ফিলিস্তিনের এক ব্যবসায়ীর আমনতদারিতা
আজ থেকে একশ বছর আগে ১৯১৫ সালের কথা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময় যখন ফিলিস্তিন ওসমানীয়দের হাতছাড়া হয়ে যায়। ফিলিস্তিন থেকে ওসমানীয়দের পিছু হটার সময় ওসমানীয় সৈন্যরা ফিলিস্তিনি বণিক রাগেব হিলমি আলুলের কাছে এই ব্যাঙ্কনোটগুলো আমানত হিসেবে রেখে যান। তারা বলেছিল,
"যখন আমরা ফিরে আসব, আমরা আমাদের অর্থ নেব"।
তারপর থেকে, আল-আলুল পরিবার এই নোটগুলি হেফাজত করে চলেছে। আজ পর্যন্ত সৈন্যরা আর ফিরে আসেনি। ভবিষ্যতে যদি আসে এ আশায় তারা অপেক্ষমান। আজকের বাজারে এই নোটগুলোর অর্থ মূল্য ২৯০০০ ডলারের সমান।
আমানতদার ব্যক্তি সব সমাজেই প্রশংসিত। আল্লাহ তাআলা প্রকৃত মুমিনের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, ‘তারা (মুমিনরা) সেসব লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৮) ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, আমানতসমূহ তার প্রকৃত পাওনাদারদের নিকট প্রত্যর্পণ করতে।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ৫৮)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বলেছেন, 'যে ব্যক্তি তোমার কাছে আমানত রেখেছে, তার আমানত তাকে ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার আমানত আত্মসাৎ করেছে, তুমি তার আমানত আত্মসাৎ করো না।’ (আবু দাউদ)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘একজন সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী আখেরাতে নবি-সিদ্দিক এবং শহীদদের সঙ্গে থাকবেন।’ (তিরমিজি)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন