মসজিদে মানুষ ডিঙিয়ে সামনের কাতারে যাওয়া!

 

জুমার নামাজে শেষে এসে অন্যকে টপকে সামনের কাতারে যাওয়ার মতো কাজটি ইসলামে হারাম ও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) এ বিষয়টি হারাম বলেছেন। একজন সাহাবি পরে এসে অন্যকে যখন টপকে সামনের কাতারে বসেন, তখন রাসুল (সা.) বলেছেন, তুমি পরে এসেছো, আবার মানুষকে কষ্টও দিয়েছো। কোনো ব্যক্তি যদি এ কাজ করেন তিনি কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি যে কারণে জুমার নামাজ পড়তে যাবেন, যে ফজিলতের জন্য যাবেন, সে ফজিলতই পাবেন না। জুমার দিনে সালাত আদায় করতে গিয়ে সওয়াবের বদলে গুনাহ নিয়ে আসবেন। এ ছাড়া মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কাজও তিনি করলেন। সেটার জন্য শাস্তি পাবেন। সুতরাং এটি কোনোভাবেই করা উচিত নয়। এটি করা হারাম। এতে তিনি জুমা থেকে কোনো ফজিলত পাবেন না।হাদিসে এসেছে-
হজরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না (যেখানে জায়গা পায় সেখানেই অবস্থান করে) এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ সালাত আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন্য) বের হন তখন চুপ থাকে। তার এ জুমআ এবং পরবর্তী জুমআর মধ্যবর্তী সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি)।
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন, যেন কেউ তার ভাইকে স্বীয় বসার স্থান হতে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সে জায়গায় না বসে। ইবনু জুরাইজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি নাফি রাহমাতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কি শুধু জুমআর ব্যাপারে? তিনি বললেন, জুমুআ ও অন্যান্য (নামাজের) ব্যাপারেও।’ (বুখারি)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল