সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর


ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন শিরীন আবু আকলেহ। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সময় তাঁর পরনে ইংরেজিতে বড় করে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট ছিল। ওই সময় শিবিরটিতে কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছিল ইসরায়েলি সেনারা।সাংবাদিক শিরীনকে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করেছে, ‘সম্ভবত’ অস্ত্রধারী ফিলিস্তিনিদের গুলি শিরীনের শরীরে লেগেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক বলেছেন, ঘটনাস্থলে কোন ফিলিস্তিনি অস্ত্রধারী ছিল না।ঘটনার পর আলজাজিরা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ঠাণ্ডা মাথায় আলজাজিরার ফিলিস্তিন প্রতিনিধিকে সকালে (গতকাল) সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে নির্মমভাবে খুন করেছে।’সাহসী সাংবাদিক শিরীন আরব বিশ্বের সাংবাদিকদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।শিরীন আবু আকলেহে কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে আর তাদের কণ্ঠকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন। আল জাজিরার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরীনকে বলা হতো ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে তথ্য প্রদানে সাহসী ভূমিকার জন্য আরব বিশ্বে পরিচিত মুখ ছিলেন শিরীন আবু আকলেহ। অভিজ্ঞ এই সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রায় তিন দশক ধরে বিশ্ব জেনেছে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের সংগ্রামের কথা।ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ অঞ্চল পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলী বাহিনীর অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এবার নিজেই সংবাদের শিরোনাম হলেন শিরীন আবু আকলেহ।ক্যাথলিক খ্রিষ্টান পরিবারে জন্ম নেওয়া শিরীন সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করেন। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করার পর ১৯৯৭ সালে আল জাজিরায় যোগ দেন। ৫১ বছর বয়সী এই সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানটির মাঠ পর্যায়ের শুরুর সাংবাদিকদের একজন ছিলেন। তার মৃত্যুতে আল-জাজিরা কার্যালয়ে শোক নেমে আসে। সহকর্মীরা তার মৃত্যুকে সংবাদমাধ্যমের জন্য বড় ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। জনমুখী সাংবাদিকতা আর অনন্য পেশাদারির কারণে সর্বসাধারণের ভালবাসা নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরীন আবু আকলেহে। Israel killed her because Israel strongly believes that killing the messenger will stop the message. However, Israel doesn't realize that all the Palestinians are messengers of the message of the Holy Land of Palestine.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...