পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৪, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হুনাইনের যুদ্ধ

ছবি
#মো. আবু রায়হান ‎‎হুনাইনের যুদ্ধ মুসলমান কর্তৃক বেদুঈন গোত্র হাওয়াজিন ও তার উপশাখা সাকিফ এর বিরুদ্ধে ( হুনাইন হচ্ছে মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী একটি উপত্যকা ) ৬৩০ সালে সংঘঠিত একটি যুদ্ধ।বদর যুদ্ধের মতো এই যুদ্ধেও আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা পাঠিয়ে মুসলমানদের গায়েবি সাহায্য করেন। তবে ফেরেশতারা বদরের মতো এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেননি। সাধারণ মুসলমানরা তাদের অংশগ্রহণকে প্রত্যক্ষও করেনি। মক্কা বিজয়ের পর হাওয়াজিন গোত্র মক্কা থেকে তায়েফ পর্যন্ত বিস্তৃত তার শাখা গোত্রগুলোকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে একত্র করে। চার হাজার সৈন্যবাহিনীর পাশাপাশি সেনানায়ক মালিক বিন আউফ পূর্ণ শক্তির সঙ্গে রণাঙ্গনে তাদের সুদৃঢ় রাখার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে যে যুদ্ধক্ষেত্রে সবার পরিবার-পরিজনও উপস্থিত থাকবে। প্রত্যেকে নিজেদের সহায়-সম্পত্তিও সঙ্গে রাখবে। উদ্দেশ্য হলো, কেউ যেন পরিবার-পরিজন ও সহায়-সম্পদের টানে রণক্ষেত্র ত্যাগ না করে। পরিবার-পরিজনসহ তাদের মোট সংখ্যা ছিল ২৪ থেকে ২৮ হাজার। এদিকে ৮ম হিজরীর ৬ই শাওয়াল দিবস রাসূলুল্লাহ (সা) মক্কা হতে রওয়ানা হলেন। এটি ছিল মক্কা আগমনের ঊনিশতম দিবস। নাবী কারীম (সাঃ)-এর সঙ্গে ছিল বার হাজা

মুতার যুদ্ধ যেখানে শহীদ হন তিন সেনাপতি

ছবি
#মো.আবু রায়হান মহানবী (সা) এর জীবদ্দশায় মুসলমানরা যেসব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন মুতার যুদ্ধ ছিল সেসবের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী। এই যুদ্ধই খৃষ্টান অধ্যুষিত দেশসমূহ জয়ের দার খুলে দেয়। অষ্টম হিজরীর জমাদিউল আউয়াল অর্থাৎ ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দ বা সেপ্টেম্বর মাসে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুতা বর্তমানে জর্ডানের বালকা এলাকার নিকটবর্তী একটি জনপদ। এই জায়গা থেকে বায়তুল আকসা মসজিদের দূরত্ব মাত্র দুই মানযিল বা ৩২ মাইল । মুতার যুদ্ধ এখানেই সংঘটিত হয়েছিল। হজ্জ থেকে ফিরে এসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন গোত্রীয় নেতাদের অনুরোধে নানা স্থানে ইসলামের দূত প্রেরণ করলেন। কোনো কোনো স্থানে মুসলিম দূতের প্রতি অশোভন ও বিরোধমূলক আচরণ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মহানবী বিভিন্ন স্থানে বিধর্মীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযান প্রেরণ করেন। ইবনে হিশাম ও ওয়াকিদীর মতে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) হোদায়বিয়া সন্ধি স্বাক্ষরের পর থেকে মক্কা বিজয় (৬৩০ খ্রি.) পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ১৭টি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। রাসুল (সা) উত্তরদিকে যে তিনটি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন, মুতার যুদ্ধ তন্মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য। রোমের কায়সারের গবর্ণর শরহাবিল ইবন

তাবুক যুদ্ধ/ তাবুক অভিযান ( ৬৩০ খ্রি.)

ছবি
#মো. আবু রায়হান তাবুক যুদ্ধ/ তাবুক অভিযান ( ৬৩০ খ্রি.) ছিল রাসূল (সা )-এর জীবনের শেষ যুদ্ধ এবং যা রোমকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়। তৎকালীন সময়ের অর্ধেক পৃথিবীর একচ্ছত্র শাসক রোম সম্রাটের সিরিয় গবর্ণরের বিরুদ্ধে ৮ম হিজরীর জুমাদাল ঊলা মাসে পরিচালিত ‘মুতা’ অভিযানে এক অসম যুদ্ধে রোমকদের পিছুটানের ফলে আরব উপদ্বীপে মুসলিম শক্তির শ্রদ্ধাপূর্ণ প্রভাব বিস্তৃত হয়। তাতে যুগ যুগ ধরে রোমকদের শাসন-শোষণে নিষ্পিষ্ট আরবদের মধ্যে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগরিত হয়। বিশেষ করে আরব ভূখন্ডের সীমান্তবর্তী রোম শাসিত শাম রাজ্যের জন্য তা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দেয়। আল্লাহ তাআলা এ যুদ্ধের প্রক্কালে কুরআনে উল্লেখ করেন, ‘যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের কঠিন শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের স্থলে অন্য কোনো জাতিকে নিয়ে আসবেন। আর তোমরা কিন্তু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সুরা তাওবা, আয়াত ৩৯)আলোচ্য আয়াত তাফসিরে এসেছে, ‘তাবুক যুদ্ধের পটভূমিতে নাজিল হয়েছে এ আয়াত। যুদ্ধের নির্দেশ আসার পরও যারা নানা কারণে পিছিয়ে পড়েছিল, এই আয়াতে তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তাবু