পোস্টগুলি

মে ১৫, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইমাম আবু হানিফা নাম নিয়ে যত বানোয়াট গল্প

ছবি
ইমাম আবু হানিফা ছিলেন ফিকহশাস্ত্রের একজন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ এবং হিজরী প্রথম শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ইসলামী ফিকহের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ও পরিচিত চারটি সুন্নি মাযহাবের একটি হানাফি মাযহাব এর প্রধান ব্যক্তিত্ব তিনি। ইমাম আবু হানিফার নাম কেন নোমান বিন সাবিত থেকে ‘আবু হানিফা’ হলো, তা নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে। অথচ গল্পটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ।আরেকটি গল্প সেদিন এক বক্তার মুখে শুনলাম । দুটো গল্পের একটিও সঠিক নয়। আসলে ইমাম আবু হানিফার নাম সম্বন্ধে অনেক ফতোয়া দেয়া হয়, সেসবের সাথে ইমাম আবু হানিফার নামকরণের কোনো মিল নেই। এক একদিন ইরাকের কয়েকজন মহিলা ইমাম আযম আবু হানিফার কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, একজন পুরুষ যদি একত্রে চারজন স্ত্রী গ্রহণ করতে পারে তাহলে একজন মহিলা একত্রে দুজন স্বামী গ্রহণ করতে পারেনা কেন? আবু হানিফা তখন এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগ হলেন। তিনি তখন বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে উক্ত ঘটনাটি নিজ কন্যা হানিফার নিকট বললেন। সে বলল, “আব্বা! আমি যদি এর সমাধান দিতে পারি তাহলে আমার নামটি আপনার নামের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে আবু হানিফা মহিলাদেরকে স্বীয় কন্যার নিকট পাঠাল

হযরত ওমর (রা.) কে চারটি প্রশ্ন ও ঐতিহাসিক উত্তর

ইসলামি খেলাফতের তখন স্বর্ণযুগ চলছে। ফারুকে আজম, আমিরুল মুমিনিন হযরত ওমর (রা.) ছিলেন খলিফা। তৎকালীন বিশ্বের সুপার পাওয়ার পারস্য ও রোমসহ প্রায় অর্ধেক পৃথিবী মুসলমানদের পদানত। ইসলামের এই বিজয় অভিযান থামাতে একের পর এক কূটকৌশল সাজাতে ব্যস্ত ইহুদীরা। তেমনই এক অপকৌশলের অংশ হিসেবে কয়েকজন ইহুদী ধর্মযাজক হযরত ওমর (রা.) এর দরবারে এলেন। তারা খলীফাকে প্রস্তাব দিল যে, তারা চারটি প্রশ্ন করবে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আসমানি কিতাব থেকে দিতে হবে। সেটা হোক তাওরাত যাবুর বা ইনজিল অথবা কুরআন থেকেই হোক, উত্তর আসমানি কিতাব থেকেই হতে হবে। বলা বাহুল্য, প্রশ্নগুলোর উত্তর আসমানি কিতাবসমূহে উল্লেখ আছে। মুসলমানদের কেউ এর উত্তর দিতে পারলে যাজকরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করবে। কিন্তু যদি কেউই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে না পারেন তবে যাজকরা ইসলামি খেলাফতের সর্বত্র এই পরাজয়ের কথা ছড়িয়ে দিবে। যার পরিণতিতে ইসলামি খেলাফতের ভাবমর্যাদা চরম সংকটের সম্মুখীন হবে। আমিরুল মুমিনিন হযরত ওমর (রা.) তাদের শর্তে রাজি হলেন। তাদের চারটি প্রশ্ন ছিল- এক একই মায়ের পেট হতে দু’টি বাচ্চা একই দিনে একই সময় জন্ম গ্রহন করেছে এবং একই দিনে ইন্তেকাল করেছে তবে, তাদে

হযরত ওমর এর আমলে দুর্ভিক্ষ ও মহামারি

ছবি
হযরত ওমর (রা.) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। দীর্ঘ দশ বছর (৬৩৪-৬৪৪ পর্যন্ত) তিনি খিলাফাতে অধিষ্ঠিত ছিলেন।অর্ধেক পৃথিবীর শাসক হযরত ওমর (রা) দক্ষ প্রশাসক ও সমরবিদ ছিলেন। ঐতিহাসিক ইমামুদ্দিন বলেন, ‘তাঁর শাসনকাল ইসলামের কৃতিত্বপূর্ণ সামরিক ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। শুধু মহান বিজেতাই নন, তিনি ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক এবং নিরঙ্কুশ সফলকামী জাতীয় নেতাদের অন্যতম।’ওমরের শাসনামলে খিলাফতের সীমানা অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। তার সময়ে ইসলামি রাষ্ট্রের সীমানা সবচেয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছিল। এসময় সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুই তৃতীয়াংশ মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে আসে। তার শাসনামলে জেরুজালেম মুসলিমদের হস্তগত হয়।দুর্ভিক্ষ ও প্লেগ মহামারীর জন্য (৬৩৮-৬৩৯) সময়ে সামরিক অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। ৬৩৮ সালে আরবে খরার ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ক্ষুধা ও মহামারীর কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে।মদিনায় সঞ্চিত খাদ্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর ওমর (রা.) সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও ইরাকের প্রাদেশিক গভর্নরদেরকে সাহায্যের জন্য চিঠি লেখেন। গভর্নরদের সময়মত পাঠানো সাহায্য হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বা