পোস্টগুলি

মে ১৩, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অভিশপ্ত ইহুদি জাতির লাঞ্ছনার ইতিহাস

পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো। পৃথিবীতে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইহুদির সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০ লাখ, কানাডায় চার লাখ আর ব্রিটেনে তিন লাখ ইহুদি থাকে। ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি! পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১ঃ১০০। বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ,গাদ্দারি ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।সুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। এত সব অপকর্ম ও কুকীর্তি ইহুদিদের পরিণত করেছে আল্লাহর অভিশপ্ত জাতিতে।

বিশ্ব মিডিয়ায় ইহুদিদের প্রভাব

  আজকের সংবাদ শিরোনামের দিকে চোখ বুলালে দেখবেন। তাদের শীর্ষ সংবাদ রাশিয়ায় মুসলিম অধ্যুষিত কাজানে নয় জন নিহত। এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া তোলপাড়। তাদের মতে এই ঘটনা মুসলিম জঙ্গিরা ঘটিয়েছে। এদিকে কয়েক ঘন্টায় প্রায় ২২ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হলেন সেটা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া অনেকটাই নিশ্চুপ। কারণ কি জানেন? বিশ্ব মিডিয়াতেও ছড়িয়ে আছে ইহুদিরা। মুসলমানদের নিহত হবার ঘটনা তাদের কাছে পান্তা ভাতের মতো। তাদের কাছে মুসলমানদের জীবন গুরুত্বহীন। নির্দোষ মুসলমানদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বেইজ্জত করাতে ওদের জুড়ি নেই। সন্ত্রাসী হামলায় কোনো মুসলিম যুক্ত থাকলে তার কাজের জন্য পুরো সম্প্রদায়কেই দায়ী করা হয়। কিন্তু একই রকম ঘটনায় ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত থাকলে গণমাধ্যমে শুধুমাত্র হামলাকারীকেই তুলে ধরা হয়।হামলাকারী অমুসলিম হলে, গণমাধ্যম তার ধর্মীয় পরিচয়ের দিকে জোর দেয় না। হামলাকারীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বা উন্মাদ হিসেবে দেখানো হয়। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ব্রেন্টন ট্যারেন্টের কথা এক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। হামলার পর তাকে কোথাও “শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাস

যুগে যুগে ইহুদিদের ষড়যন্ত্র ও অপকর্ম

  বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ইহুদি কারা? হযরত ইসহাক (আ.)-এর পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধররা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত। বনি ইসরাইল হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধরদের একটি শাখা। এ শাখারই একটি অংশ পরবর্তীকালে নিজেদের ইহুদি নামে পরিচয় দিতে থাকে। ইয়াকুব (আ)-এর উপাধি ইসরায়েল। এই ইয়াকুব বা ইসরায়েলের ১২ সন্তান। ১২ সন্তানের চতুর্থ জনের নাম ইয়াহুদাহ। ইয়াহুদার অনুসারীরা তাঁর নামানুসারে ইয়াহুদি নামে পরিচিত হয়। সেই নামের অংশবিশেষ থেকে ‘ইহুদি’ নামকরণ করা হয়েছিল। (তাফসিরে মাওয়ারদি - ১/১৩১)। ইহুদিবা

ঘুমন্ত জাতি

  ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর আক্রমণের ঘটনা তো প্রতিনিয়ত ঘটছে। এর বাইরে পবিত্র রমজান মাসে ইসরায়েলের আগ্রাসনের মাত্রা বেড়ে যায়। এ মাসে ইহুদিবাদি সেনারা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ চালিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। এমন কোনো রমজান নেই যে রমজানে মুসলমানদের রক্তে গাজা, পশ্চিম তীর এবং আল আকসার পবিত্র অঙ্গন রঞ্জিত হয়নি। প্রশ্ন হলো রমজানে কেন তারা এতোটা বেপরোয়া? ইহুদিরা মুসলমানদের শক্তি সামর্থ্য পরীক্ষা করে, দেখে রোজা রেখে বদরে যুদ্ধ লড়াকু মুসলমানদের উত্তরসূরীরা ঈমানী শক্তিতে কতোটা আজও বলীয়ান না নিস্তেজ! রমজান মাসে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয়ীর অনুসারীরা নিথর না সদা জাগ্রত? তারা বাতিলের বিরুদ্ধে এখনো শার্দুল কি না। ইসরায়েলের বর্বর হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশু এবং নারী। শিশু ও নারী কেন টার্গেট করা হয় জানেন? যাতে ফিলিস্তিনি নারীর গর্ভে সালাউদ্দীন, তারিক, মুহাম্মাদ বিন কাশেমের মতো অকুতোভয় বীর সিপাহসালার না জন্মায় এবং তাদের আবির্ভাবে পুনরায় আল আকসা হাতছাড়া হয়ে না যায়। এই জন্যে তাদের প্রতিটি দিন কাটে আতঙ্ক আর ভয়ে। সেই আতঙ্ক আর ভয় থেকে ইসরায়েলের সেনা ও নাগরিকেরা মানসিকভাবে অস

