পোস্টগুলি

আগস্ট ১২, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আলহামদুলিল্লাহ কখন ?

ছবি
  আলহামদুলিল্লাহ শব্দের অর্থ, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য। যে কোন সুখবর বা ভালো অবস্থা সম্পর্কিত সংবাদের বিপরীতে সাধারণত এটি বলে থাকি।যেমন, ভাই আপনি কেমন আছেন? জবাবে বলি, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।তবে আজকাল আলহামদুলিল্লাহ যেন অতি সফলদের একান্ত বুলি হয়ে গেছে। বিসিএস ক্যাডার হলাম আলহামদুলিল্লাহ, প্রমোশন পেলাম আলহামদুলিল্লাহ,ম্যানেজার হলাম আলহামদুলিল্লাহ, আবার কেউ শুধু ফেসবুকে আলহামদুলিল্লাহ পোস্ট দিয়ে চুপ থাকেন,এতে জনগণের কৌতুকল ও জানার আসক্তি জ্যামিতিকহারে বেড়ে যায়। কমেন্টে গিয়ে কেউ কেউ না জেনে লিখে আলহামদুলিল্লাহ, অভিনন্দন, আমি জানতাম আপনি পারবেন, এগিয়ে যান, বন্ধুরা লিখে আসলেই তুই একটা মাল, শেষে দেখিয়ে দিলি, তো দোস্ত কিসে হলো?আবার কেউ কেউ কমেন্টে লিখে ভাই ঘটনা কি? কেন আলহামদুলিল্লাহ? কেউ ইনবক্সে গিয়ে গুতাতে থাকে ভাই খবরটা কী? রহস্য কি? কী জব পেলেন? কোন রেস্টুরেন্টে ট্রিট দেবেন? এদিকে বেলাও নক করে অধমকে এতোদিন ব্লক করে রেখেছিল। বান্ধবীর মুখে অধমের খবর শোনে নক করে। মেসেজ দিয়ে বলে আমি বলছি না? তুমি পারবে! দেখ কিভাবে হয়ে গেল।তোমার জন্য না অনেক প্রে করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। এতো শত অভিনন্দন

ইনশাআল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
ইনশাআল্লাহ বলা নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। কোথায় ইনশাআল্লাহ, কোথায় আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয় তা নিয়ে অনেকে কনফিউশনে ভুগি। যেমন কাউকে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছেন? তিনি বলে ফেললেন ইনশাআল্লাহ ভালো আছি। এটি ভুল। সঠিক হবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ মহান আল্লাহ যদি চান তাহলে। ভবিষ্যতে হবে, করবো বা ঘটবে এমন কোনো বিষয়ে ইনশাআল্লাহ বলা সুন্নত। যেমন- ইনশাআল্লাহ, আমি আগামীকাল আপনার কাজটি করে দেবো। পবিত্র কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে এর নির্দেশ দিয়েছেন।আল্লাহ বলেন, তুমি কখনো কোনো বিষয়ে এ কথা বলো না যে আমি এটি আগামীকাল করব—‘ইনশাআল্লাহ’ কথাটি না বলে। যদি (কথাটি বলতে) ভুলে যাও, তাহলে (যখনই তোমার মনে আসবে) তোমার রবকে স্মরণ করো এবং বলো, সম্ভবত আমার রব আমাকে এর (গুহাবাসীর বিবরণ) চেয়ে সত্যের নিকটতর পথনির্দেশ করবেন। (সুরা কাহফ আয়াত ২৩-২৪ )। যখন মহানবী (সা.)-কে মক্কার কাফিররা আসহাবে কাহফ ও জুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল, তখন তিনি প্রশ্নের জবাব আগামীকাল দেবেন বলে এক ধরনের ওয়াদা করে ফেলেন। আশা ছিল, এর আগেই অহির মাধ্যমে এ ব্যাপারে অবগত হয়ে যাবেন এবং তাদের উত্তর প্র

সুবহানআল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
সুবহানাল্লাহ এর অনুবাদ করা হয় আল্লাহর গৌরব হোক (glory be to Allah) হিসাবে। তবে তা খুব ভালো অনুবাদ বলে গণ্য করা যায় না।সবচেয়ে ভালো অনুবাদ হবে— আল্লাহ তায়ালা যে কোনও অপূর্ণতা থেকে মুক্ত।হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‌এ বাক্যটির অর্থ হলো- আল্লাহ পবিত্র অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা যাবতীয় মন্দ ও সর্ব প্রকার দোষ-ত্রুটি থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। সুতরাং সুবহানাল্লাহ অর্থ আল্লাহ পুতঃপবিত্র। যা কুরআনের সূরা বাকারার ৩২ নম্বর আয়াতে উঠে এসেছে। আশ্চর্যজনক ভালো কোনো কাজ হতে দেখলে কিংবা বিস্ময়কর ভালো কোনো কথা শুনলে এটি বলার অভ্যাস করুন।যেমন, সুবহানাল্লাহ! আগুনে পুরো ঘর পুড়ে গেলেও কুরআন শরীফ অক্ষত আছে।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। (-সহিহ বোখারি- ৭/১৬৮)।হযরত সামুরা ইবনু জুনদুব (রা.)বলেন,রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন,আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় বাক্য চারটি সুবহানআল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর। তুমি ইচ্ছামতো এই বাক্য চারটির যে কোন বাক্য আগে পিছে বলতে

জাজাকাল্লাহ কখন বলবেন?

ছবি
আমরা কারো প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সাধারণত বলে থাকি Thank You (ধন্যবাদ আপনাকে)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’ অথবা ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।’ (আবু দাউদ, হাদিস -৪৮১১)। আপনি যদি ইসলামি সম্ভাষণে অভ্যস্ত হন তাহলে একই সঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে। আল্লাহর জিকির ও বান্দার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আন্তরিকতা প্রকাশ।ইসলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সুন্দর শব্দ জাজাকাল্লাহ বলার শিক্ষা দিয়েছে।এর অর্থ আল্লাহ আপনাকে এর প্রতিদান দিন। প্রতি উত্তরে অপর পক্ষ বলবে, হাইয়্যাকাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন।অথবা আরো বৃদ্ধি করুন—জাজাকাল্লাহু খায়রান অর্থ মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।ওয়া'আনতুম ফাজাযাকুমুল্লাহু খায়রান যার অর্থ এবং তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। এরমধ্য দিয়ে আল্লাহকেও স্মরণ করা হয়।জিকির প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন, ‘(তারাই বুদ্ধিমান) যারা উঠতে, বসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে (আপনা আপন

মাশাআল্লাহ কখন বলবেন ?

ছবি
দৈনন্দিন জীবনে ইসলামি সম্ভাষণে আজকের বিষয় মাশাআল্লাহ। অনেক সময় আলহামদুলিল্লাহ ও মাশাআল্লাহ বলতে গিয়ে আমরা তালগোল পাকিয়ে ফেলি। দুটো সম্ভাষণে খুব বেশি অমিল নেই। মাশাআল্লাহ শব্দের অর্থ আল্লাহ যেমন চেয়েছেন (what Allah has willed). এটি আলহামদুলিল্লাহ পরিভাষার মতোই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে বিস্ময়কর কোনো কিছু দেখলে মাশাআল্লাহ বলা যায়। যে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন- মাশাআল্লাহ তোমাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। মাশাআল্লাহ তুমি খুব সুন্দর করে কুরআন তেলাওয়াত করেছ।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি কোনো বিস্ময়কর বস্তু দেখার পর মাশাআল্লাহ লা-ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলবে, তবে তাকে কুদৃষ্টি স্পর্শ করবে না।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ ৫/২১)।