পোস্টগুলি

এপ্রিল ৯, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রমজানের প্রস্তুতি

  রজব মাস থেকেই রাসূল (সা.) রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। সব ব্যস্ততা কমিয়ে আনতেন একে একে। রমজানের পুরো সময়টাই ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দিতেন নির্বিঘ্নে। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রধানত তিনটি কাজের মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। ১. দোয়া করা : রমজানের দুই মাস আগ থেকে রমজান লাভের দোয়া করতেন।হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন পশ্চিম আকাশে রজবের বাঁকা চাঁদ দেখা যেত, তখন রাসূল (সা.) দরদমাখা কণ্ঠে মহান প্রভুর কাছে বারবার এ দোয়া করতেন-‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান। ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ (‘হে আল্লাহ আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর আমাদের হায়াত রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস - ১৩৬৯) ২. রোজা রাখা : আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ছাড়া কোনো মাসে পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা পালন করতে দেখিনি। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস - ১৮৬৮)অন্য বর্ণনায় আয়শা (রা.) বলেন-‘রমজান ছাড়া কোনো মাসে রাসূল (সা.) পুরো মাস রোজা রাখতেন না। শাবান ছাড়া কোনো মাসে রাসূল (সা.) এত বেশি রোজা রাখতেন না।’ (মুসলিম।

মসজিদে মানুষ ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া!

  জুমার নামাজে শেষে এসে অন্যকে টপকে সামনের কাতারে যাওয়ার মতো কাজটি ইসলামে হারাম ও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) এ বিষয়টি হারাম বলেছেন। একজন সাহাবি পরে এসে অন্যকে যখন টপকে সামনের কাতারে বসেন, তখন রাসুল (সা.) বলেছেন, তুমি পরে এসেছো, আবার মানুষকে কষ্টও দিয়েছো। কোনো ব্যক্তি যদি এ কাজ করেন তিনি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি যে কারণে জুমার নামাজ পড়তে যাবেন, যে ফজিলতের জন্য যাবেন, সে ফজিলতই পাবেন না। জুমার দিনে সালাত আদায় করতে গিয়ে সওয়াবের বদলে গুনাহ নিয়ে আসবেন। এ ছাড়া মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কাজও তিনি করলেন। সেটার জন্য শাস্তি পাবেন। সুতরাং এটি কোনোভাবেই করা উচিত নয়। এটি করা হারাম। এতে তিনি জুমা থেকে কোনো ফজিলত পাবেন না।হাদিসে এসেছে- হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না (যেখানে জায়গা পায় সেখানেই অবস্থান করে) এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ সালাত আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন

টাইম্‌স স্কয়ার ও তারাবিহ

ছবি
  টাইম্‌স স্কয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কেন্দ্রস্থলে ম্যানহাটানে অবস্থিত একটি সড়ক চত্বর এবং নিউইয়র্ক শহরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা। একে 'পৃথিবীর সড়ক সংযোগস্থল' বলা হয়। টাইম্‌স স্কয়ার বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত পথচারী সংযোগস্থল এবং বিশ্ব বিনোদন শিল্পের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। জায়গাটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরিদৃষ্ট পর্যটন স্থল। প্রতিদিন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ টাইমস স্কয়ার দিয়ে যাতায়াত করে। এই এলাকাটি রঙ-বেরঙের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জ্বা ও প্রোজ্জ্বল সাইনবোর্ডের কারণে বিখ্যাত। প্রতিবছর এখানে জাঁকজমকের সাথে খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। প্রথম বারের মতো টাইমস স্কয়ারে ইফতার বিতরণ ও তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রমজানের প্রথম দিন শনিবার (২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ইফতার ও তারাবির নামাজে হাজারের বেশি ‍ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এ ইভেন্টের আয়োজকরা উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে ১৫ শ ইফতার খাবার বিতরণ করেন। টাইমস স্কয়ারের স্মরণীয় এ ইভেন্টে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ছাড়াও কানাডার মন্ট্রিল থেকেও মুসল্লিরা আসেন। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং রমজান মাসের ত

লেবানন দেউলিয়া, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হবার পথে

  রাষ্ট্র হিসেবে লেবাননকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-সামি এ ঘোষণা দেন।২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে লেবানন একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের মুদ্রার অবমূল্যায়ন, জ্বালানি ও চিকিৎসাসেবা ঘাটতি।জনগণের খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ মৌলিক পণ্য গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।ঋণের কারণে লেবানন এমন সংকটাপন্ন অবস্থায় পতিত হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির মুদ্রা তার ৯০ শতাংশ মূল্যমান হারিয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র্যের হার দেশটিকে আরো ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে চালিত করছে। অথচ একসময় দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত ছিল। সামগ্রিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় ও কর কর্তনের কারণে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ কমে যাওয়া, চীনের কাছ থেকে নেওয়া বড় অংকের ঋণ এবং কয়েক দশকের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানো শ্রীলঙ্কাকে দেউলিয়া করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশি ঋণ ও বিদেশি বন্ডের টাকা শোধ করতে সরকার যেভাবে টাকা ছাপিয়েছে তার ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। শ্রীলঙ্কান রুপির বৈদেশিক মান কিছুদিন আগেও ছিল ১ ডলারে ১৯০ রুপি

কাবা শরিফের ইমাম

ছবি
  মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রতীক পবিত্র কাবা শরিফ। কাবা ঘরকে ঘিরে অবস্থিত মসজিদে হারাম। প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ের বাসনা থাকে স্বচক্ষে পবিত্র কাবা দেখার। মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করার। আর সেই কাবা চত্বরে পবিত্র কাবাকে সামনে রেখে ৩৯ বছর ধরে ইমামতির দায়িত্বে হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আস সুদাইস।৪ এপ্রিল কাবার ইমাম হিসেবে দীর্ঘ ৩৯ বছর পার করেছেন এই ইসলামি ব্যক্তিত্ব। ১৪০৪ হিজরির ২২ শাবান (১৯৮৪) শায়খ সুদাইসের সঙ্গে একই দিন শায়েখ সালেহ আল হুমাইদকে মসজিদে হারামের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ এর রাজকীয় আদেশে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ২২ বছর বয়সী সুদর্শন ও সুকণ্ঠী আলেম আবদুর রহমান আস-সুদাইস। আসরের নামাজের ইমামতির মধ্য দিয়ে তিনি কাবা প্রাঙ্গণে ইমামতির দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনিই আজকের বিশ্বখ্যাত কারি শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইস। শুধু ইমাম-খতিব হিসেবে নয়, এখন তিনি মক্কা-মদিনার পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট।২০১২ সালে উভয় পবিত্র মসজিদের প্রেসিডেন্সির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করায় মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়।২০১৪ সালে মসজিদে নববীতে প