পোস্টগুলি

মে ১২, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসরায়েল সর্বোচ্চ যুদ্ধ বিমান ধবংসের রেকর্ড বাঙালি বৈমানিক সাইফুল আজমের

ছবি
মো.আবু রায়হান সাইফুল আজম একজন বৈমানিক ও বীরযোদ্ধা ।তিনি ১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতার নাম ছিল নুরুল আমিন। ১৫ বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে, ১৯৫৬ সালে উচ্চতর শিক্ষার জন্য পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৫৮ সালে তিনি ভর্তি হন পাকিস্তান এয়ার ফোর্স ক্যাডেট কলেজে। দুই বছর পর ১৯৬০ সালে তিনি পাইলট অফিসার হয়ে শিক্ষা সম্পন্ন করেন। একই বছর তিনি জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে যোগ দেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে। সাইফুল আজম বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জর্ডান ও ইরাকের বিমানবাহিনীর বৈমানিকের দায়িত্ব পালন করেছেন।পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র যোদ্ধা, যিনি আকাশপথে লড়াই করেছেন তিনটি ভিন্ন দেশের বিমানবাহিনীর হয়ে। একক ব্যক্তি হিসেবে আকাশপথের যুদ্ধের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করার রেকর্ডটিও এই যোদ্ধার। এক সময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লড়াইয়ে প্রায় আট হাজার বাংলাদেশি অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । ১৯৬৭ সালের ৫ জুন তৃতীয় আরব-ইসরায়েলি ছয়দিনের যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ করে মিশরীয় বিমান

শাসক যখন সেবক

  আব্বাসীয় খলীফা আল মুতাসিম বিল্লাহ ৮৩৩ সাল থেকে ৮৪২ সাল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মুসলিম বিশ্ব শাসন করেন। তিনি ছিলেন অষ্টম আব্বাসীয় খলিফা। খলীফা মামুনের মত তিনিও ছিলেন মুতাযিলা মতবাদের অনুসারী। নিজের মতবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল সহ আহলুস সুন্নাহর অন্যান্য আলেমদের উপর তিনি প্রচন্ড নির্যাতন চালান। খলীফা মুতাসিম চলছেন রাজপথ দিয়ে। রাজকীয় সমারোহে সুসজ্জিত অশ্বে আরোহণ করে চলেছেন তিনি। জনসাধারণ নিরাপদ পথ করে দিচ্ছে। চারদিকে থেকে অগণিত মানুষ সহাস্য বদনে সালাম জানাচ্ছে খলীফা মুতাসিমকে। খলীফা সকলের দিকে চেয়ে তাদের সালাম বিনিময় করে ধীরে ধীরে সামনে এগুচ্ছেন। হঠাৎ তাঁর চোখ গিয়ে পড়ল রাস্তার উপরে এক বৃদ্ধের উপর। বৃদ্ধটি খলীফাকে পথ করে দেবার জন্য রাস্তা থেকে দ্রুত সরে যাচ্ছিল। সরতে গিয়ে সে হঠাৎ রাস্তার পাশে নর্দমায় পড়ে গেল। কাদায়,ময়লায় মলিন হয়ে গেল তার দেহ। নর্দমা থেকে উঠার চেষ্টা করেছে বৃদ্ধ। সাহায্য পাবার আশায় দুটি হাত যেন তার অজ্ঞাতেই উপরে উঠেছে। খলীফা সংগে সংগে তার ঘোড়া দাঁড় করালেন। নামলেন ঘোড়া থেকে। ছুটে গেলেন সেই নর্দমার ধারে। সেই বৃদ্ধকে জড়িয়ে ধরে অতি সাবধানে তাকে উপরে টেনে তুললে

খলীফা মুতাসিম ও এক বন্দী মুসলিম নারী

আব্বাসীয় খলীফা মুতাসিম বিল্লাহ মসনদে বসে পানি পান করার জন্য সবেমাত্র গ্লাস হাতে নিয়েছেন। এরমধ্যে দরবারে হাজির হয়ে একজন জানালো আমীরুল মুমিনীন! সীমান্তে রোমানরা আক্রমণ করে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। অসংখ্য মুসলিম নারীর ইজ্জত লুন্ঠন ও তাদের বন্দী করে নিয়ে গেছে। একজন নারী ভীত হয়ে বারংবার খলিফার নাম ধরে কাঁদছিলেন। সেই নারী ওয়া মু’তাসিমা, ওয়া মু’তাসিমা (হায় মু’তাসিম, হায় মু’তাসিম) বলে চিৎকার করছিলেন । মুতাসিম তোমার বোন খৃস্টানদের হাতে আজ লাঞ্ছিত! খলিফা মুতাসিম বিল্লাহ মুসলিম নারীর দুর্দশার কথা শুনে স্থির থাকতে পারলেন না। খলীফা হাত থেকে পানির গ্লাস ছুড়ে ফেলেন এবং মুতাসিম উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, লাব্বাইক (আমি আপনার ডাকে হাজির)। তিনি জরুরী ভিত্তিতে যুদ্ধের আহবান করলেন। ইবনে খালদুন লিখেছেন, ‘এই কথা শুনে মুতাসিম লাব্বাইক লাব্বাইক বলে সিংহাসন থেকে দাঁড়িয়ে যান। তিনি তখনই যুদ্ধের প্রস্তুতির ঘোষণা দেন। দ্রুত তিনি আলেম ও আমিরদের ডেকে পাঠান। বাগদাদের কাজি আবদুর রহমান বিন ইসহাকও উপস্থিত হন। খলিফা সবার সামনে নিজের সম্পদের তালিকা করেন। সম্পদ তিন ভাগ করে এক ভাগ সন্তানদের জন্য, আরেক ভাগ খাদেমদের জন্য

জাতি ধর্ম বর্ণ সবার জন্য ইসলামের ন্যায়বিচার

  একবার এক ইহুদি ও এক নামধারী মুসলিম মুনাফিক ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। তখন ইহুদি প্রস্তাব দেয় মুহাম্মদ (সা:)-এর কাছে এর ন্যায়বিচার করার। কিন্তু বিশর নামের এই মুনাফিক চাইছিল না রাসূলের কাছে এই বিষয় নিয়ে যেতে। কারণ, ইহুদির দাবি ছিল ন্যায়সঙ্গত এবং বিশর নামক লোকটি অন্যায়ভাবে ঝগড়া করছিল।এক পর্যায়ে তারা রাসুল( সা)'র কাছে যান। স্বাভাবিক ভাবেই রাসূল (সা) সব শোনে বিচারের রায় দেন। সেই রায় ইহুদি ব্যক্তির পক্ষে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা)'র সামনে তারা উভয়েই রায় মেনে নিল। কিন্তু সেখান থেকে বের হয়ে এসে মুনাফিক বিশর ইহুদিকে বললো যে, তার নাকি বিচারের রায় মনঃপুত হয়নি। নাউযুবিল্লাহ!তাই বিশর ওমর (রা:) এর কাছে যান পুনরায় বিচারের জন্য।সে মনে করেছিল, হযরত ওমর (রা) তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে কঠোর। তিনি হয়তো ইহুদির বিপক্ষে রায় দিবেন। সেখানে ইহুদি ব্যক্তিটি সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন এবং মুহাম্মদ (সা:) -এর বিচার ও রায়ের কথাও উল্লেখ করেন। সমস্ত শুনে ওমর (রা) বিশরকে জিজ্ঞাসা করেন কথা গুলো সত্য কিনা। বিশর স্বীকার করল।ঘটনা শুনে হযরত ওমর (রা) তিনি বললেন, তোমরা বসো, আমি ফায়সালা করে দিচ্ছি। এটা বলে তিনি তার বাড়ির ভিতর

লাইলাতুল কদরের রাত কেন নির্দিষ্ট হলো না ?

একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) শবে কদরের তারিখ জানানোর উদ্দেশ্যে হুজরা থেকে বের হলেন। বের হয়ে দেখেন দুই ব্যক্তি ঝগড়া করছেন, এতে তিনি মনঃক্ষুণ্ন হলেন এবং তাঁর স্মৃতি থেকে লাইলাতুল কদরের সুনির্দিষ্ট তারিখটি উধাও হয়ে গেল। তিনি আর তারিখটি বলতে পারেননি। নিশ্চয় তাতেও কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তারিখ নির্দিষ্ট হয়ে গেলে মানুষ হয়তো নির্দিষ্ট এক রাতেই ইবাদত করত। অতঃপর তিনি (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতসমূহে শবে কদর খোঁজ কর। (বুখারি ও মুসলিম)। হাদিসের আলোকে জানা যায়, রাসুল (সা.)-কে যখন এর তারিখ ভুলিয়ে দেওয়া হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, সম্ভবত এতে তোমাদের কল্যাণ নিহিত আছে। অর্থাৎ যদি এ রাত নির্দিষ্ট করে দেওয়া হতো তবে অনেক অলস প্রকৃতির মানুষ শুধু এ রাতে ইবাদত বন্দেগিতে নিয়োজিত হতো। অবশিষ্ট সারা বছর ইবাদত বন্দেগি না করে আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে বঞ্চিত থাকত। দ্বিতীয়ত, এ রাত নির্দিষ্ট করা হলে কোনো ব্যক্তি ঘটনাক্রমে রাতটিতে ইবাদত করতে না পারলে সে দুঃখ ও আক্ষেপ প্রকাশ করতে করতে অনেক সময় নষ্ট করে দেবে। এতে সে মাহে রমজানের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। এ রাত যেহেতু নির্দিষ্ট করা হয়নি, সে জন্য এ রাতের সন্ধানে

দ্য সেইংস অব মুহাম্মদ (সা.) ও লিও তলস্টয়

ছবি
মো.আবু রায়হান মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৪৫১টি হাদিস আরবি থেকে ইংরেজি অনুবাদ করেন স্যার আবদুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী ‘দ্য সেইংস অব মুহাম্মদ (সা.)’ নামে একটি সংকলন প্রস্তুত করেন। প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে, লন্ডন থেকে। এতে ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে তাঁর ছোট্ট দুটি রচনাও অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রকাশের পরপর বইটি পাশ্চাত্য জগতে বেশ সাড়া জাগায়। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেন আসজাদুল কিবরিয়া। ১. যার দ্বারা মানবজাতির কল্যাণ বৃদ্ধি পায়, মানুষের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম। ২. যে ব্যক্তি মানবজাতির প্রতি দয়াশীল নয়, আল্লাহ্ও তার প্রতি দয়াশীল নন। ৩. প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মানবজাতি নিরাপদ থাকে। ৪. এমন সময় সমাগত, যখন নাম ছাড়া ইসলামের ও বাহ্যরূপ ছাড়া কোরআনের কিছু অবশিষ্ট থাকবে না, মুসলমানদের মসজিদগুলো প্রার্থনা ও জ্ঞানবঞ্চিত হবে, জ্ঞানী ব্যক্তিরাই বিশ্বের নিকৃষ্টতম ব্যক্তিতে পরিণত হবে এবং তাদের মধ্য থেকেই কলহ ও শত্রুতা উৎসারিত হয়ে তাদের ওপরই পতিত হবে। ৫. অতিরিক্ত প্রার্থনার চেয়ে অতিরিক্ত জ্ঞানচর্চা ভালো এবং সংযমই ধর্মের ভিত্তি। সারারাত প্রার্থনা করার চেয়ে রাতে এক ঘণ্টা বিদ্যা শিক্ষা দেওয়া ভা

কুব্বাতুস সাখরা কোনো মসজিদ নয়

ছবি
মো.আবু রায়হান আমরা প্রায় দেখি বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ছবি দিয়ে মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসার সংবাদ পরিবেশ করা হয় । আসলে এটি বায়তুল মুকাদ্দাসের ছবি নয়। এটি কুব্বাতুস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রকের ছবি। রাসুলুল্লাহ (সা) যুগ থেকে মসজিদের একটা অবকাঠামোগত আলাদা বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠেছে। একটা মসজিদে সাধারণত নামায আদায়ের জন্য নির্ধারিত একটি অংশ বা ঘর থাকে। তার সম্মুখভাগে একটা বর্ধিত অংশ থাকে, যাকে বলে মিহরাব। কুব্বাতুস সাখরায় কোনো মিহরাব নেই। এছাড়া কয়েক কারণে কুব্বাতুস সাখরা কোনো মসজিদ বা এবাদতখানা নয়।শুরুতে এটি মসজিদ হিসেবে নির্মাণও করা হয়নি। আরবিতে কুব্বাহ হলো গম্বুজ আর সাখরা হলো পাথর। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, “পাথরের (উপর নির্মিত) গম্বুজ”; হিব্রুতে বলে কিপ্পা হা-সেলা। সেকেন্ড টেম্পল বা দ্বিতীয় বায়তুল মুকাদ্দাস রোমানরা ধ্বংস করে দিয়েছিল। রোমানরা সেখানে জুপিটারের মন্দির বানিয়েছিল, সেই জায়গায় উমাইয়া খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান কুব্বাতুস সাখরা বা ডোম অফ দ্য রক নির্মাণ করেন।আটকোণা এই গম্বুজের ভেতরেই রয়েছে সেই পাথরের ভিত্তি - যেখান থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) মিরাজে গিয়েছিলেন বো

