পোস্টগুলি

জানুয়ারী ৬, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শয়তানের যত ক্ষমতা

ছবি
কোরআনে শয়তান শব্দটি এক বচন ।যা ৬৩ বার আর ‘শায়াতিন’ শব্দটি বহু বচন ।যা ১৮ বার উল্লেখ করা হয়েছে।শয়তান অর্থ বিতাড়িত, বিদূরিত, বঞ্চিত ইত্যাদি। শয়তান হক থেকে বিদূরিত এবং কল্যাণ থেকে বঞ্চিত বলে তাকে শয়তান বলা হয়। এ ছাড়া তার আরো নাম আছে।পৃথিবীতে শয়তান মুমিনের প্রধান শত্রু। কোরআনের অসংখ্য স্থানে আল্লাহ শয়তান সম্পর্কে মানবজাতিকে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না; সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৮) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২০৮)। শয়তানের খাদ্য হলো, হাড়, গোবর ইত্যাদির ঘ্রাণ ও বিসমিল্লাহবর্জিত খাদ্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে খাবার গ্রহণের সময় বিসমিল্লাহ পড়া হয় না, শয়তান তা নিজের জন্য বৈধ মনে করে।’ তার পানীয় হলো মদ, শিকারের ফাঁদ হলো নারী, বার্তাবাহক হলো গণক, কিতাব হলো অশ্লীল কল্পিত গ্রন্থাবলি, কথা হলো মিথ্যা, মুয়াজ্জিন হলো বাঁশি, বাদ্যযন্ত্র, উপাসনালয় হলো বাজার।আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাস

যেসব প্রাণী জান্নাতে যাবে

ছবি
পৃথিবীতে মানুষের পরেই প্রাণিজগতের স্থান। প্রাণিজগৎকে পৃথক জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিয়ে কোরআন বলছে: পৃথিবীতে বিচরণশীল যত প্রাণী আছে আর যত পাখি দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়, তারা সবাই তোমাদের মতো একেক জাতি।' (সুরা আনআম, আয়াত ৩৮) পবিত্র কোরআনে বিক্ষিপ্তভাবে অসংখ্য আয়াতে প্রাণিজগতের প্রসঙ্গ এসেছে। এর বাইরেও পৃথকভাবে বিভিন্ন প্রাণীর নামে অনেকগুলো সুরার নামকরণ করা হয়েছে। যেমন সুরা বাকারা (গাভি), সুরা আনআম(উট, গরু, বকরি), সুরা নাহল (মৌমাছি), সুরা নামল(পিপীলিকা), সুরা আনকাবুত (মাকড়সা), সুরা ফিল(হাতি) ইত্যাদি। এসব নামকরণ থেকে প্রাণিজগতের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট ফুটে ওঠে। যেসব প্রাণী(জীব) জান্নাতে যাবে- ১,হযরত মুহাম্মদ(সা:) যে উটে আরেহন করে হিজরত করেছিলেন। ২,হযরত সালেহ(আ:) এর উট। ৩,হযরত ইবরাহীম(আ:) যেই গো-বৎসটি মেহমানদের জন্য ভুনা করেছিলেন। ৪,হযরত ইসমাঈল(আ:) এর বদলায় যে মেষটি প্রেরণ করা হয়েছিল। ৫,হযরত মূসা(আ:) যে গাভীটি কুরবানী দিয়েছিলেন। ৬,হযরত ইউনুস(আ:) কে যে মৎস্যটি গ্রাস করে পরে বের করেছিল। ৭,হযরত উজায়র(আ:) এর গাধাটি। ৮,হযরত সুলাইমান(আ:) যে পিপড়াটির সাথে কথা বলেছিলেন। ৯,হযরত সুলাইমান(

হযরত ইদরীস (আ.) বিজ্ঞানী নবী ছিলেন

ছবি
#মো. আবু রায়হান পৃথিবীর প্রথম সহস্রাব্দে হযরত ইদরীস (আ) এর আগমন।হযরত আদম (আ.)-এর ইন্তেকালের ৩৮০ বছর আগে ইরাকের প্রাচীন নগরী বাবেল শহরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বেশির ভাগ সাহাবি(রা.)-এর মতে, তিনি নুহ(আ.)-এর পরের নবী। কিন্তু ইতিহাসবিদ ইবনে ইসহাকের মতে, তিনি নবী হযরত নুহ (আ.)-এর দাদা।’ ইতিহাসবিদরা এ মতকে দুর্বল বলে মনে করেছেন। আদম (আ.)-এর পর তিনিই প্রথম নবী ও রাসুল, যাঁর প্রতি আল্লাহ ৩০টি সহিফা (ছোট কিতাব) নাজিল করেছেন।ইদরিস (আ.)-এর মূল নাম ‘আখনুখ’। ইদরিস তাঁর উপাধি। ইদরিস অর্থ শিক্ষা-শিক্ষকতায় ব্যস্ত ব্যক্তি। যেহেতু তিনি বহুবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন, তাই তাকে ইদরিস বা বিদ্যাবিশারদ বলা হয়। ইদরিস (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে সভ্যতা, সংস্কৃতি ও অনেক বিজ্ঞানসম্মত কাজের আবিষ্কার হয়। তিনি একাধারে বিজ্ঞানী, সফল রাষ্ট্র পরিচালক, কর্মবীর ও কর্মশিল্পী ছিলেন। ইদরিস (আ.) এমন এক ব্যক্তি, যাঁকে মুজিজা হিসেবে জ্যোতির্বিজ্ঞান ও অঙ্কবিদ্যা দান করা হয়েছে।’ (তাফসিরে বাহরে মুহিত)। ইদরিস (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে চিকিৎসাশাস্ত্র একটি অবকাঠামোর রূপ পায়। এর আগে চিকিৎসাশাস্ত্রের নির্ধারিত নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা ছিল

চাকার আবিষ্কারক হযরত আদম (আ.)

ছবি
#মো.আবু রায়হান মানবসভ্যতার ইতিহাসে চাকার আবিস্কার একটি যুগান্তকারী ঘটনা। চাকা বা চক্র যানবাহনে ব্যবহৃত একপ্রকারের বৃত্তাকার যন্ত্রাংশ। চাকার কেন্দ্রস্থলের অবস্থিত অক্ষ বরাবর এটি ঘুরতে পারে। চাকার উপরে গড়িয়ে গড়িয়ে যানবাহন অবস্থান পরিবর্তন করে থাকে।তবে কোথায় কখন এ চাকা আবিস্কার হয়, তার অকাট্য প্রমাণ নেই বললেই চলে। ফলে এ আবিস্কার নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। অবশ্য বিশেষজ্ঞ অনেকেই মনে করেন, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ৫০০০ বছর আগে তথা আজ থেকে ৭০০০ বছরেরও বেশি আগে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় (বর্তমান ইরাকের একটি সভ্যতা) চাকা আবিস্কৃত হয়। ককেশাসের উত্তর দিকে বেশকিছু কবর পাওয়া গেছে, যাতে ৩৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ঠেলাগাড়িতে করে মৃতদেহ কবর দেওয়া হতো। ৩৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি সময়ে তৈরি করা একটি মাটির পাত্র দক্ষিণ পোল্যান্ডে পাওয়া গেছে, যাতে চার চাকার একটি গাড়ির ছবি আছে। এটিই এ পর্যন্ত প্রাপ্ত চাকাযুক্ত গাড়ির ছবির সবচেয়ে পুরনো নিদর্শন বা চিহ্ন। মনে করা হয়, গাছের গোল গুঁড়ি গড়িয়ে যেতে দেখে চাকার ধারণা আসে মানুষের মাথায়। তারা গুঁড়িটি পাতলা করে কেটে তার মাঝখানে ছিদ্র করে লাঠির মতো কিছু দিয়ে চাকতি দ