পোস্টগুলি

এপ্রিল ৯, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

যুগেযুগে বিভিন্ন পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর যত গজব

ছবি
মো.আবু রায়হান : আল্লাহ তায়ালা বড়ই দয়ালু ও মেহেরমান। তিনি তাঁর সৃষ্টি জগতের প্রতি অত্যন্ত সদাশয় ও ন্যায়নিষ্ঠ। আল্লাহ  তাঁর বান্দাদের হাজারো গুনাহ ক্ষমা করে দেন কিন্তু তাঁর সঙ্গে যারা নাফরমানী করে, অবাধ্য হয়ে যায়, পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সীমা লংঘন করে তাদের তিনি গজবের  দ্বারা পাকড়াও করে সমূলে ধবংস করে দেন। মানুষের পাপে যখন সর্বত্র ছেয়ে যায় তখন আল্লাহর পক্ষ হতে শাস্তি অনিবার্য হয়ে যায়। কুরআনে আল্লাহপাক বলেন, ‘আর তোমাদের কৃতকর্মের কারণই তোমাদের ওপর বিপদ নেমে আসে। অথচ তিনি অনেক কিছুই উপেক্ষা করে থাকেন’ (সুরা আশ শুরা আয়াত- ৩০)। আল্লাহ পাক আরো এরশাদ করেন,‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছেয়ে গেছে। এর পরিণামে তিনি তাদের কোন কোন কর্মের শাস্তির স্বাদ তাদের ভোগ করাবেন যাতে তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে’ (সুরা আর রূম আয়াত - ৪১)।আল্লাহর অবাধ্যতা, সীমালঙ্ঘন ও অবাধ পাপাচারের জন্য আল্লাহ অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি,ঝড়, ভূকম্পন, আকাশের গর্জন ও প্লাবন দিয়ে অতীতে অনেক জাতি ও সম্প্রদায়কে ধবংস করেছেন। আল্লাহ বলেন,'......... তাদের প্রত্যেকেই তার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছিলোম। তাদের কারো

আজ মহিমান্বিত শবেবরাত ফজিলত ও আমল

ছবি
সারা মুসলিম দুনিয়ায় আজি এসেছে নামিয়া শবে-বরাত, রুজি-রোজগার-জান-সালামৎ বণ্টন-করা পুণ্য রাত।                                                 - শবেবরাত, কবি গোলাম মোস্তফা হিজরি পঞ্জিকার অষ্টম মাস তথা শাবান মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়ে থাকে। হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যে পালিত মুসলিমদের একটি পূণ্যময় মহিমান্বিত রজনী শবেবরাত।শবেবরাতের  আরবি হলো লাইলাতুল বরাত। ফারসি শব আর আরবি লাইলাতুন অর্থ রজনী, রাত। বরাত অর্থ হলো মুক্তি, পরিত্রাণ, ভাগ্য। তাহলে সমন্বিত অর্থ দাঁড়ায় পরিত্রাণের রজনী। এই রাতে আল্লাহ মুসলমানদের মাগফিরাত বা গুনাহ থেকে পরিত্রাণ দেন, তাই এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল বরাত বা শবেবরাত। কুরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ ও বিভিন্ন গ্রন্থে শবেবরাতের বর্ণনা আছে ভিন্ন নামে, ভিন্ন শব্দে ও আলাদা পরিভাষায়।কতিপয় আলেমদের অভিমত কুরআনের পরিভাষায় শবেবরাতকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ বলা হয়েছে। হাদিসের পরিভাষায় এটাকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান (মধ্য শাবানের রজনী) বলা হয়। তাফসির, হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিকহের গ্রন্থসমূহে শবেবরাতের আরো কিছ

ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন!

মো. আবু রায়হান :ভাগ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে না, মানুষই ভাগ্য নিয়ে প্রতারণা করে। - পিলপে চেষ্টা চালানো হয় না, ভাগ্যের চাকা ঘুরানোতে যতসব কৃপনতা, ভাল কাজে সময় গড়িয়ে যায় নষ্টে কষ্টে আজে-বাজে তবুও দোষ দেই না আমার, দোষ দেই ভাগ্যের।। ১৮৮৩ সাল, হেনরি জিগল্যান্ড তখন তাগড়া যুবক। কিন্তু সেই বয়সেই মস্ত বড় একটা ভুল করে ফেলেছিলেন, তবে ভাবতে পারেননি সেই ঘটনা তাঁকে তাড়া করে বেড়াবে এতগুলো বছর পরও! নিজের প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করায় তাঁর প্রেমিকা অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করে বসেন। ফলে ঐ প্রেমিকার বড় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে ধেয়ে আসেন হেনরিকে খুন করবেন বলে, খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত গুলিও করেন তাঁকে। এরপর হেনরিকে মৃত ভেবে নিজের মাথায়ও বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান হেনরি, গুলিটা তাঁর মুখ ঘেঁষে বেরিয়ে যায়, বিদ্ধ হয় পেছনেরই একটি গাছে। নিশ্চিতভাবেই ভাবলেন, “বড্ড ভাগ্যবান আমি, খুবজোর বেঁচে গেছি!” কিন্তু বিধাতার খেয়াল হয়তো ছিলো অন্যরকম। অনেকগুলো বছর কেটে গেছে এরপর, হেনরিও ততদিনে যৌবনকাল পিছনে ফেলে এসেছেন। একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, বাড়ির সামনের বিশালকায় গাছটি কেটে ফেলবেন। ততদিন

করোনার দোয়া এবং বিবিধ প্রসঙ্গ

মো.আবু রায়হান :ফেরাউন যখন লোহিত সাগরে ডুবে মরছিল তখন বলছিল আহাদ, আহাদ, আহাদ অর্থ আল্লাহ অদ্বিতীয়, তার কোনো অংশীদার নেই। আল্লাহর কঠিন আজাব দেখে সেদিন ফেরাউন তাওবা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার তাওবা গৃহীত হয়নি। আল্লাহ তাআলা তাকে সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেন। শুধু তাই নয় আল্লাহ তায়ালা বললেন,  ‘আজ আমি তোমার (ফেরাউন) দেহ রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো। অবশ্যই মানুষের মধ্যে অনেকে আমার নিদর্শন সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : ইউনুুস, আয়াত : ৯২)।এতে বোঝা গেল,  তওবার দরজা সব সময় উন্মুক্ত থাকে না।কেননা  আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।'(সুরা আল জুমার,আয়াত-৫৪)।হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, হযরত আবু মুসা আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস আশয়ারী (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ পশ্চিম (আকাশ) দিক থেকে সূর্যোদয় (কেয়ামত) না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতে তার ক্ষমার হাত সম্প্রসারিত করতে থাকেন। যাতে রাতে গুনাহগার তওবা করে। (মুসলিম)।উপরিউক্ত কোরআন ও হাদিসের আলোকে ওলা

এক টুকরো কিয়ামতের মাঠ

  মো.আবু রায়হান : আজ ইতালিতে সবাই কাঁদছে,অসহায় ডাক্তার কাঁদছে, জনগণ কাঁদছে।নিরুপায় সবাই। শোকে বিহ্বল ইতালিবাসি। চারিদিকে শত শত লাশের সারি। শহরে কবর দেওয়ার জায়গা নেই।  সেনাবাহিনী ট্রাকে করে মৃতদেহ শহরের বাইরে নিয়ে কবর দিচ্ছে। লাশ সৎকারের সময় পরিবারের কাউকে যেতে দিচ্ছে না সংক্রমণের ভয়ে। কেউ কেউ ভয়ে মৃত আত্মীয় স্বজনের পাশেই ভিড়ছে না। সবাই নিজেদের নিয়ে চিন্তিত।বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অস্থির।বিশ্বের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানে  উন্নত একটি রাষ্ট্র ইতালি।আজ সেই ইতালি অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাস্ত ও বড্ড অসহায়। করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর তালিকায় চীনকে ছাড়িয়ে ইতালি এখন শীর্ষে। এক করোনায় যেন ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে গোটা ইতালি। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় গতকাল আরো ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৪৭৬ জনে।দেশটিতে প্রতি দুই মিনিটে একজন করে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যু হচ্ছে। ব্রিটিশ ডেইলি মিররের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। জাতির উদ্দেশ্যে  ভাষণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী  বলেছেন, 'আমরা মহামারীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীর

ভেজালের ভিড়ে আসল

বাঙালিদের জোচ্চুরি আর বদ স্বভাবের কারণে বাংলা কিছু শব্দের পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য কিছু শব্দ প্রয়োগ না করলে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা থাকে না নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আগের দিনে মধু বিক্রেতাকে মধু বিক্রয় করতে বলতে হতো না জনাব নেন খাঁটি মধু। এখন মধু দুধ এরকম ভালো কিছু জিনিস বিক্রয় করতে গেলে বলতে হয় নেন খাঁটি দুধ, খাটি মধু, খাটি সোনা, খাঁটি হীরা। এটা বলতে হয় এখন বাঙালিদের চরিত্রের অবক্ষয় ও চৌর্যবৃত্তির কারনে ও বিশ্বাস নামক বস্তুর তিরোধানের কারণে। আগের দিনে শাসন বললে ভালো কিছুই বোঝাত সেখানে কুশাসনের মাত্রা কম থাকত। এখন শাসন মানেই কুশাসনের লেশ আছে এজন্য শাসনকে জাতে আনার জন্য সুশাসন ব্যবহার করা হয়। আগে নীতি মানে পজিটিভ কিছু বোঝাত। এখন নীতির সাথে সুনীতি লাগে। নচেৎ বিশ্বাস নড়বড়ে ও হালকা হয়ে যায়। বাঙালীদের চরিত্রের অবক্ষয়ের সঙ্গে বাংলা শব্দের বিবর্তন ও পরিমার্জন হয়েছে। ভালো জিনিসের নকল তৈরি হয়। খারাপ জিনিসের হয়না। রাজাকার মানেই খারাপ এর আগে ভালো শব্দ যোগ করলেও রাজাকার ভালো হবেনা। আবার কেউ এর আগে ভুয়া শব্দ যোগ করে বলবে না ভুয়া রাজাকার, ভুয়া ডাকাত। কিন্তু ভালো একটা জিনিস মুক্তিযোদ্ধা এ সম্মানিত শব্দের পূর্বে

ইতালির চেয়ে বড় ভুল করে আমরা কিভাবে নির্ভয়ে?

  মো.আবু রায়হান :ইতালির মিলান থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের কডোনো শহরের করোনা সংক্রমিত এক বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তির পর পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে করোনা ভাইরাস ওই হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই পুরো ইতালিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে এবং মহামারির আকার ধারণ করেছে। ইতালির বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ স্থগিত করার আগে থেকেই চীন বা করোনা আক্রান্ত অন্য যেকোনো দেশ থেকে কেউ এলে তাদের ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার এবং চিকিৎসাকর্মীদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।চীনের হুবেই প্রদেশের দুজন পর্যটক ২৩ জানুয়ারি ইতালির মিলান বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশের কিছুদিন পরই রোমে গিয়ে অসুস্থ হন। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ইতালিতে ফেরেন এক ইতালীয় নাগরিক। দৃশ্যত ওই তিনজনই ইতালির প্রথম করোনা রোগী। করোনাভাইরাসে ইতালিতে প্রথম মৃত্যু হয়েছে  ২২ ফেব্রুয়ারি। এই এক ভুলে  ইতালি করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল ও মৃত্যু উপত্যকায় পরিনত হয়েছে।করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর

আল্লাহর ওপর ভরসা কেমন হওয়া উচিত?

ছবি
  মো.আবু রায়হান : আল্লাহর ওপর ভরসা করা মুসলিমদের আবশ্যকীয় কর্তব্য।আরবি তাওয়াক্‌কুলের’ অর্থই হলো আল্লাহকে নিজের অভিভাবক নিযুক্ত করা এবং তাঁর উপর পূর্ণভাবে ভরসা করা।‘(হে রাসূল) বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। তাওয়াক্‌কুলকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।’ (যুমার আয়াত - ৩৮)।বিশুদ্ধতার সাথে আল্লাহর উপর ভরসার সাথে আবশ্যক হলো জীবিকার উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করা ও কাজ করা। কাজ না করে আল্লাহ রিজিকের মালিক, তিনিই খাওয়াবেন,তিনিই করোনা থেকে রক্ষা করবেন। আপনার কথা সঠিক। আপনার কথায় যথেষ্ট পরিমাণে আল্লাহর ওপর ভরসা আছে কিন্তু আগেই বলেছি, আল্লাহর উপর ভরসার সাথে আবশ্যক হলো জীবিকার উপায়-উপকরণ অনুসন্ধান করা ও কাজ করা। এ কাজটি আপনাকেই করতে হবে। আল্লাহ আপনাকে এমনি এমনি মুখে তুলে খাওয়াবেন না। আপনি চেষ্টা করবেন, চেষ্টার ফল দেবেন আল্লাহ। আল্লাহর ওপর ভরসা কেমন হবে এ সংক্রান্ত একটি হাদিস জেনে নেই, ‘একদিন, নবী (সা.) এক বেদুইনকে লক্ষ্য করলেন যে, সে তার উটটি না বেঁধে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি বেদুইনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি তোমার উটটি বেঁধে রাখছো না কেন?’ জবাব বেদুইন বললো, ‘আমি ইশ্বরের (আল্লাহ) উপর ভরসা রেখেছি।’ তখন নবী (সা

হোম কোয়ারেন্টিন ও ইসলাম

ছবি
মো.আবু রায়হান : হোম কোয়ারেন্টিন মানে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি নিজ বাড়িতে স্বেচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকবেন এবং এ সময় নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। হোম কোয়ারেন্টিনকে অনেকে হোম আইসোলেশন বলে থাকেন। আইসোলেশন বাড়িতে রেখে সম্ভবও নয়। বরং একে হোম কোয়ারেন্টিন বলাটাই অনেক যুক্তিযুক্ত।কোনো ব্যক্তি যখন নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনের সব নিয়ম মেনে বাইরের লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা বন্ধ করে আলাদা থাকেন, তখন তাকে হোম কোয়ারেন্টিন বলে। কোনো ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে ঘুরে এলে বা রোগীর সংস্পর্শে এলে তার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে কোভিড-১৯। বাসা আদৌ বেঁধেছে কি না বা সে আক্রান্ত কি না এটা বুঝে নিতেই এই ব্যবস্থা নিতে হয়। এক্ষেত্রেও ন্যূনতম ১৪ দিন ধরে আলাদা থাকার কথা। আজ থেকে পনরো বছর পূর্বে মহানবী (সা.)যা বলেছেন তা হোম কোয়ারেন্টিনের যেন প্রতিচ্ছবি। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মহামারী হচ্ছে আজাবের নিদর্শন। আল্লাহতায়ালা এর মাধ্যমে তার কিছু বান্দার পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। কাজেই তোমরা যদি কোথাও মহামারীর সংবাদ শোনো, তাহলে কখনোই সেখানে যাবে না। আর যদি তোমাদের বসবাসের নগরীতে মহামারী দেখা দেয় তাহলে

লকডাউন ইসলামের বিধানের সঙ্গে সাদৃশ্যতা

ছবি
  মো.আবু রায়হান : যে জনপদ বা অঞ্চলে কারো প্রবেশ ও প্রস্থান নিষিদ্ধ এটি লকডাউন নামে পরিচিত। উইকিপিডিয়া অনুসারে লকডাউন হলো, ‘A lockdown is an emergency protocol that usually prevents people or information from leaving an area. The protocol can usually only be initiated by someone in a position of authority.’করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার শিবচর প্রথম উপজেলা হিসেবে লকডাউন করা হয়।লকডাউনের কারণে সেই এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে ও বের হতে পারে না। এটিকে লকডাউন বলা যায়।লকডাউনের সময় শুধু ঔষধের দোকান এবং অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকে। এছাড়া বাকি সবকিছু বন্ধ থাকবে। পনরো'শ বছর আগে মহানবী (সা.)মহামরির যাতে না ছড়িয়ে পড়তে পারে সেজন্য এরকম ধারণা দিয়েছিলেন। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে বা অঞ্চলে যদি কোনে প্রকার প্লেগ বা মহামারি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে তোমরা যারা (ওই অঞ্চলের) বাহিরে আছ তারা ওই শহরে প্রবেশ করো না। আর যে শহরে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে তোমরা যদি সে শহরে বসবাস করো তবে তোমরা সে অঞ্চল বা শহর থেকে বাহির হয়ো না।’ (

অতি আবেগী মুসলিম হইয়েন না বাস্তবতা বোঝার চেষ্টা করুন

ছবি
মো.আবু রায়হান: সারাবিশ্বকরোনা ভাইরাসে ভীত সন্ত্রস্ত, দিশেহারা। একটার পর একটা জনপদ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য মতে বিশ্ব জুড়ে  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৩.০৯০জন। জেনে রাখা ভালো, ইতালিতে করোনা সনাক্ত হওয়ার ৪৫ দিন পর মহামারি রুপ ধারণ করে। স্পেনে ৪৯ দিন পর আর যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪ দিন পর করোনা মাহামারি আকার ধারণ করে।বাংলাদেশে প্রথম  করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয় ৮ মার্চ। সেহিসেবে ২৫ /২৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে। আমেরিকায় ২৩ তম দিনে রোগী ছিলো মাত্র ১১ জন। বাংলাদেশে যারা  করোনা ভাইরাস থাকলে এতদিনে কিছু একটা হতো বলে ফুরফুরে মেজাজে আছেন। এমন ধারণা পোষণকারীদের বলছি সাবধান। বাংলাদেশের ১০টি জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত  ৬২ জন।তাই বলছি এখনো সময় আছে আর একটু সতর্ক হোন। অন্যথায় আমাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে।বাংলাদেশ যেহেতু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ  এখানে অতি আবেগী কিছু মুসলিমের তাকদিরের ওপর বিশ্বাস ও ঈমানী জোশ দেখে সত্যিই বিস্মিত ও একই সাথে তাদের মুর্খুমি দেখ বিরক্ত।ঈমানী জোশ, তাকদিরের ওপর বিশ্বাস দোষের কিছু নয়।

ডাক্তারেরা কী ভুলতে বসেছেন হিপোক্রিটাস শপথ?

ছবি
  মো.আবু রায়হান:করোনা আতঙ্কে সারা পৃথিবীর মানুষের হতবিহবল অবস্থা। উন্নত, অনুন্নত সব দেশই করোনার ভয়াল থাবার শিকার। গত তিনমাসে অদৃশ্য এই করোনা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সাজানো পৃথিবীর অনেক কিছু। করোনা তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষকে করেছে সবচেয়ে অসহায়। বৈশ্বিক এই মহামারি নিয়ন্ত্রণে সবাই  হিমশিম খাচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই বৈশ্বিক মহামারির বলয়ের বাইরে নয়। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার সামর্থ্য ও ডাক্তারদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, দেশের বেশির ভাগ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা করোনাভাইরাসের কারণে নিজেরাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ঠাণ্ডা-সর্দি, জ্বর-কাশির কোনো রোগীকে তারা স্পর্শ করছেন না। সংক্রমিত নয়, কিন্তু জ্বর, সর্দি বা কাশির সমস্যায় ভুগছেন- এমন রোগীকেও চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন তারা।শুরুতে  পিপিই সংকটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল চিকিৎসকরা। বর্তমানে পর্যাপ্ত পিপিই পৌঁছালেও পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে করোনা রোগীও আসতে পারে, এই ভয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা রোগী দেখাই বন্ধ করে দিয়েছেন। কয়েক দিনে এমনই ঘটনা ঘ

আগামী দু'সপ্তাহ কেন বাংলাদেশের জন্য এতো ভয়ের ?

  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের ৪০-৫০ দিনের মধ্যে এটি মহামারি আকার ধারণ করেছে।  ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ৪৩তম দিনে আক্রান্তের হার ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এরপর  স্পেনে ৫০ দিনের মাথায় এবং আমেরিকার ৫৫তম দিনে করোনা মহামারি আকার ধারণ করে। দিন যত গেছে আক্রান্তের হার ততই বৃদ্ধি পেয়েছে ঐসব দেশে। শুরুতে মৃত্যুর হার কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিন জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়।সে হিসেবে আজ দেশে  করোনা সনাক্তকরণের ২৯ তম দিন চলছে।  ২৯তম দিনে এসে পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর পর এক দিনেই নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়ালো।ইতোমধ্যে ৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় আগামী দুই সপ্তাহ দেশের জন্য দুঃসময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। #ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন

কবিতা -বোধোদয়

ছবি
                                                                                      -মো.আবু রায়হান   দেশে দেশে মৃত্যুর মিছিলে ভিড়ছে শত লাশ কে চায় মরিতে ভাই, কার জাগে অভিলাষ?  বসুধার এতো রুপ রস সুধা না করিয়া পান কেমনে মানিব শান্তনা, এই অকাল অন্তর্ধান?    থরেথরে সাজানো কত ফুল ফল শত সম্ভার কেমনে যাইব ওপারে আমি ছাড়িয়া সংসার?  মায়ার বাঁধনে বাঁধিনু যাদের দিলুম স্নেহ আদর এমন মরণে থাকবে না দাফন এ কেমন কদর?  এসেছিনু জগতে একলা আমি মাঝারে স্বজন তাদের ফেলিয়া, অশ্রু ঝরিয়া এ কেমন গমন?  বনি আদমের চোখ ছলছল বুকে জমা শত ব্যথা কেমনে সইব প্রিয় হারার ব্যথা,রচিব শোকগাথা। স্মৃতি মনে পড়ে যায় বিদায়ের গোধূলি বেলা দিয়েছি জলাঞ্জলি সুখের প্রহর করিয়া হেলা। হে গাফুরুর রহিম রহমান মার্জনা করিও গুনাহ পাপ পঙ্কিলতা হতে তোমার কাছে চাহি পানাহ। ৭/৪/২০২০

করোনা আসলেই ভাইরাস না চীনের তৈরী জৈব অস্ত্র?

ছবি
মো.আবু রায়হান : ক্ষমতার লড়াইয়ে বিশ্বের শক্তিগুলো অনেকটা উন্মাদ ও অন্ধ হয়ে গেছে। চীন নিজেকে বিশ্বে সুপারপাওয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই জৈব মারণাস্ত্রের সাহায্য নিয়েছে বলে চারিদিকে চাউর হচ্ছে। শুধু যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়েছে তা নয়। বিশ্বের অনেক দেশের মূলধারার কিছু কিছু সংবাদপত্রও এসব তত্ত্ব প্রচার করছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বের এসব তত্ত্বগুলো আসছে প্রধানত রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইরান থেকে।চীন এবং ইরানের ভেতর থেকে সন্দেহের তীর জোরালো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে।চীনের ভেতর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চীনারা অবিরত লিখছে এবং তা রীতিমতো শেয়ার করে জানিয়ে দিচ্ছে যে চীনকে শায়েস্তা করতে যুক্তরাষ্ট্র জীবাণু অস্ত্র হিসাবে চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নয়, একজন চীনা কূটনীতিক তার টুইটার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রেের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, উহানে গত বছর অক্টোবর মাসে একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি দল এই ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে বলে তার দাবি। ইতোমধ্যে  চীনের ভেতর থেকে একাধিক বিজ