ভেজালের ভিড়ে আসল
বাঙালিদের জোচ্চুরি আর বদ স্বভাবের কারণে বাংলা কিছু শব্দের পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য কিছু শব্দ প্রয়োগ না করলে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা থাকে না নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আগের দিনে মধু বিক্রেতাকে মধু বিক্রয় করতে বলতে হতো না জনাব নেন খাঁটি মধু। এখন মধু দুধ এরকম ভালো কিছু জিনিস বিক্রয় করতে গেলে বলতে হয় নেন খাঁটি দুধ, খাটি মধু, খাটি সোনা, খাঁটি হীরা। এটা বলতে হয় এখন বাঙালিদের চরিত্রের অবক্ষয় ও চৌর্যবৃত্তির কারনে ও বিশ্বাস নামক বস্তুর তিরোধানের কারণে। আগের দিনে শাসন বললে ভালো কিছুই বোঝাত সেখানে কুশাসনের মাত্রা কম থাকত। এখন শাসন মানেই কুশাসনের লেশ আছে এজন্য শাসনকে জাতে আনার জন্য সুশাসন ব্যবহার করা হয়। আগে নীতি মানে পজিটিভ কিছু বোঝাত। এখন নীতির সাথে সুনীতি লাগে। নচেৎ বিশ্বাস নড়বড়ে ও হালকা হয়ে যায়। বাঙালীদের চরিত্রের অবক্ষয়ের সঙ্গে বাংলা শব্দের বিবর্তন ও পরিমার্জন হয়েছে। ভালো জিনিসের নকল তৈরি হয়। খারাপ জিনিসের হয়না। রাজাকার মানেই খারাপ এর আগে ভালো শব্দ যোগ করলেও রাজাকার ভালো হবেনা। আবার কেউ এর আগে ভুয়া শব্দ যোগ করে বলবে না ভুয়া রাজাকার, ভুয়া ডাকাত। কিন্তু ভালো একটা জিনিস মুক্তিযোদ্ধা এ সম্মানিত শব্দের পূর্বে যখন কিছু মানুষের জন্য ভুয়া কথা লিখে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। তখন প্রচন্ড খারাপ লাগে। জাতির হিরোদের টাইটেল নিয়ে এ টানাহেঁচড়া কখনো আশা করিনি। এভাবে প্রকৃত হিরোদের অপমানিত করা হয়। এমন পবিত্র একটা শব্দকে আমরা কিভাবে কলুষিত করছি। এটি আমাদের রক্ত মাংসে লেগে গেছে। আসল কে আর আসল রাখিনি। দুধে ঘিয়ে মধুতে ভেজাল মিশিয়ে এখন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরও ভেজালে মিশিয়ে ফেলছি। যে কারণে আজ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কথাটি শুনতে হচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন