পোস্টগুলি

এপ্রিল ২৩, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নবীজির আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত ও ভারতীয় হিন্দু রাজার ইসলাম গ্রহণ

ছবি
মো.আবু রায়হান : মহানবি (সা.) কর্তৃক তাঁর জীবনে  অসংখ্য মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শিত হয়েছিল।তন্মধ্যে চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করণ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মোজেজা।  চন্দ্র দ্বিখণ্ডনকে আরবিতে  শাক্কুল ক্বামার, ইংরেজি Splitting of the Moon বলে। ইসলামি ঐতিহাসিক বর্ণনানুসারে নবি মুহাম্মদ (সা:)কর্তৃক প্রদর্শিত একটি মোজেজা বা অলৌকিক ক্ষমতা হল চন্দ্র দ্বিখণ্ডন। মদিনায় হিজরতের ৫ বৎসর পূর্বে মক্কার কাফির ও মুশরিকদের একদল নেতা একবার আল্লাহ’র রাসুল (সা.)'র কাছে আসে। তাদের মধ্যে ছিল আবু জেহেল, ওয়ালিদ বিন মুগিরাহ, আস ইবনে ওয়ায়েল, আস ইবনে হিশাম, আসওয়াদ ইবনে আবদে ইয়াগুস, আসওয়াদ ইবনে মুত্তালিব, জাম‘আহ ইবনুল আসওয়াদ, নযর ইবনে হারেস প্রমুখ।মোজেজার প্রমাণ কুরআন পাকের সুরা কামার এবং অনেক সহিহ হাদিসেও আছে। এসব হাদিস সাহাবায়ে কেরামের একটি বিরাট দলের রেওয়ায়েতক্রমে বর্ণিত আছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, জুবায়ের ইবনে মুতইম, ইবনে আব্বাস ও আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম প্রমুখ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এ কথাও বর্ণনা করেন। যে, তিনি তখন অকুস্থলে উপস্থিত ছিলেন

তারাবিহ নামাজের ইতিহাস ও তারাবিহ'র রাকাত সংখ্যা

ছবি
#মো.আবু রায়হান  তারাবিহ নামাজ রমজান মাসে আদায় করা হয়ে থাকে। রমজানে রাতে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর এবং বেতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয় তা তারাবিহ নামাজ। মূলত তারাবিহ বলতে কোনো নামাজের নাম  হাদিস গ্রন্থে পাওয়া যায় না। তারাবিহ নামে আখ্যায়িত হওয়ার কারণ মাঝখানের বিরতিগুলো। ২০ রাকাত নামাজ আদায় করতে গিয়ে প্রতি চার রাকাতের পর কিছু সময় বিশ্রাম নেয়ার রীতি ছিল। কেননা এই নামাজ আদায় করা হয় দীর্ঘ সময় ধরে। তবে নবী করিম (সা.) রমজানে কিয়ামুল লাইল বা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগির বিশেষ উৎসাহ দিয়েছেন এবং এ জন্য অশেষ ছোয়াবের সুসংবাদ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত একটি হাদিস উল্লেখ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) রমজানের রাত গুলোতে ইবাদত করার জন্য আমাদের উৎসাহ দিতেন। কিন্তু জোরালো আদেশ দিতেন না। তিনি বলতেন, "যে ব্যক্তি রমজানে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে কিয়াম করবে, তার ইতঃপূর্বেকার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।" তারাবিহ শব্দটি আরবি একবচন ,বহুবচনে  তারবিহাতুন। শব্দটির মূল ধাতু রাহাতুন অর্থ আরাম বা বি