সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

একজন মুসলিম নারী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কারাউইন পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়

মো আবু রায়হানঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় যে মরক্কোর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়, তা নিয়ে এখন আর কোনো বিতর্ক নেই। কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে পৃথিবীতে আরো একাধিক উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, মধ্যযুগীয় প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অস্তিত্ব ছিল। তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার যে অবকাঠামো থাকা প্রয়োজন তা সবই ছিল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আধুনিক বিশ্বের নামকরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যথাক্রমে ১০৯৬ এবং ১২০৯ সালে। তবে পুরো বিশ্বের তো বটেই, এগুলোর কোনোটিই ইউরোপেরও প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালির বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০৮৮ সালে। তারও প্রায় একশ বছর আগে ৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আল-আজহারেরও প্রায় একশ বছর আগে, আজ থেকে প্রায় সাড়ে এগারোশ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মরক্কোর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়। বেশ কয়েকজন আলেমের মতে, কারাউইন প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিবেচিত এবং তাই এটি বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় ।ইউনেস্কো এবং গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে এটি বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কোনটি জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো এই বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে এবং কারাউইনকে পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন পর্যন্ত একটানা চালু আছে।

মরক্কোর ফেজ নগরীতে প্রাচীনতম এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে।ফাতিমা আল ফিহরি নামের একজন ধনাঢ্য বিধবা মুসলিম নারী বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেন। তিনি মোহাম্মদ আল-ফিহরি নামে এক ধনী বণিকের কন্যা ছিলেন। ফাতিমা আল-ফিহরির জন্ম আনুমানিক ৮০০ সালের কাছাকাছি সময়ে, বর্তমানকালের তিউনিসিয়ার কায়রোয়ান শহরে। তার পুরো নাম ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ আল-ফিহরিয়া আল-কুরাইশিয়া। তাদের পারিবারিক নামের কুরাইশিয়া অংশ থেকে ধারণা করা হয় তারা ছিলেন কুরাইশ বংশের উত্তরাধিকারী।ফাতিমা আল-ফিহরি এবং তার বোন মারিয়াম আল-ফিহরি ক্লাসিকাল আরবি ভাষা, ফিক্‌হ এবং হাদিস শাস্ত্রের উপর পড়াশোনা করেন।ফাতিমা আল-ফিহরি প্রথমে কারাউইন নামে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, ফাতিমা স্বয়ং নির্মাণকাজের তদারকি করেছিলেন এবং নির্মাণ প্রক্রিয়ায় অনেক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।পরবর্তী সময়ে তার আঙিনায়ই গড়ে তোলা হয় একটি আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।সেটিই কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সারা দুনিয়ায় পরিচিত। কারাউইন শিক্ষার্থীরা ধর্মতত্ত্ব, আইনশাসন, দর্শন, গণিত, জ্যোতিষ, জ্যোতির্বিদ্যা এবং ভাষা অধ্যয়ন করেছেন।১৪ শতকে এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০০ জন ছাত্র ছিল।এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিপুলসংখ্যক পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবী পড়ালেখা করেছিলেন,
যারা মুসলিম ও ইহুদি বিশ্বকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ইবনে রাশেদ আল-সাবতি, আবুল-আব্বাস, আইনবিদ আল-ফাসি এবং বিখ্যাত লেখক ও পর্যটক লিও আফ্রিকানাস। এ ছাড়া আরও অনেক বিখ্যাত মনীষীর নাম এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত - তারা হলেন মালিকি আইনবিদ ইবন আল-আরাবি (মৃ. ৫৪৩হি/১১৪৮খ্রি.), ঐতিহাসিক ইবন খালদুন (মৃ. ৮০৮ হি./১৪০৬খ্রি.) এবং জ্যোর্তিবিদ আল-বিতরুজি (মৃ. ১২০৪ খ্রি.)প্রমুখ।মানচিত্রকার মোহাম্মদ আল ইদ্রিসী এখানকার ছাত্র ছিলেন, যার মানচিত্র রেনেসাঁর সময় ইউরোপিয়ানদের গবেষণা করতে সাহায্য করেছিল।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিমদেরও ভর্তি করা হতো।মধ্যযুগের অনেক খ্যাতিমান ইহুদি এবং খ্রিস্টান মনীষীও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়েছেন। এর ছাত্রদের মধ্যে একজন ছিলেন পোপ দ্বিতীয় সিলভাস্টার, যিনি এখান থেকে আরবি সংখ্যাপদ্ধতি বিষয়ে ধারণা লাভ করে সেই জ্ঞান ইউরোপে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং ইউরোপীয়দেরকে প্রথম শূন্যের (০) ধারণার সাথে পরিচিত করেছিলেন।ইহুদি চিকিৎসাবিদ ও দার্শনিক মায়মোনাইডস এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম বিখ্যাত একজন ছাত্র ছিলেন, এখানকার ছাত্র ছিলেন বিখ্যাত পর্যটক ও লেখক রাবি্ব মুসিবিন মায়মন। ১৪ শতকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আল-কারাউইন গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়,
কারাউইন লাইব্রেরিতে নবম শতকের কুরআন শরিফ
যা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন একটি গ্রন্থাগার হিসেবে এখনও বিরাজ করছে।আগুনে পুড়ে বিপুল সংখ্যক পাণ্ডুলিপি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও এখনও এতে প্রায় ৪,০০০ প্রাচীন এবং দুর্লভ পাণ্ডুলিপি আছে। এর মধ্যে আছে নবম শতকে লেখা একটি কুরআন শরিফ, হাদিসের সংকলন, ইমাম মালিকের গ্রন্থ মুয়াত্তা, ইবনে ইসহাকের লেখা রাসুল (সা)-এর জীবনী, ইবনে খালদুনের লেখা কিতাব আল-ইবার এবং আল-মুকাদ্দিমার মূল পাণ্ডুলিপিসহ বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ।এটি ছিল মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম একটি আধ্যাত্মিক ও শিক্ষাবিষয়ক কেন্দ্র। ইসলাম শিক্ষাবিষয়ক ধর্মভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়।প্রাচীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক কোরআন,হাদিস ও ফিকহ শিক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসাবিদ্যা থেকে শুরু করে ইতিহাস-ভূগোল, ব্যাকরণ, যুক্তিবিদ্যা, গণিত, রসায়ন, ইতিহাস, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যার মতো বিষয়ে পাঠদান করা হতো। আরব-আফ্রিকা-ইউরোপের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করত। ১৯১৩-৫৬ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক আমলে ফ্রান্স পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড় করায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও সনদ বিতরণ বন্ধ করে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের সব রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা যে বিশ্ববিদ্যালয়টি কেবল পুরুষদের জন্য উন্মুক্ত; এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য উন্মুক্ত। মহিলারা ১৯৪০ এর দশকে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে মরক্কো স্বাধীনতা লাভ করার পর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন বাদশাহ মুহাম্মদ।১৯৫৭ সালে খোলা হয় নারী শিক্ষার্থী বিভাগ। ১৯৬৩ সাল থেকে কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় মরক্কোর আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হয়। সেই বছর কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়কে মরক্কোর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।বাদশাহ মুহাম্মদ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত, পদার্থ, রসায়নসহ বিভিন্ন বিজ্ঞান বিভাগ ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলেন।বর্তমানে কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১১০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...