বারঘুতির অ্যাকাউন্ট ‘দুর্ঘটনাবশত’ বন্ধ হয়েছিল।

কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে আবেগঘন বক্তব্য রাশিদার

ছবি
২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে পুনর্নির্বাচিত হন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত রাশিদা তালেব। ডেমোক্রেটিক পার্টির টিকিটে মিশিগানের ১৩তম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে রিপাবলিকান প্রার্থী ডুডেনহুয়েফারকে বিপুল সংখ্যক ভোটে হারিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৮ সালের কংগ্রেস নির্বাচনেও জয় পেয়েছিলেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর নির্যাতনসহ নানা ইস্যুতে নিজের বলিষ্ঠ অবস্থানের কারণে বারবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনায় পড়েন রাশিদা। এমনকি নিজ দলের গঞ্জনাও সহ্য করতে হয়েছে তাকে। তবে বাইডেন এবার তার বক্তব্যের প্রশংসা করেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যখন ‘ইসরাইলিদের আত্মরক্ষার অধিকার আছে’ নীতি গ্রহণ করেছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আবেগঘন বক্তব্য রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি রাশিদা তালেব। তার পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান ইসরাইলের বোমা হামলায় তেঁতে উঠছে। ভবন মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে মাটির সঙ্গে। রকেট হামলার জবাব দিতে পুরোপুরি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ অবস্থায় নিজের আবেগকে ধরে রাখতে পারেননি রাশিয়া তৈয়ব। মার্কিন কং

ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামে শহিদ রানতিসি

ছবি
মো.আবু রায়হান পুরো নাম আবদুল আজিজ আলি আবদুল মজিদ আল রানতিসি। রানতিসির জন্ম হয় ১৯৪৭ সালের ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র ঘোষিত হওয়ার সাত মাস আগে। ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষিত হওয়ায় তার বাবা মা ইয়াফা থেকে হিজরত করে গাজার খান ইউনুস শরণার্থী শিবিরে উঠেন। রানতিসি ছয় বছর বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু প্রকট আর্থিক সমস্যার কারণে পরিবারকে সহায়তার জন্য তাকে ওই বয়সেই পড়াশুনার পাশাপাশি বিক্রেতার কাজ করতে হয়েছে। হাইস্কুলের পাঠ শেষে মিশরের আলেক্সান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগের ছাত্র হন রানতিসি।১৯৭৬ সালে এই বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করেন তিনি। এরপর রানতিসি সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চিকিৎসা শিক্ষাদান এবং অসুস্থ ও আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসায় নিয়োজিত হন। ইসরাইলী কর্তৃপক্ষ রানতিসি ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার কারাগারে পাঠায়। ১৯৯৭ সালে শেষ বারের মত কারামুক্ত হয়েছিলেন রানতিসি। ১৯৮৭ সালে হামাসের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৯২ সালে হামাস এবং ইসলামী জিহাদ দলের চার শত জন সক্রিয় মুজাহিদ ও নেতাসহ ডক্টর রানতিসিকে লেবাননে নির্বাসনে প

ফিলিস্তিনিদের এ কেমন বিজয় উৎসব?

ছবি
শর্তহীন যুদ্ধ বিরতি। অবৈধ দখলকৃত ভূমি ইসরায়েল ছেড়ে দেয়নি। ভবিষ্যতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করবে না তার নিশ্চয়তা নেই।কয়েকদিনে নিহত গাজা বাসিকে ক্ষতিপূরণ এবং যা ইমারত ধবংস হয়েছে পুননির্মাণ করে দেবে এমন কোনো কথাও বলা হয়নি। ইসরায়েল তাদের সৈন্যদের বিচার করবে সেই প্রতিশ্রুতি নেই। যেসব পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা নিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত তাদের বাড়ি ঘর ফিরে দেয়া হবে কি না তা ষ্পষ্ট নয়।তাহলে কিসের যুদ্ধ বিরতি? কিসের এতো উচ্ছ্বাস! এখনো গাজায় নারী ও শিশুর রক্তের ছাপ শুকায়নি। ছেলে হারা মায়ের গগনবিদারী আর্তনাদ এখনো প্রকৃতিকে বিষন্ন ও শোকার্ত করে রেখেছে। সেখানে গাজার মানুষের আনন্দ উৎসব আহম্মকের কাজ মনে হয়েছে। এরা আসলেই নালায়েক। নিজেদের ভুলেই এদের দুর্গতি ও করুণ পরিণতি। এদের আতশবাজি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার লাফালাফির মতো মনে হয়েছে। দুঃখিত কঠিনভাবে কথাগুলো বলার জন্য। ফিলিস্তিনের জন্য আবেগের জায়গা থেকে কথাগুলো বলা। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অবিরাম ভালোবাসা।

যুদ্ধ বিরতি নয় ইসরায়েলের দম ফেলানোর সুযোগ

  শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে ইসরায়েল হামাসের যুদ্ধ যুদ্ধবিরতি। এর মধ্য দিয়ে ১১ দিনের সহিংসতার আপাতত অবসান হলো, যাতে অন্তত ২৪৩ জন মারা গেছে এবং তাদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাযায়। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এ সহিংসতায় গাযায় প্রায় একশ নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৩২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।ইসরায়েলে দুটি শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে।আর আহত হয়েছে অন্তত ৩৩০ জন।ইসরায়েলের দাবি গাযা থেকে তার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস।ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে এবারের সংঘাতকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। ২০১৪ সালের ওই সংঘাতে দুই হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরাইলের পক্ষে প্রাণহানি ছিল ৭৪, যাদের অধিকাংশই সেনাসদস্য। ইসরায়েল বলছে তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সর্বসম্মতভাবেই। আর নজিরবিহীন সামরিক সাফল্য দাবি করে টুইট করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। অন্যদিকে হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছে, ইসরায়েল যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে, সেটি ফিলিস্তিনের মানুষের কাছে জয়ের মতো এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়া