পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইয়ারমুকের যুদ্ধ

ছবি
৬৩৬ খ্রিস্টাব্দের আজকের দিনে ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।ইয়ারমুক সিরিয়ার এক নদীর নাম। বর্তমানে এই নদী সিরিয়া, জর্দান এবং ইসরাইলের মধ্যে প্রবাহিত। ইয়ারমুকের যুদ্ধ খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী এবং খুলাফায়ে রাশেদুনের বাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ। হজরত আবু বকর সিদ্দিক রা:-এর খেলাফতের শেষ এবং হজরত ওমর রা:-এর খেলাফতের শুরুতে। রাসূল সা:-এর ইন্তেকালের পর ইয়ারমুকের যুদ্ধই ছিল মুসলমানদের জন্য বড় বিজয়। এই যুদ্ধে মুসলমানদের নেতৃত্বে ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ এবং বাইজেন্টাইনদের পক্ষে সম্রাট হেরাক্লিয়াস। আনুমানিক ২৪,০০০-৪০,০০০ সৈন্য নিয়ে খালিদ ইয়ারমুকের প্রান্তরে হাজির হন।প্রাথমিক মুসলিম সূত্রানুযায়ী, বাইজান্টাইন সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই লাখ। প্রাথমিক রোমান সূত্রানুযায়ী সেই সংখ্যা প্রায় ১,৪০,০০০ জন। কিন্তু আধুনিক হিসাব অনুযায়ী বাইজান্টাইনরা প্রায় ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ সৈন্য নিয়ে ইয়ারমুক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সে যা-ই হোক, বাইজান্টাইনদের সৈন্যসংখ্যা মুসলিম বাহিনীর থেকে যে অনেক বেশি ছিল তাতে সকল সূত্রই একমত। ইয়ারমুকের যুদ্ধ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এক যুদ্ধ। ছয় দিনের এই

নও মুসলিম তাকাজাওয়া

ছবি
তাকাজাওয়া আপনি কি জানেন যে ইসলাম অন্যান্য দেশের মত জাপানেও দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম? জাপানে গত এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে মসজিদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। পূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানে ইসলাম সব থেকে দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করার খেতাবপ্রাপ্ত। জাপানের ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটির টানাডা হিরোফুমির এক জরিপ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষের দিকে সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৩০ হাজারে। এর মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছেন। তাকাজাওয়া, তিনি জাপানের সবচেয়ে বিখ্যাত ট্যাটু শিল্পীদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং শীর্ষ অভিনেতা, সেলিব্রিটি এবং এমনকি জাপানি ইয়াকুজা মাফিয়ার কর্তাদের সাথে কাজ করছিলেন। ২০০৬ সালে, টোকিওর একটি রাস্তায় হাঁটার সময়, শায়খ নি'মাতুল্লা খলিল ইব্রাহিমের সাথে তাঁর দেখা হয়। যিনি ওসমানীয় সুলতান 'আব্দুল হামিদ' এর যুগের পণ্ডিতদের অধীনে অধ্যয়ন করেছিলেন। সেই সময় শায়খ নি'মাতুল্লা খলিল ইব্রাহিম তাঁকে ইসলাম ধর্মে আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি পত্র দেন। তাকাজাওয়া পত

মানবদেহ ৩৬০টি অস্থিসন্ধি

ছবি
১৯৯৫ সালের পূর্বে বৈজ্ঞানিক মহলে চিন্তা করা হত, মানবদেহ মোট ৩৪০টি অস্থিসন্ধির সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু ১৯৯৫ সালে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রমাণ করে, মানুষের উভয় কানের প্রতিটিতেই দশটি করে অস্থিসন্ধি রয়েছে। এর মাধ্যমে পূর্বের ৩৪০টি অস্থিসন্ধির ধারণার সাথে আরো বিশটি অস্থিসন্ধি যুক্ত হয় এবং প্রমাণিত হয়, মানবদেহ মোট ৩৬০টি অস্থিসন্ধির সমন্বয়ে গঠিত। ১৪০০ বছর পূর্বে রাসূল (সা.) নির্ভুলভাবে মানুষের শরীরের অস্থিসন্ধির সংখ্যার বিবরণ দিয়েছেন। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক আদম সন্তানকেই ৩৬০টি গ্রন্থি বিশিষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি ঐ সংখ্যা পরিমাণ আল্লা-হু আকবার বলবে, আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে, লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ বলবে, সুবহা-নাল্ল-হ’ বলবে, আসতাগফিরুল্ল-হ’ বলবে, মানুষের চলার পথ থেকে একটি পাথর বা একটি কাটা বা একটি হাড় সরাবে, সৎ কাজের আদেশ দিবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে, সে কিয়ামতের দিন এমনভাবে চলাফেরা করবে যে, সে নিজেকে ৩৬০ (গ্রন্থি) সংখ্যা পরিমাণ জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে অর্থা

জাপানে মুসলিম

ছবি
  এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জাপান সাগর, পূর্ব চীন সাগর, চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার পূর্ব দিকে উত্তরে ও খোত্স্ক সাগর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ান পর্যন্ত প্রসারিত। যে কাঞ্জি অনুসারে জাপানের নামটি এসেছে, সেটির অর্থ ‘সূর্য উৎস। জাপানকে প্রায়ই ‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলে অভিহিত করা হয়।জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হল হোনশু, হোক্কাইদো, ক্যুশু ও শিকোকু। এই চারটি দ্বীপ জাপানের মোট ভূখণ্ডের ৯৭% এলাকা নিয়ে গঠিত। জাপানের জনসংখ্যা ১২৬ মিলিয়ন। জনসংখ্যার হিসেবে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯.১ মিলিয়ন। জাপানের প্রধান দুইটি ধর্ম হলো শিন্তো ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম।অষ্টম শতকে চীনা মুসলিমদের সংস্পর্শে জাপানিরা সর্বপ্রথম ইসলামে দীক্ষিত হন। মেইজি শাসনামলে (১৮৬৮-১৮৯০) জাপানিরা অটোম্যান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর থেকে মুসলিমরা জাপানে যাতায়াত করেন এবং জাপানিরা ইসলামের সান্নিধ্যে আসতে শুরু করেন।রুশ বিপ্লবের পর রাশিয়া থেকে কয়েকশ তুর্কি মুসলিম অভিবাসী ১৯২০-র দশকে জাপানে পাড়ি জমায়। ১৯৩০ সালে

হযরত আবু বকরের (রা.) ওফাত

ছবি
রাসুল (সাঃ) এর ওফাতের পর আবু বকর ( রা) ৬৩২ সালে প্রথম খলিফা নির্বাচিত হন।তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন বিভিন্ন গোত্র ইসলামি আদর্শ থেকে থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। এই বিদ্রোহগুলো ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। হযরত আবু বকর বিদ্রোহকে প্রজ্ঞা ও কোমলতার সাথে দমন করেন এবং এভাবে মুসলিম সংহতি ও বন্ধন সুদূর করেন। তিনি বিদ্রোহীদের সামরিকভাবে মোকাবিলা করেছিলেন এবং যারা ফিরে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিশোধ নেননি। আবু বকরের খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এ সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবিলা করেন। ভন্ডনবি দাবিকারী বিদ্রোহীদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে দমন করেন তাঁর শাসনামলের শেষ মাসগুলোতে সিরিয়া ও পারস্যেও অভিযান পাঠানো হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর, এই অভিযানগুলো তাঁর উত্তরসূরিদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, বিশেষ করে দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব, যার শাসনামলে মুসলিম বাহিনী যথাক্রমে কাদেসিয়া এবং ইয়ারমুকের যুদ্ধে শক্তিশালী পারসিক এবং বাইজেন্টাইনদের পরাজিত করেছিল। এর ধারাবাহিকতায় ক

বিসমিল্লায় গলদ

হরহামেশাই আমরা 'বিসমিল্লায় গলদ’ বাগধারাটি ব্যবহার করে থাকি। যার অর্থ হচ্ছে, শুরুতেই ভুল, সূচনাতে গন্ডগোল। বাগধারাটির অর্থ যাই হোক, পাঠক বা পাঠিকা একটু ভাবুনতো, আপনি কী বলছেন? আপনি বলছেন বিসমিল্লায় গলদ। ইসলামে বিসমিল্লাহর গুরুত্ব কতো গভীর অর্থবহ ও বরকতময় তা প্রত্যেক মুমিন জানেন। পবিত্র কোরআনে একটি মাত্র সূরা ছাড়া প্রত্যেক সূরার শুরুতে স্বয়ং আল্লাহপাক বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেছেন। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনে যতো কাজ করেছেন, সব কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেছেন। বিসমিল্লাহ বলে কাজ শুরু করলে আল্লাহ সে কাজে বরকত দেন। কাজের জটিলতা দূর করে দেন। এই বরকতময় বিসমিল্লাহতে কেমন করে গলদ থাকতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিসমিল্লাহতে যদি গলদ থাকে তাহলে শুদ্ধ কোথায় পাওয়া যাবে? ‘বিসমিল্লায় গলদ’ বাগধারাটির বিকল্প বাগধারা হলো গোড়ায় গলদ। জাহেলি যুগে লোকদের অভ্যাস ছিল সব কাজ তাদের দেব-দেবীর নামে শুরু করা। এ চেতনা রহিত করার জন্যই ‘বিসমিল্লাহ’ চালু হয়। ইসলামের সূচনাকালে প্রিয় নবী (সা.) সব কাজ ‘বি-ইসমিকা আল্লাহুম্মা’ বলে শুরু করতেন এবং লেখাতেন। কিন্তু ‘বিসমিল্লাহ’ নাজিল হওয়ায় সব কা

হযরত খুবাইব ইবনে আদি (রা.)

ছবি
  মক্কার মুশরিকদের অত্যাচার যখন বেড়েই চলেছিল তখন আল্লাহ তা'আলার নির্দেশে নবীজী (সাঃ) মদীনায় হিজরত করেন। দুনিয়া থেকে ইসলামকে চিরতরে মুছে দিতে মক্কার মুশরিকরা সব ধরনের পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়। তাদের এ প্রচেষ্টা হিজরতের পরেও চলমান ছিল। দ্বিতীয় হিজরীতে ইতিহাসের এক নজিরবিহীন অসম যুদ্ধের অবতারণা হয় বদরের প্রান্তরে। গুটিকয়েক মুসলমানদের একটি বাহিনীর হাতে নাস্তানাবুদ হয় মুশরিকদের বিশাল বাহিনী। উহুদের যুদ্ধেও তেমন সুবিধা করতে না পেরে এবার তারা চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম মক্কার উপকণ্ঠে একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করলেন মুশরিকদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম দশ বা বরোজনেরজনের একটি দল অনুসন্ধানের জন্য তৈরি করলেন। তাদের নেতৃত্বের ভার অর্পিত হয় আসেম ইবনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর উপর। তাদের মধ্যেই একজন খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু আনহু। তারা মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং মক্কার উপকণ্ঠে রাজি নামক একটি ঝর্ণার কাছে পৌঁছানো। এমন সময়ই কিছু লোক তাদের দেখে ফেলে এবং গোপনে হুজাইন গোত্রের একটি শাখা বনু লেহি

মানজিকার্টের যুদ্ধে বন্দি বাইজেন্টাইন সম্রাট

ছবি
২৬ আগস্ট ১০৭১ খ্রিস্টাব্দ, সেলজুক সুলতান আলপ আরসালান মানজিকার্টের যুদ্ধে পরাজয়ের স্বাদ আস্বাদন করান বাইজেন্টাইন সম্রাট রোমানোসকে। Alp Arslan defeated Eastern Roman Empire in battle of Manzikert 1071 and opened Anatolia for Sunni Turks. He is also the only Muslim commander in the entire history who was not only able to defeat but also imprison a Roman Emperor . সুলতান মুহাম্মদ বিন দাউদ, ইতিহাসে যিনি পরিচিত আলপ আরসালান। তিনি সেলজুক রাজবংশের তৃতীয় সুলতান এবং সেলজুকের প্রপৌত্র। তার সময় থেকেই সেলজুক বংশ রাজবংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার সামরিক দক্ষতা, বীরত্ব এবং লড়াইয়ে পারদর্শিতার জন্য তিনি আলপ আরসালান উপাধি লাভ করেন। বাইজেন্টাইন সম্রাট ৪র্থ রোমানোস ডিয়োজেনেস ১০৭১ সালে বিশাল এক বাহিনী নিয়ে আরসালানের বিরুদ্ধে অগ্রসর হন।যুদ্ধে সেলজুক বাহিনীর সৈন্যসংখ্যা ছিল বাইজান্টাইনদের তুলনায় খুবই নগণ্য। বাইজান্টাইন বাহিনীতে ছিল ফ্রেঞ্চ, গ্রীক, রাশানসহ বিভিন্ন জাতির ২ লক্ষাধিক সেনা, ওদিকে সেলজুক বাহিনীতে সৈন্যসংখা মাত্র ১৫ হাজারের কাছাকাছি।ভন লেকের উত্তর দিকের মুরাট নদীর তীরবর্তী মানযিকার্টে আলপ

হযরত ওমর (রা) এর চারটি কারামত

ছবি
ক. পানি যখন মিশর বিজয় সম্পন্ন হলো, তখন মিশরের বাসিন্দারা আমর ইবনুল আসের কাছে এসে বলল, আমাদের এ নীলনদে প্রতি বছর এক সুন্দরী কন্যাকে উৎসর্গ করতে হয়। অন্যথায় নদীতে পানি আসে না। ফলে আমাদের শহর ও এলাকাগুলোতে শস্য হানিজনিত আকাল দেখা দেয়। আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর (রা.)-কে তিনি তখন ব্যাপারটি পত্র লিখে অবহিত করলেন। আমরের পত্র পেয়ে খলিফা ওমর রা. নীল নদকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লেখেন। “আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমরের পক্ষ থেকে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ থেকে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ থেকে আর প্রবাহিত হওয়া থেতে বিরত থাক। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর নির্দেশে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”। আমর ইবনুল আস নীল নদের তীরে গিয়ে হযরত ওমরের পত্রটি নদীতে নিক্ষেপ করেন। পরদিন শনিবার। জেগে উঠে নীল নদ। সকালে মিশরবাসী অবাক নয়নে দেখেন, আল্লাহ তায়ালা এক রাতে নীল নদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। চকচকে ঝকঝকে পানিতে ভরে উঠে নীল নদ

তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা?

ছবি
তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? ( সুরা আত তুর -৩৫) তোমরা কি নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছো, কোনো স্রষ্টা তোমাদের সৃষ্টি করেননি? নাকি তোমরা নিজেরাই নিজেদের স্রষ্টা? কিংবা এ বিশাল মহাবিশ্ব তোমাদের তৈরী? এসব কথার কোনটিই যদি সত্য না হয়, আর তোমরা নিজেরাই স্বীকার করো যে তোমাদের স্রষ্টা আল্লাহ আর এই বিশ্বজাহানের স্রষ্টাও তিনিই, তাহলে যে ব্যক্তি তোমাদের বলে, সেই আল্লাহই তোমাদের বন্দেগী ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সেই ব্যক্তির প্রতি তোমরা এত ক্রোধাম্বিত কেন ?

ফিলিস্তিনের এক ব্যবসায়ীর আমনতদারিতা

ছবি
আজ থেকে একশ বছর আগে ১৯১৫ সালের কথা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় যখন ফিলিস্তিন ওসমানীয়দের হাতছাড়া হয়ে যায়। ফিলিস্তিন থেকে ওসমানীয়দের পিছু হটার সময় ওসমানীয় সৈন্যরা ফিলিস্তিনি বণিক রাগেব হিলমি আলুলের কাছে এই ব্যাঙ্কনোটগুলো আমানত হিসেবে রেখে যান। তারা বলেছিল, "যখন আমরা ফিরে আসব, আমরা আমাদের অর্থ নেব"। তারপর থেকে, আল-আলুল পরিবার এই নোটগুলি হেফাজত করে চলেছে। আজ পর্যন্ত সৈন্যরা আর ফিরে আসেনি। ভবিষ্যতে যদি আসে এ আশায় তারা অপেক্ষমান। আজকের বাজারে এই নোটগুলোর অর্থ মূল্য ২৯০০০ ডলারের সমান। আমানতদার ব্যক্তি সব সমাজেই প্রশংসিত। আল্লাহ তাআলা প্রকৃত মুমিনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘তারা (মুমিনরা) সেসব লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৮) ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, আমানতসমূহ তার প্রকৃত পাওনাদারদের নিকট প্রত্যর্পণ করতে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৫৮) হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বলেছেন, 'যে ব্যক্তি তোমার কাছে আমানত রেখেছে, তার আমানত তাকে ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার

মাছি ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা

ছবি
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগে খাবারে মাছি পড়া প্রসঙ্গে যে কথাটি বলেছিলেন তা আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ﺇﺫﺍ ﻭَﻗَﻊَ ﺍﻟﺬُّﺑﺎﺏُ ﻓِﻲ ﺇﻧَﺎﺀِ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓَﻠْﻴَﻐْﻤِﺴْﻪُ ﻓَﺈﻥَّ ﻓِﻰ ﺃﺣَﺪِ ﺟِﻨَﺎﺣﻴْﻪِ ﺩَﺍﺀً ﻭَﻓﻰ ﺍﻟْﺄﺧَﺮِ ﺷِﻔﺎﺀ ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ) ‘তোমাদের কারো খাবারের পাত্রে মাছি পড়ে গেলে, তার উচিত পুরো মাছিই ডুবিয়ে দেয়া। অতঃপর তা বাইরে ফেলে দেয়া, কারণ তার এক পাখায় রয়েছে রোগ ও অন্য পাখায় রয়েছে রোগের প্রতিষেধক।’ (বুখারি-৫৭৮২) ১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) এই বাণীর মাধ্যমে দুনিয়ার মানুষকে জানিয়ে দিয়ে জান মাছির মধ্যে রোগ জীবাণু রয়েছে। যা আমাদের বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান দুইশত বছর আগে স্বীকার করেছে। যা নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক বছর আগে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা রিপোর্ট পাঠিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে যে, মাছিতে এমন কোন বম্তু রয়েছে যা জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয়। একই বিষয়ে জার্মান ও ব্রিটেন থেকে প্রাপ্ত রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে সম্প্রতি একটি বই বেরিয়েছে, যেখানে বলা

মরিস বুকাইলি ও ফেরাউনের লাশ

ছবি
ডঃ মরিস বুকাইলি ফ্রান্সের একজন নামকরা বিজ্ঞানী ছিলেন । একই সাথেই ছিলেন মিশরতত্ত্ব এর ফরাসি সোসাইটির সদস্য এবং একজন লেখক। তিনি ফেরাউনের মমির উপর ফরাসি অধ্যয়নের সিনিয়র সার্জন ছিলেন।তিনি একবার ফারাও (ফেরাউন) এর মমি নিয়ে গবেষণা করছিলেন, তার মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করার জন্য। বুকাইলি একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান ছিলেন এবং বাইবেলে উল্লেখ আছে যে ফারাও ডুবে মারা যায়নি । স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছিল । ডাঃ মরিস বুকাইলি যখন ফিরাউনের অভিশপ্ত দেহ নিয়ে গবেষণা করেন তখন তিনি সামুদ্রিক লবণ খুঁজে পান যা ফেরাউনের ডুবে যাওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং চিহ্ন। গবেষণার সময় কেউ একজন বুকাইলিকে বলেছিলেন যে কোরআনে উল্লেখ আছে যে কীভাবে ফারাও (ফেরাউন)পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল এবং এছাড়াও তার দেহ মানুষকে দেখানোর জন্য সুরক্ষিত থাকবে তা উল্লেখ ছিল । যেমন আল্লাহ বলেন, “সুতরাং আজ আমরা তোমার দেহটি রক্ষা করব যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় মানুষের মধ্যে অনেকেই আমাদের নিদর্শন সম্বন্ধে গাফিল।“ ( সুরা ইউনুস, আয়াত ৯২) ডাঃ মরিস যখন এই কথা শুনেছিলেন তখন তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এবং বিস্মিত হয়েছিলেন এব