আমেরিকার প্রশাসন কেন ইহুদিদের বিপক্ষে যেতে পারে না

  পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো। পৃথিবীতে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইহুদির সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০ লাখ, কানাডায় চার লাখ আর ব্রিটেনে তিন লাখ ইহুদি থাকে। ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি! পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১ঃ১০০। অর্থাৎ একজন ইহুদির বিপরীতে এক শ’ জন মুসলিম। এর পরও মুসলিমদের চেয়ে কয়েক শ’ গুণ ক্ষমতাবান ইহুদিরা। এর কারণ হিসেবে বলা যায় সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সব দিক দিয়েই ইহুদিরা এগিয়ে।জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি। হতে পারে ইহুদিরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। তারা মোট সম্পদের ৫০ শতাংশের মালিক।আমেরিকার ইহুদি জনগোষ্ঠীর ৮৯ শতাংশ বাস করে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে, যাদের বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ স্টেটস। উল্লেখ্য, ইহুদিদের ভোট সব সময় এক দিকে যায়। যারা তাদের জন্য কাজ করবে তাদের ভোট দেয়। তাই সহজেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করতে পারে তা

ফিলিস্তিন নিয়ে বিশ্বের নীরবতা ও পক্ষপাত

  ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। গত ৩৮ ঘণ্টায় এক হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। অপর দিকে মঙ্গল ও বুধবার গাজায় কয়েক শ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় গাজায় ১৩ তলা একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে।সংঘাত পরিহার করে অনেকেই শান্তি আলোচনার আহ্বান জানান। আবার কোনো কোনো রাষ্ট্রপ্রধান পক্ষ বেছে নিয়ে নিন্দা করছেন অপর পক্ষের। ফিলিস্তিনিরা নির্যাতিত হলে গোটা বিশ্ব সরব হতো কিছু না হলেও সহানুভূতি পেত। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। আশার কথাও যেমন আছে, আছে হতাশার কথা। হতাশার কথা হলো, গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তারপর একে একে বাহরাইন, মরক্কো, সুদান কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।তাদের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়। প্রকল্প রূপায়ণ শুরু হয়। তখনই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিই বলেছিলেন, মুসলিম দুনিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো। বিগত কয়েক দিনের সংঘাতের পর এ দেশ দুটোই শুধু সরব, খামেনিই বলেছেন, ''এই লড়াই হলো দমনের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের

ঐতিহাসিক মসজিদ আল-হারাম

ছবি
মো. আবু রায়হান মসজিদ আল-হারাম বা হারাম শরীফ বা মসজিদে হারাম।মসজিদুল হারাম’ অর্থ সম্মান ও মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ। এই মসজিদের নামের পিছনেও মক্কার হারাম এলাকার ব্যাখ্যাগুলো প্রযোজ্য । মহান আল্লাহ্‌ এই মসজিদকে সম্মানিত করেছেন, পাশাপাশি এর সীমানায় বিশেষ কিছু কাজ হারাম ঘোষিত। যার মধ্যস্থলে কাবাগৃহ অবস্থিত। মসজিদ আল হারাম, গ্রেট মস্ক অব মক্কা, গ্র্যান্ড মস্ক অব মক্কা নামেও এটি পরিচিত। সৌদি আরবের মক্কা শহরে এর অবস্থান। মসজিদটিকে ঘিরে রয়েছে মহানবী (সা.) ও তার প্রিয় সাহাবীদের স্মৃতিধন্য ইসলামের অনেক পবিত্র স্থান। হজ্জ ও উমরার জন্যও মসজিদুল হারামে যেতে হয়। রাসুল (সা) বলেন , “আমার এই মসজিদে সালাত আদায় করা মসজিদ হারাম ব্যতীত অন্য যে কোনো মসজিদে এক হাজার রাকাত সালাত আদায় করার চেয়ে উত্তম, আর মসজিদ হারামে এক রাকা‘আত সালাত আদায় করা (মসজিদ নববী ব্যতীত) অন্য যেকোন মসজিদে এক লক্ষ্ রাকাত সালাত আদায় করার চেয়ে উত্তম। (সুনান ইবন মাজাহ-১৪০৬) রাসুল (সা.) বলেছেন, ঘরে বসে নামাজ আদায়ের সওয়াব এক গুণ, এলাকার মসজিদে নামাজের সওয়াব ২৫ গুণ, শহরের প্রধান মসজিদে নামাজ আদায়ের সওয়াব ৫০০ গুণ, আল-আকসা মসজিদে নামাজের সওয়াব ৫০