অভিশপ্ত ইহুদি জাতির লাঞ্ছনার ইতিহাস

মো.আবু রায়হান পৃথিবীতে ইহুদিদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মতো। পৃথিবীতে একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলে ইহুদির সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ৭০ লাখ, কানাডায় চার লাখ আর ব্রিটেনে তিন লাখ ইহুদি থাকে। ইহুদিরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২ শতাংশ। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদি! পৃথিবীতে ইহুদি এবং মুসলিমদের অনুপাত ১ঃ১০০। বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ,গাদ্দারি ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।সুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। এত সব অপকর্ম ও কুকীর্তি ইহুদিদের পরিণত করেছে আল্লাহর অ

বিশ্ব মিডিয়ায় ইহুদিদের প্রভাব

  মো.আবু রায়হান আজকের সংবাদ শিরোনামের দিকে চোখ বুলালে দেখবেন। তাদের শীর্ষ সংবাদ রাশিয়ায় মুসলিম অধ্যুষিত কাজানে নয় জন নিহত। এই ঘটনা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া তোলপাড়। তাদের মতে এই ঘটনা মুসলিম জঙ্গিরা ঘটিয়েছে। এদিকে কয়েক ঘন্টায় প্রায় ২২ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হলেন সেটা নিয়ে বিশ্ব মিডিয়া অনেকটাই নিশ্চুপ। কারণ কি জানেন? বিশ্ব মিডিয়াতেও ছড়িয়ে আছে ইহুদিরা। মুসলমানদের নিহত হবার ঘটনা তাদের কাছে পান্তা ভাতের মতো। তাদের কাছে মুসলমানদের জীবন গুরুত্বহীন। নির্দোষ মুসলমানদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বেইজ্জত করাতে ওদের জুড়ি নেই। সন্ত্রাসী হামলায় কোনো মুসলিম যুক্ত থাকলে তার কাজের জন্য পুরো সম্প্রদায়কেই দায়ী করা হয়। কিন্তু একই রকম ঘটনায় ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ জড়িত থাকলে গণমাধ্যমে শুধুমাত্র হামলাকারীকেই তুলে ধরা হয়।হামলাকারী অমুসলিম হলে, গণমাধ্যম তার ধর্মীয় পরিচয়ের দিকে জোর দেয় না। হামলাকারীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বা উন্মাদ হিসেবে দেখানো হয়। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ব্রেন্টন ট্যারেন্টের কথা এক্ষেত্রে একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। হামলার পর তাকে কোথাও “শ্বে

যুগে যুগে ইহুদিদের ষড়যন্ত্র ও অপকর্ম

  মো আবু রায়হান বিশ্বের বুকে জাতি হিসেবে ইহুদিদের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও অপকর্মের ইতিহাস সর্বজনবিদিত। কোরআনে কারিমে তাদের অভিশপ্ত ও লাঞ্ছিত জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুদখোর ও ধনলিপ্সু জাতি হিসেবেও তাদের একটা পরিচয় রয়েছে। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। ইহুদি কারা? হযরত ইসহাক (আ.)-এর পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধররা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত। বনি ইসরাইল হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধরদের একটি শাখা। এ শাখারই একটি অংশ পরবর্তীকালে নিজেদের ইহুদি নামে পরিচয় দিতে থাকে। ইয়াকুব (আ)-এর উপাধি ইসরায়েল। এই ইয়াকুব বা ইসরায়েলের ১২ সন্তান। ১২ সন্তানের চতুর্থ জনের নাম ইয়াহুদাহ। ইয়াহুদার অনুসারীরা তাঁর নামানুসারে ইয়াহুদি নামে পরিচিত হয়। সেই নামের অংশবিশেষ থেকে ‘ইহুদি’ নামকরণ করা হয়েছিল। (তাফসিরে মাওয়ারদি - ১