দ্বিতীয় আবদুল হামিদের ক্ষমতায় আরোহণ

ছবি
  ১৮৭৬ ​​সালের ৩১ আগস্ট এই দিনে ৩৪তম অটোমান সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ সিংহাসনে আরোহণ করেন। সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদকে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও তিনি রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি তার সাম্রাজ্য জুড়ে বেশ কিছু বড় বড় উন্নয়ন এবং পরিবর্তন এনেছিলেন। দ্বিতীয় সুলতান আবদুল হামিদ তুরস্কের অবকাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক আধুনিকায়নকে উৎসাহিত করেন। তাঁর শাসনামলে, উসমানীয় আমলাতন্ত্র যৌক্তিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছিল যেখানে সিভিল সার্ভিসে ভর্তির পাশাপাশি পদোন্নতির প্রক্রিয়াগুলো পরীক্ষা এবং নিয়মের মতো বস্তুনিষ্ঠ মানদণ্ডের মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল। আবদুল হামিদের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত আধুনিক তুরস্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল; তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতারা দ্বিতীয় আবদুল হামিদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। সুলতান আব্দুল হামিদ ছিলেন উম্মাহ দরদি মুসলিম বিশ্বের খলিফা যাকে ইহুদিরা বায়তুল মুকাদ্দাস হস্তান্তরের জন্য ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি মুসলিম বিশ্বের একচুল মাটি ছাড়তেও রাজি হননি।

ইমাম বুখারি

ছবি
পুরো নাম মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন ইবরাহীম বিন মুগীরাহ বিন বারদিযবাহ। তাঁর নাম মুহাম্মদ। উপনাম হলো আবু আবদুল্লাহ। আমিরুল মুমিনীন ফিল হাদিস তাঁর উপাধি। বুখারা তাঁর জন্মস্থান বলে তাঁকে বুখারি বলা হয়। ইমাম বুখারি প্রধান হাদিস সংগ্রহ, সহিহ আল-বুখারির জন্য পরিচিত। ইমাম আল-বুখারিকে ইসলামের ইতিহাসে হাদিসের সবচেয়ে বিশিষ্ট পণ্ডিতদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মুহাম্মদ আল-বুখারি ৮১০ খ্রিস্টাব্দে বুখারায় জন্মগ্রহণ করেন।ইমাম বুখারির প্রায় ৬ লাখ হাদীস মুখস্থ ছিল। এরমধ্যে প্রায় ৭,২৭৫ টি হাদিস নির্বাচন করেন।যেগুলিকে তিনি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেছিলেন এবং এইভাবে, তার আল-জামি আল-সাহিহ আল বুখারিতে স্থান দেন। বুখারি শরিফের পুরো নাম হলোঃ আল-জামি আল-সাহীহ আল-মুসনাদ মিন উমুরি রাসূলিল্লাহ ওয়া সুনানিহি ওয়া আইয়ামিহি। ইমাম বুখারির পাণ্ডিত্যের ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব ইসলামের জন্য একটি মহৎ অবদান। তাঁর সহিহ আল-বুখারির সংকলন গত এক হাজার বছর ধরে হাদিস-ভিত্তিক আইনশাস্ত্রের একটি অপরিহার্য উৎস হিসেবে কাজ করছে। এই গ্রন্থটিকে ইসলামী বিধি-বিধান বিষয়ে কোরআনের পরে সবচাইতে নির্ভরযোগ্য প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে বি

