পোস্টগুলি

মে ৯, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রমজানে যারা গুনাহ মাফ করে নিতে পারেন না তাদের জন্য জিবরাঈলের ধবংস কামনা ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আমিন!!

মো. আবু রায়হানঃতায়েফে রাসুল (সা) যখন তাওহীদের বাণী প্রচার করতে গেলেন তখন তায়েফবাসী পাথর মেরে রাসুলুল্লাহ  (সাঃ) কে রক্তাক্ত করে দিলেন। হযরত জিবরাঈল (আ:) এসে দুপাহাড়কে একত্রিত করে তায়েফবাসীকে ধংস করে দেয়ার অনুমতি চাইলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন, "হে আল্লাহ, তাদেরকে হেদায়েত দান করুন"। দেয়ার নবী শত নির্যাতনের মুখেও তায়েফবাসীর প্রতি দয়া দেখালেন, তাদের জন্য ধবংস কামনা করলেন না। সেই নবীজির আরেকটি হাদিসে আসুন দেখি। কি বললেন তিনি? হাদিস শরীফে এসেছে , নবী কারিম (সা) মিম্বারে উঠে আমিন, আমিন, আমিন বললেন। সাহাবিরা বললেন হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো এরূপ কখনো করেননি। তখন নবী কারিম (সা)বললেন, ঐ ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি বললাম আমিন।অতপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমজান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি বললাম আমিন। হজরত জিবরাইল (আ.) আবারও বলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হলো অথচ সে আমার উপর দরূদ পড়ল না। আমি বললাম আমিন। (সহী ইবনে হিব্বান,৯০৮; আল-আদাবু

গীবত রোজা নষ্ট করে।।। গীবতে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি

ছবি
শয়তান মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্টের যত হাতিয়ার ব্যবহার করেন তারমধ্যে জঘন্যতম হাতিয়ার হলো গীবত। এ গীবত মানুষকে নিকৃষ্টতম প্রাণীতে পরিণত করে। তাই তো মহান আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে এই নিকৃষ্ট স্বভাব থেকে বিরত থাকার তাগিদ দিয়েছেন। গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দোষারোপ করা, অনুপস্থিত থাকা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা, পিছে সমালোচনা করা ইত্যাদি। পরিভাষায় গীবত বলা হয় ‘তোমার কোনো ভাইয়ের পেছনে তার এমন দোষের কথা উল্লেখ করা যা সে গোপন রেখেছে অথবা যার উল্লেখ সে অপছন্দ করে ।’ (মু’জামুল ওয়াসিত)। গীবতের সবচেয়ে ভালো ধারণা পায় নিম্নোক্ত হাদিস থেকে -হযরত আবু হুরায়রা( রা.) থেকে বর্ণিত,   রাসূল (সা.) -  বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) -ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোনো ভাই (দীনি) সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর  রাসূল (সা.) - , আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে  রাসূল (সা.) - বললেন, তুমি