পোস্টগুলি

মে ৯, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা কেন্দ্র সোনারগাঁয়

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ   একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশেই উচ্চশিক্ষার জন্য আসত দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা। তারা আসত হাদিসশাস্ত্রের উচ্চতর জ্ঞানার্জনের জন্য।কারণ, বঙ্গ ভুখন্ডে প্রথম স্থাপিত হয় উপমহাদেশের প্রথম হাদিসচর্চা কেন্দ্র। উপমহাদেশের হাদিস চর্চার সেই পাদপীঠ ছিল সোনারগাঁয়ে। প্রাচীন এই শিক্ষাকেন্দ্রটি গড়ে তুলেছিলেন শায়খ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা বুখারি আদ-দেহলভি আল হানাফিভ(রহ.)। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পর থেকে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে যে সকল অলি-আউলিয়া, পীর-দরবেশ, সুফি-সাধক, ধর্ম-প্রচারক ও আধ্যাত্মিক সাধক এসেছেন তাদের মধ্যে শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা ছিলেন অন্যতম।শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা একজন বিশিষ্ট আলেম, সূফী সাধক এবং ইসলামি আইনবিদ। সোনারগাঁয়ে আবু তওয়ামা খানকাহ ও একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ইসলামি ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় শিক্ষাদান করা হতো।ধারণা করা হয়, এটাই উপমহাদেশের সর্বপ্রথম হাদিস শিক্ষাদানের কেন্দ্র। শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা হাদিস এবং ইসলামি আইনশাস্ত্রের পাশাপাশি তিনি ভেষজশাস্ত্র, গণিত, ভূগোল শাস্ত্র এবং রসায়ন শাস্ত্রেও একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। আবু তাওয়ামা বাংলায়

একজন মুসলিম নারী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কারাউইন পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি
মো আবু রায়হানঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় যে মরক্কোর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়, তা নিয়ে এখন আর কোনো বিতর্ক নেই। কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে পৃথিবীতে আরো একাধিক উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, মধ্যযুগীয় প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অস্তিত্ব ছিল। তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার যে অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন তা সবই ছিল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আধুনিক বিশ্বের নামকরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যথাক্রমে ১০৯৬ এবং ১২০৯ সালে। তবে পুরো বিশ্বের তো বটেই, এগুলোর কোনোটিই ইউরোপেরও প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালির বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০৮৮ সালে। তারও প্রায় একশ বছর আগে ৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আল-আজহারেরও প্রায় একশ বছর আগে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে এগারোশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মরক্কোর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়।

বায়তুল হিকমাহ মধ্যযুগে জ্ঞান বিজ্ঞানের বাতিঘর

ছবি
মো. আবু রায়হান: বায়তুল হিকমাহ (House of Wisdom) ছিল আব্বাসীয় আমলে ইরাকের বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগার, শিক্ষায়তন ও অনুবাদ কার্যালয়। Baytul Hikma consisted of a library, translation bureau, observatories, reading rooms, living quarters for scientists & administration buildings. মূলত বায়তুল হিকমাহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। De Lacy O’Leary বলেন:“The caliph Al-Mamūn has founded a school he named Bayt al-Hikmah, and he made it an institution that embraces the translation of the Greek books”(Islam at the crossroads )।বায়তুল হিকমাহ এটিকে ইসলামি স্বর্ণযুগের একটি প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।৭৫০ সালে যাবের যুদ্ধে উমাইয়াদের পতনের পর আব্বাসীয় দ্বিতীয় খলিফা আল মানসুর (৭৫৮-৭৭৫) জ্ঞান চর্চা, বুদ্ধিবৃত্তি, কৃষ্টি ও সভ্যতার যে বীজ বপন করেন, তা তাঁর উত্তরসূরী হারুনুর রশিদের (৭৮৬-৮০৯) সযত্নে অঙ্কুরিত হয়ে বৃদ্ধি পায় এবং পরিশেষে আল মামুনের আমলে সুস্বাদু ও সুবৃহৎ ফলভারে নত মহীরুহে পরিণত হয়। আব্বাসীয় শাসনামলে তাদের রাজধানী শহর বাগদাদ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়।বায়ত