পোস্টগুলি

নভেম্বর ৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পৃথিবী চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে সূর্যের চারদিকে আবর্তিত

প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, মহাবিশ্বের সব কিছুই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে। কিন্তু “পৃথিবী স্থির।” এ ধারণাটা পরবর্তী বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে ভুল প্রমাণিত হয়।পৃথিবী চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয় ঘণ্টায় ৬,০০০ মাইল বেগে এবং সূর্যের চারদিকে একটি আবর্তন সমাপ্ত করতে সময় নেয় প্রায় ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা, ৪৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড। এবং বছরে বিভিন্ন ঋতুর পরিবর্তন ঘটায়। যখন কুরআনে মাজিদ অবতীর্ণ হয়, তখন বিশ্বাস করা হত, সূর্যই ঘোরে, পৃথিবী স্থির। গণিতবিদ টলেমি বলেছেন, আদিম যুগ থেকে মানুষের মনে একটি ধারণা ছিল যে, পৃথিবী স্থির একটি গ্রহ। মহাবিশ্বের সকল কিছু পৃথিবী কে কেন্দ্র করে ঘুরপাক খায়। পিটারসনের পিথাগোরাস পৃথিবীর ঘূর্ণয়নের কথা বললেও তিনি এ মতবাদ প্রমাণ করতে সক্ষম হননি। ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষে সপ্তম শতাব্দীর শুরুর দিকে গ্যালিলীও পৃথিবীর ঘূর্ণয়নের ব্যাপারে প্রমাণ করতে দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। পোল্যান্ডের একজন জ্যোতিবিজ্ঞানী যার নাম “কোপানিকাস” (১৪৭৩-১৫৪৩) প্রথম বলেন, পৃথিবীও ঘোরে। কিন্তু কেউই তার উক্তিটি বিশ্বাস করেনি। অথচ কুরআন মাজিদে এই সত্য অবতীর্ণ হয়েছে, বিজ্ঞানযুগের অনেক প

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম

  পৃথিবীতে আল্লাহ পাক অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। অন্যদিকে কামেল পীর, অলি, দরবেশ, ফকির যে কত এসেছেন তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু সব পীর, ফকির, দরবেশ, অলির সেরা ছিলেন হজরত আবদুল কাদের জিলানী রহ.। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা.-এর ওফাতের প্রায় ৫০০ বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তখন ইসলাম ধর্ম এক নাজুক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছিল।পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ সা.-এর আদর্শ ভুলে মানুষ বিপথে পা বাড়িয়েছিল, ঠিক এমনি সময় হজরত বড়পীর ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া অসংখ্য কাহিনী জানা যায়। তন্মধ্যে একটি হলো - তৎকালীন সময়ে ইরাকে ভালো পড়াশুনা ও ব্যবসার সুযোগ ছিল। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে পড়াশুনা ও ব্যবসার জন্য মানুষ বাগদাদ আসত। পড়াশুনার উদ্দেশ্যে হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) ব্যবসায়িক কাফেলার সাথে বাগদাদ যাওয়ার পথে ডাকাতের কবলে পড়েন। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)কে ডাকাত সর্দার জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সাথে কি আছে? তিনি বললেন, আমার নিকট ৪০টি স্বর্ণ মুদ্রা আছে। ডাকাত সর্দার আশ্চার্যন্বিত হয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন হে যুবক! তুমি তো মিথ্যা কথা বলে আমার নিকট থেকে স্বর্ণ মুদ্রা লুকাতে পারত

কাফের ফতোয়ার ডিলারশিপ

  আজকাল ওয়াজ মাহফিল কিংবা বিভিন্ন আলোচনা সভায় কতিপয় আলেম ওলামা একজন অপর জনকে হরহামেশাই কাফের ফতোয়া দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।এই জনপদে কয়েক বছর ধরে কাউকে কাফের ফতোয়া দেওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যে ব্যক্তি নিজেকে মুমিন বা বিশ্বাসী বলে দাবি করছেন তাকে অবিশ্বাসী বা কাফির বলে আখ্যা দেওয়াকে সাধারণভাবে ‘‘তাকফীর’’ বলা হয়।মুসলিম উম্মাহর মধ্যে প্রকাশিত প্রথম বিভ্রান্তিগুলোর অন্যতম ছিল ‘‘তাকফীর’’ বা মুসলিমকে কাফির বলা। দ্বিতীয় হিজরী শতকে বিদ্যমান বিভ্রান্ত ফিরকাগুলোর মধ্যে একটি বিষয়ে মিল ছিল, তা হলো, নিজেদের ছাড়া অন্যান্য মুসলিমকে কাফির বলে গণ্য করা। এদের মধ্যে ‘‘খারিজী’’ ফিরকার আকীদার মূল ভিত্তিই ছিল ‘‘তাকফীর’’। অন্যান্য ফিরকাও পাপের কারণে বা মতভেদীয় বিষয়ে ভিন্নমতের কারণে মুসলিমদেরকে ঢালাওভাবে কাফির বলতে থাকে। 'আলেমগণ’ ও চার মাজহাবের ইমামগণ একমত যে, নিছক মতপার্থক্যের কারণে কাউকে অবিশ্বাসী বা কাফের বলা জায়েজ বা বৈধ নয়। অনুরূপভাবে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে নাম উল্লেখ করে কাফের ঘোষণা করা যাবে না। আল বাহনাসাবি এ প্রসঙ্গে যথার্থই বলেছেন, ‘কারণ এ বিষয়টি নির্ধারণ করা একান্তভাবে একজন উপযুক্ত বিচারকের কা

আল্লামা ইকবাল ও কর্ডোভা মসজিদ

ছবি
  আল্লামা ইকবাল একাধারে একজন কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও মনীষী। আধুনিক বিশ্বে ইসলামের মর্মবাণীর সার্থক ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। সমাজ, রাষ্ট্র, বিজ্ঞান, ধর্ম, শিল্পবিজ্ঞানসহ নানা ক্ষেত্রে তার রয়েছে অবদান। এসব ক্ষেত্রে নিজস্ব চিন্তা উপদেশ ও দর্শন ছিল এই মহাকবির, যেগুলো তাকে নিয়ে গেছে খ্যাতির আসনে। দিয়েছে অনন্য সম্মান।১৮৭৭ সারের ৯ নভেম্বর অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট শহরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম হয় আল্লামা মোহাম্মদ ইকবালের। ধর্ম নিয়ে ইকবালের দর্শন হচ্ছে- ‘ধর্ম কোনো মতবাদ নয়, কোনো পৌরহিত্য নয়, কোনো অনুষ্ঠান নয়, বরং ধর্ম এমন একটি জীবনবিধান যা মানুষকে বিজ্ঞানের যুগেও তার দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত করে এবং তার প্রতীতিকে দৃঢ় সক্ষম করে দেয়, যার ফলে সে সত্যোপলব্ধিতে সক্ষম হয়ে উঠে।’ তিনি আরও বলেন, ধর্ম পদার্থ বিদ্যাও নয়, রসায়ন শাস্ত্রেও নয় যে, ল্যবরেটরীতে তাকে Experiment ও পরীক্ষা করে বুঝতে হবে। প্রায় সাত'শ বছর স্পেন শাসন করে মুসলমানরা। সেখানে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলীন হলেও তাদের কীর্তি অমর হয়ে ভাস্বর। ১২৩৬ সালে ক্যাসলের রাজা তৃতীয় ফার্ডিনান্দ