এক নাপিত ও আস্তিক

  এক নাপিত একদিন এক মুসলিমের চুল কাটছিল। নাপিত বলল: "আমি আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করি না।" মুসলিম জিজ্ঞেস করল, কেন বিশ্বাস কর না ? নাপিত বলল: “পৃথিবীতে অনেক দুর্দশা ও বিশৃঙ্খলা রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ থাকলে এই বিশৃঙ্খলা থাকত না।" মুসলিম বলল: "আমি নাপিতেও বিশ্বাস করি না..." নাপিত কিছুটা ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করল: "আপনি কি বলছেন?" মুসলিম নাপিতকে বলল, "তুমি কি বাইরে লম্বা চুলের মানুষদের দেখতে পাও না ?" নাপিত বললঃ হ্যাঁ দেখতে পাই। মুসলিম বলল: "নাপিত থাকলে পৃথিবীতে এতো লম্বা এবং অগোছালো চুলের মানুষ থাকত না।" নাপিত বলল: "আমরা আছি, কিন্তু মানুষ আমাদের কাছে তো আসে না!" তখন মুসলিম বলল: “ঠিকই আল্লাহ আছেন। কিন্তু মানুষ হেদায়েতের জন্য আল্লাহর দিকে ফিরে যায় না। এ কারণেই পৃথিবীতে অনেক সমস্যা রয়েছে।” পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন: ‘এবং যখন আমার বান্দাগণ আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন বল, আমি নিকটে আছি। আমি প্রার্থনাকারীর প্রার্থনার উত্তর দেই যখন সে আমার নিকট প্রার্থনা করে। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারাগার গাজা

ছবি
গাজা ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত একটি স্বশাসিত ফিলিস্তিনি অঞ্চল। গাজা ভূখণ্ডের পশ্চিমে রয়েছে ভূমধ্যসাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে মিশর, এবং উত্তরে, পূর্বে, ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ইসরায়েল। গাজার আয়তন ৩৬৫ বর্গ কি.মি। ৫১ কি.মি. দীর্ঘ গাজা–ইসরায়েলি সীমান্ত এবং ১১ কি.মি. দীর্ঘ গাজা–মিসরীয় সীমান্ত উভয়ই বন্ধ রয়েছে, এবং গাজার আকাশসীমা ও সমুদ্রসীমা উভয়ই ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসরায়েল যেকোনো মুহূর্তে গাজায় সৈন্য প্রেরণ করতে পারে; গাজার অভ্যন্তরে ইসরায়েলের একটি বৃহৎ 'বাফার জোন' রয়েছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ; এবং গাজার পানি, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ ও অন্যান্য সেবা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন। ১৯৪৮–৪৯ সালের আরব–ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ভূখণ্ডটি মিসরের হস্তগত হয়, এবং ১৯৬৭ সালের আরব–ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ভূখণ্ডটি মিসরের কাছ থেকে দখল করে নেয়। ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও 'ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা'র (Palestine Liberation Organization, 'PLO') মধ্যে স্বাক্ষরিত 'অসলো চুক্তি' অনুযায়ী ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডকে 'ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষে'র (Palestinian National Authorit

সংগ্রামী ও দৃঢ়চেতা খলিল আওয়াদেহ

ছবি
ইসরাইলের ইহুদি বাহিনী ৪০ বছর বয়সী খলিল আওয়াদেহকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার করে এবং তারপর থেকে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই তাকে আটকে রাখা হয়েছে। ইসরায়েল এটাকে বলে থাকে ‘প্রশাসনিক আটক। আটকের প্রতিবাদে ১৭২ দিনেরও বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন তিনি। খলিল অনশনের শুরুর পর থেকো কোনো খাবার খাননি । শুধু পানি পান করে বেঁচে আছেন এবং এর মধ্যে শুধু ১০ দিন ভিটামিন ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে অনশনে থাকার কারণে তার শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ওজন হারিয়েছেন ৫০ কেজি। গেল সপ্তাহে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল, তার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে তিনি যে কোনো মুহূর্তে মারা যেতে পারেন। শুধু খলিলই নন, ইসরাইলি কারাগারে এভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে শত শত ফিলিস্তিনি তরুণ ও যুবক। যা প্রশাসনিক আটক হিসাবে পরিচিত। ২০০০ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের কারাগারে মোট ১২ বছর কাটিয়েছেন খলিল। এর মধ্যে পাঁচ বছরই প্রশাসনিক আটকে। গত বছরের ডিসেম্বরে আটক হওয়ার পর খলিল প্রথম পর্যায়ে ১১১ দিন অনশন-ধর্মঘট পালন করেন। সেসময় ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তির আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে তিনি অনশ