পোস্টগুলি

মার্চ ১৮, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যক্তি বন্দনা ও ইসলাম

ছবি
ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলিম সমাজ হবে ব্যক্তিত্ববান মানুষ দ্বারা ভরপুর আলোকিত একটি সমাজ। যে সমাজে থাকবে না কোনো শঠতা, মোসাহেবি , তেলবাজি বা বাড়াবাড়িমূলক স্বভাব; যাতে সমাজে শ্রেণিবৈষম্য ও প্রতারণার দ্বার উন্মুক্ত হয়। মুসলিম সমাজে মানুষের চরিত্র হবে অত্যন্ত খোলামেলা, হৃদ্যতাপূর্ণ ও সুস্পষ্ট। তাদের কথা ও কাজের মধ্যে থাকবে না কোনো অমিল। আর না তারা একে অন্যের তোষামোদি বা তেলবাজি করে যে যার যার সুবিধা লুফে নিবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমানে আমোদের মুসলিম সমাজ এমনই এক ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত যে, তা আজ এক তোষামোদের সমাজে পরিণত হয়েছে। কেউ সুবিধা আদায়ের জন্য, কেউ পরিস্থিতির শিকার হয়ে অথবা অসুবিধায় পড়ে একে অন্যের অযাচিত প্রশংসায় লিপ্ত হয়। এক দিকে চলে পেছনে পেছনে চরম পরচর্চা অন্য দিকে চলে মুখোমুখি অতি প্রশংসা। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেন, ‘বাস্তবিক তৈল সর্বশক্তিমান, যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যায় অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য— তাহা কেবল তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে।’ তিনি আরও বলেন— ‘যে তৈল দিতে পারিবে তাহার বিদ্যা না থাকিলেও প্রফেসর হইতে পারে। আহাম্মক হইলেও ম্যাজিস্ট্রেট হইতে পারে, সাহ

ব্যক্তি বন্দনা থেকে শিরকের সূচনা

ছবি
ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ। শিরককারীকে বলা হয় মুশরিক। তাওবা ছাড়া মৃত্যুবরণ করলে শিরককারীর ক্ষমা নেই।সে অনন্তকাল জাহান্নামের আজাব ভোগ করবে। শিরক ছাড়া অন্য গুনাহ আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যত পাপ-তাপ আছে, তা যাকে ইচ্ছা (বিনা শাস্তিতেই) ক্ষমা করে দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে, সে মহা অপরাধে অপরাধী হয়ে যায়।’ (সুরা নিসা, আয়াত -৪৮) শিরক সবচেয়ে বড় অপরাধ / পাপ হওয়ার কারণ হলো, এটি মহান আল্লাহর অস্তিত্ব ও শক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই আল্লাহ কিছুতেই এই অপরাধ সহ্য করেন না। এ পৃথিবীতে যত নবী-রাসুল এসেছেন, তাঁদের প্রধান কাজ ছিল শিরক উত্খাত করে তাওহিদ প্রতিষ্ঠা করা। সর্বপ্রথম হজরত নূহ (আ.)-এর সম্প্রদায় পৃথিবীতে শিরক শুরু করে।এর আগের সম্প্রদায়গুলো আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল। সর্বক্ষণ আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন ছিল। এই পার্থিবজগতে শিরকের কোনো নাম-নিশানা ছিল না। নূহ (আ.)-এর সম্প্রদায়ে পাঁচজন বড় আলেম ছিলেন; যাঁরা সর্বক্ষণ মহান বিধাতার ইবাদতে