পোস্টগুলি

জুন ২, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অভিশপ্ত পরকীয়া সম্পর্ক এবং এর শাস্তি!

পরকীয়ার আগ্নেয় থাবায় বিপর্যয়ের মূখে সংসার ও পরিবার প্রথা।  অনেকেই সমাজ, লোকসজ্জা ও সন্তানের বভিষ্যত চিন্তা করে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে স্বামী বা স্ত্রীর এই নিষিদ্ধ প্রণয় । অনেকেই আবার এর অনল যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘটাচ্ছেন বিবাহ বিচ্ছেদ । কেউবা আবার বেছে নিচ্ছে অত্মহননের মতো অভিশপ্ত পথ। বিবাহিত কোন নারী বা পুরুষ স্বীয় স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও ধরণের সর্ম্পক কিংবা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার মত গর্হিত কর্মকে কীভাবে ইসলাম সমর্থন করতে পারে?এ বিকৃত কর্মের অসারতা বিবেকও ধিক্কার দেয়। নিজ স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারো সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করবে, সুস্থ বিবেকবান কোনো মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। এ কর্মের কারণে সমাজ যেমন শৃঙ্খলতা হারায়, তেমনি পারিবারিক বন্ধনেও ধরে ফাটল। পর্যুদুস্ত হয়ে পড়ে সামাজিক সকল রীতিনীতি। পুরুষ-মহিলা সবাইকে চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাইল, ৩২ ) হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্

প্রশ্নফাঁস ব্যাধির আরোগ্য কী মিলিবে?

বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি চাকরির পরীক্ষা ও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।যা এখন আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিসিএস, খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, অডিট,অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক,এনবিআর, এটিইও,  গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা,, মেডিকেল, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ  প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ও অভিযোগ পাওয়া যায়। বিভিন্ন সূত্র মতে, বর্তমান সরকরের সময়ের মতো অতীতে এত বেশি ও গণহারে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কখনো ঘটেনি। ২০১৫ সালের টিআইবির এক রিপোর্টে  বলা হয়েছিল, বিগত চার বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মোট ৬৩টি ঘটনা ঘটেছে।  এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রশ্ন ফাঁসকারী একাধিক চক্র এর সঙ্গে জড়িত । তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে থাকে । প্রযুক্তির অপব্যবহার  করেও এরা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করছে। এদের নেপথ্যে শক্তিশালী হাত থাকার অাভাস পাওয়া যায়। অভিযোগ করা হয়ে থাকে সর্ষের ভেতরেই রয়েছে ভূত। নাহলে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের

ওদের ঘরেও একটু ঈদ আসুক

এবার ঈদের আগে দুটো খবর সবার হৃদয়কে গভীর ভাবে স্পর্শ করেছে। ধনী গরীব সবার জন্য ইদের আনন্দ যে সমান। সবাই সমভাবে যে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারি। তার উত্তম উদাহরণ হতে পারে ঈশ্বরদীর আসিফ ও নেত্রকোনার মাসুদের  সাথে আমাদের ইদের আনন্দটা ভাগাভাগি। এখনো আসিফের পাশে সুহৃদ কেউ দাঁড়ায়নি। সবেমাত্র আসিফের কষ্টের অভিব্যক্তি পত্রিকায় প্রকাশিত। দিনশেষে কোনো মানবিক হৃদয় সম্পন্ন ব্যক্তি অবশ্যই আসিফের পাশে দাঁড়াবেন। ওদের ঈদের আনন্দ উপভোগ তৈরীর অবলম্বন হবেন ইনশাআল্লাহ। এভাবেই আমরা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে অভাবী হতদরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পারি। আসিফকে নিয়ে পত্রিকার সংবাদ থেকে জানতে পারি। কোনোমতে  দু’বেলা দুমুঠো খেয়ে ওদের  সংসার চলে।ঈদ উৎসবে সন্তানের একটু শখ আবদার পূরণ করাটা অনেক দরিদ্র বাবার জন্যই বোঝা। সেক্ষেত্রে অনেক পরিবারের সন্তানরা নিজেই দায়িত্ব তুলে নেয় নিজ কাধে। এমনি এক শিশু পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার আসিফ। আসিফ ঈশ্বরদীর মাজদিয়া মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের কৃষক কুদ্দুস আলীর পুত্র । এলাকার একটি মাদ্রাসায় সে পড়াশোনা করে।হালকা-পাতলা গড়নের আসিফের আশা ঈদে সে একটি নতুন জামা তার বোনকে উপহার দেবে। সেজন্য সকাল