রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’ অথবা ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর প্রতিও অকৃতজ্ঞ।’ (আবু দাউদ, হাদিস -৪৮১১)। আপনি যদি ইসলামি সম্ভাষণে অভ্যস্ত হন তাহলে একই সঙ্গে দুটো উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে। আল্লাহর জিকির ও বান্দার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আন্তরিকতা প্রকাশ।ইসলাম কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সুন্দর শব্দ জাজাকাল্লাহ বলার শিক্ষা দিয়েছে।এর অর্থ আল্লাহ আপনাকে এর প্রতিদান দিন। প্রতি উত্তরে অপর পক্ষ বলবে, হাইয়্যাকাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন।অথবা আরো বৃদ্ধি করুন—জাজাকাল্লাহু খায়রান অর্থ মহান আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।ওয়া'আনতুম ফাজাযাকুমুল্লাহু খায়রান যার অর্থ এবং তোমাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। এরমধ্য দিয়ে আল্লাহকেও স্মরণ করা হয়।জিকির প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন, ‘(তারাই বুদ্ধিমান) যারা উঠতে, বসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে (আপনা আপনি বলে উঠে) হে আমাদের রব! এসব তুমি অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীনভাবে সৃষ্টি করোনি। বাজে ও নিরর্থক কাজ করা থেকে তুমি পাক-পবিত্র ও মুক্ত। কাজেই হে প্রভু! জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের মুক্ত করো।’ (সূরা আলে ইমরান- ১৯১)। যদিও ধন্যবাদ জানানোর পরিচিত আরবি শব্দটি হল শুকরান, জাযাকাল্লাহু খায়র শব্দটি মুসলিমরা ব্যবহার করে, এই বিশ্বাসে যে, একজন মানুষ অন্যজনকে পর্যাপ্ত বিনিময় দান করতে পারে না, বরং আল্লাহই সর্বোত্তম পুরস্কার/ প্রতিদান দান করতে সক্ষম।হযরত উসামা ইবনে জায়দ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে—‘জাজাকাল্লাহু খাইরান’ (আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন), তাহলে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল। (তিরমিজি, হাদিস - ২০৩৫)।
মো.আবু রায়হান: সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন