পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইউরোপীয়দের ৪০০ বছর আগে মুসলমানদের আঁকা একটি বিশ্ব মানচিত্র

ছবি
  ইউরোপীয়দের ৪০০ বছর আগে মুসলমানদের আঁকা একটি বিশ্ব মানচিত্র। তারা আপনাকে স্কুলে এটি শেখাবে না। তথ্য-প্রযুক্তির আধুনিক এই যুগে আমাদের গন্তব্য ঠিকঠাক খুঁজে বের করার জন্য যেমন গুগল ম্যাপ বা জিপিএস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে, তেমনি আগের দিনেও জাহাজ পরিচালনা, মরুভূমিতে পথ চলা, যুদ্ধের পরিকল্পনা গ্রহণ ইত্যাদি কাজে মানচিত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হতো। তৎকালীন ভূগোলবিদরা সেসব মানচিত্র তৈরি করে দিতেন। তখনকার একজন নামকরা মুসলিম ভূগোলবিদ হলেন আল ইদ্রিস। ১১০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহামনীষী শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন। ব্যাপক ভ্রমণের ফলে তিনি সমসাময়িক পৃথিবী সম্পর্কে এত ব্যাপক জ্ঞানার্জন করেছিলেন যে সিসিলের রাজা দ্বিতীয় রজার্স পৃথিবীর নিখুঁত মানচিত্র অঙ্কনের জন্য আল ইদ্রিসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের অক্লান্ত অধ্যবসায়ের দ্বারা তিনি ‘আল কিতাব আল রজারী’ নামের একটি নির্ভুল ভূ-চিত্র সংবলিত গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন। এই পুস্তকে তিনি বিভিন্ন স্থানের ৭০টি মানচিত্র এবং দুই হাজার ৫৫৮টি প্রসিদ্ধ ভৌগোলিক স্থানের বিবরণ তুলে ধরেছিলেন। তাতে মরুভূমি, বন, সম

আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ

ছবি
হাজার বছর আগের একজন আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশিদ। যিনি ছিলেন প্রাণচঞ্চল বাগদাদ নগরীর শাসনকর্তা। তাঁর শাসনকালেই বাগদাদ নগরী ঐশ্বর্যের চরমে পৌঁছায়। বাগদাদ নগরী জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্মীয় ও সংস্কৃতিচর্চার শিখরে পৌঁছেছিল বলে সে সময়টিকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়।হারুন ছিলেন তৃতীয় আব্বাসীয় খলিফা আল-মাহদি এবং তার স্ত্রী খায়জুরান যিনি ইয়েমেনের একজন প্রাক্তন দাসের তৃতীয় সন্তান। খলিফা হওয়ার আগে, হারুন ৭৮২ খ্রিস্টাব্দে তার পিতার শাসনামলে বসফরাসে বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে তার সুনাম অর্জন করেন। এই উজ্জ্বল সাফল্য তার পুত্র হারুনের প্রতি আল-মাহদীর স্নেহকে এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে তিনি তাকে মুসা আল-হাদির পরে উত্তরাধিকারী-নিযুক্ত করেন এবং তার নাম রাখেন আল-রশিদ (সঠিক নির্দেশিত)। এইভাবে ১৬ বছর বয়সে তিনি ক্রাউন প্রিন্স হন। হারুনের পিতা আল-মাহদি ৭৮৫ সালে মারা যান এবং তার ভাই আল-হাদি সিংহাসনে আরোহণ করেন। আল-হাদি অবশ্য ৭৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে রহস্যজনকভাবে মারা যান। তাঁর মৃত্যু দরবারে ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তের ফল বলে বলা হয়। ফলস্বরূপ, হারুন অবশেষে ৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে ৫ম আব্বাসীয় খলিফা হন। তখন তা

রাজতন্ত্রে কম্পন

  রানি এলিজাবেথ ছিলেন ১৪ টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর বেশিরভাগ দেশ গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এর পরও ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথই ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অনেক দেশই ঔপনিবেশিক শাসন ও রাজতন্ত্রের সাথে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করে প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় এবং রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন নির্বাচিত ব্যক্তিকে গ্রহণ করে। উপমহাদেশে ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হলেও প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৫০ সালে, পাকিস্তান হয় ১৯৫৬ সালে। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৯৭০-এর দশকে গায়ানা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং ডমিনিকা তাদের রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে ব্রিটেনের রানিকে সরিয়ে দেয়। এছাড়া ফিজি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় ১৯৮৭ সালে, আর মরিশাস ১৯৯২ সালে।তবে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল এমন অনেক দেশই প্রজাতন্ত্রে পরিণত হবার পরও কমনওয়েলথ জোট গঠনের মাধ্যমে ব্রিটেনের সাথে সম্পর্ক রেখেছে। গত বছরের নভেম্বর মাস রানিকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে পুরোপুরি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয় বার্বাডোস। আরও অনেক দেশেই এরকম দাবি উঠেছে। ক্যারিবিয়ান দেশগ

আলহামদুলিল্লাহ

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করলে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে নিষ্পাপ করে দেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে- মহান আল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি আমার মুমিন বান্দাকে রোগাক্রান্ত করি, আর বান্দা সে অবস্থায় আমার প্রশংসা করে- ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলে; তবে সে বিছানা থেকে এমনভাবে ওঠে দাঁড়ায়; যেন তার মা তাকে ভূমিষ্টকালে যেমন জন্মদান করেছিল।’ (হাদিসে কুদসি) রাসুলুল্লাহ সা যখন কষ্টের মধ্যে থাকতেন তখন “আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল” বলতেন। “আলহামদুলিল্লাহ আলা কুল্লি হাল” এর অর্থ – “সর্ব অবস্থায় আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি”। আল হামদুলিল্লাহ এর ফজিলত অনেক বেশি। একবার আল হামদুলিল্লাহ বললে কিয়ামতের দিন মিজানের পাল্লা ভারি হবে। যেন হাদিসে এসেছে, রাসুল সা. বলেন। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মিজানের পাল্লাকে ভারি করে দেয় এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। (তিরমিজি)। আল হামদুলিল্লাহ” কখন বলতে হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো। যখন খুশির সংবাদ শুনা হয় তখন আল হামদুলিল্লাহ বলতে হয়। যখন কেউ আপনাকে কেমন আছেন বলবে? তখন আল হামদুলিল্লাহ ভালো আছি বলবেন। তাছাড়া হাচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। বক্তব্য দেওয়ার আগে আলহামদুলিল্লাহ বলে শুরু করত

মরুর সিংহ ওমর মুখতার

ছবি
মরুর সিংহ নামে পরিচিত ওমর মুখতার তাঁর জীবনের শেষ ২০ বছর তার দেশের দখলদার ইতালীর বিরুদ্ধে লড়াই করে কাটিয়েছেন। উপনিবেশিক ইতালীয়দের মধ্যে ওমর মনিফার মাতারি নামে পরিচিত লিবিয়ার সিরেনিকায় জানযুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইতালীয় ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে মুখতারের প্রায় ২০ বছরব্যাপী লড়াই ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অনেক চেষ্টার পর তার গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমাপ্তি লাভ করে। স্লোনটার নিকটে যুদ্ধে তিনি আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। তাকে গ্রেপ্তারে সাহায্য করায় স্থানীয় নেতাদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। তার দৃঢ়তা জেলারের উপর প্রভাব ফেলে। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই মুখতারের বিচার সম্পন্ন হয়। বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর রায়ে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে এই বিচার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল না। শেষ কথা জানতে চাওয়া হলে মুখতার কুরআনের আয়াত “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন” (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব) পাঠ করেন। ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুলুকের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তার অনুসারীদের সামনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুকা

সাবরা ও শাতিলা গণহত্যা

ছবি
বর্বর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের হাতে সাবরা ও শাতিলা নামক ফিলিস্তিনিদের দু’টি শরণার্থী শিবিরে গণহত্যার ৪০ তম বার্ষিকী ছিল গতকাল।১৯৮২ সালের ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লেবাননের দুই শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের পাশবিক গণহত্যা অভিযানে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।সাবেক ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন ওই সময় ইসরাইলের ভারপ্রাপ্ত যুদ্ধমন্ত্রী ও লেবাননে মোতায়েন ইহুদিবাদী বাহিনীর কমান্ডার ছিল। শ্যারন লেবাননের সামির জাজা ও ইয়ালি হাবিকের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসী খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্ট আধা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবির দু’টিতে গণহত্যা চালিয়েছিল। সে সময় ওই দুই শরণার্থী শিবিরে প্রায় ২০ হাজার অধিবাসী ছিল । পরপর তিনদিন ধরে চালানো ওই গণহত্যায় বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল নিরীহ নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। তারা শিবিরের শরনার্থীদের নির্বিচার হত্যা , পরিবারের সামনে নারীদের ধর্ষণ ও গর্ভবতী মহিলাদের লাঞ্ছিত করে। নিহতদের মধ্যে তৎকালীন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবাননের অনেক নাগরিকও ছিল। ওই গণহত্যার পর তৎকালীন যুদ্ধমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন মানুষের কাছে সাব