পোস্টগুলি

মে ১৩, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সালাউদ্দীন আইয়ুবী কেন আলেমদের হত্যা করেছিলেন?

ছবি
৬৪৮ সালে আমিরুল মুমিনিন হজরত উমর (রা.)-এর খেলাফতকালে মুসলমানরা ফিলিস্তিন জয় করেন। ১০৯৬ সালে খ্রিস্টানরা তা পুনর্দখল করে নেয়। ১১৮৭ সালে সিপাহশালার সুলতান সালাউদ্দীন আইয়ুবী আবার জেরুজালেম শহর জয় করেন।সালাউদ্দিন আইয়ুবী বাইতুল মুকাদ্দাস জয় করার পরে সবাই যখন বিজয় উৎসব পালনে ব্যাস্ত, তখন সালাউদ্দিন আইয়ুবী গভীর চিন্তায় নিমগ্ন।তার চিন্তার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বললেন যে, বাইতুল মুকাদ্দাস জয় হয়েছে কিন্তু এখনও এমন শত্রু আমাদের মাঝে রয়ে গেছে যাদেরকে খুঁজে বের করতে না পারলে বাইতুল মুকাদ্দাস আমরা বেশিদিন আমাদের কাছে রাখতে পারবোনা। তার কথার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করলো না। সালাউদ্দীন আইয়ুবী তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সেনাদের নিয়ে খুবই গোপনে নতুন একটি গোয়েন্দা বিভাগ গঠন করলেন। যাদেরকে আটককৃত ইহুদীদের গোয়েন্দা বিভাগের সেনাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে ট্রেনিং দিলেন। ফিলিস্তিনে এক ইমামের প্রশংসায় ভরপুর। ইসলামী স্কলার, শায়েখ এবং অত্যন্ত আমলদার ও পরহেজগার হিসেবে তার সুখ্যাতি পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে। একদিন তিনি তাফসীরের আলোচনা করছিলেন তার মসজিদে। এ সময় দুইজন অপরিচিত আগন্তুক আসলো। তারাও খুব গভীর মনোযোগ দিয়

লোকসান ওয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে

ছবি
  প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের রেল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের।যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ৩৯৪টি ট্রেন পরিচালনা করে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে যা আয় হয়, তার চেয়ে বেশি অর্থ ট্রেনগুলো পরিচালনায় ব্যয় হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির। দেশে ১০৪টি আন্তঃনগর এবং ২৫৪টি মেল, কমিউটার ও লোকালসহ মোট ৩৫৮টি ট্রেনে সিটবিহীন টিকিট বিক্রি হয় ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত।টিকিট কালোবাজারি কিংবা টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনা নিয়মিতভাবেই ঘটছে। এসব কাজে রেলওয়েরই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে টিকিট পরিদর্শকসহ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের বিরুদ্ধে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগও পুরনো।বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির একাধিক খাত চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খাতগুলো হলো সম্পত্তি ইজারা ও হস্তান্তর, অবৈধ স্থাপনা তৈরি, কেনাকাটা, ভূমি অধিগ্রহণ, যন্ত্রাংশ নিলাম, টিকিট বিক্রি, ট্রেন ইজারা, ক্যাটারিং ইত্যাদি।রেলে বর্তমানে প্রায় ৭৭ শতাংশ ইঞ্জিন এবং প্রায় ৭০ শতাংশ বগি মেয়াদোর্ত্তীণ-আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে

মক্কা ও মদিনায় কেন অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ

ছবি
"হে ঈমানদারগন! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল -হারামের নিকট না আসে.....( সুরা তওবা আয়াত -২৮) কোন কোন মুফাসসির বলেন, কাফেরগণ ব্যহ্যিক ও আত্মিক সর্ব দিক থেকেই অপবিত্র। (কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর) তবে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এখানে নাপাক বলতে তাদের দেহ সত্তা বুঝানো হয়নি, বরং দ্বীনী বিষয়াদিতে তাদের অপবিত্রতা বোঝানো হয়েছে। সে হিসেবে এর অর্থ, তাদের আকীদাহ-বিশ্বাস, আখলাক-চরিত্র, আমল ও কাজ, তাদের জীবন — এসবই নাপাক। (ইবন কাসীর; সা’দী) আর এ সবের নাপাকির কারণেই হারাম শরীফের চৌহদ্দির মধ্যে তাদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।পবিত্র মক্কা নগরী রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্মস্থান।এখানে ইসলামের অনেক পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ন নিদর্শনাবলী রয়েছে।এখানে রয়েছে পবিত্র কাবা ঘর যা মুসলমানদের কিবলা(যে দিকে মুখ করে সালাত আদায় করা হয়)।ইসলাম ধর্ম মতে কাবাকে সবচেয়ে পবিত্র স্থান হিসেবে মনে করা হয়।কাবাকে ঘিরে রয়েছে মসজিদুল হারাম। কাবাঘরের চারপাশের প্রায় ২ বর্গমাইল এলাকা হারাম হিসেবে সাব্যস্ত। পরবর্তীতে শাসকরা সতর্কতা হিসেবে তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে মক্কা গেইট পর্যন্ত নিয়ে যান। উপরিউক্ত আয়াতের প্রথম অংশ

ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর

ছবি
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন শিরীন আবু আকলেহ। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর পরনে ইংরেজিতে বড় করে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট ছিল। ওই সময় শিবিরটিতে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা।সাংবাদিক শিরীনকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, ‘সম্ভবত’ অস্ত্রধারী ফিলিস্তিনিদের গুলি শিরীনের শরীরে লেগেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক বলেছেন, ঘটনাস্থলে কোন ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী ছিল না।ঘটনার পর আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ঠাণ্ডা মাথায় আলজাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধিকে সকালে (গতকাল) সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে নির্মমভাবে খুন করেছে।’সাহসী সাংবাদিক শিরীন আরব বিশ্বের সাংবাদিকদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শিরীন আবু আকলেহে কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে আর তাদের কণ্ঠকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন। আল জাজিরার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরীনকে বলা হতো ফিলিস্তিনের নির্