পোস্টগুলি

মে ১৫, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পোল্যান্ডে ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
পোল্যান্ড সরকারিভাবে পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলের একটি রাষ্ট্র ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। এর রাজধানীর নাম ওয়ার্‌শ। এর পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুস, এবং উত্তরে বাল্টিক সাগর, লিথুয়ানিয়া, ও রাশিয়া অবস্থিত। বাল্টিক সাগরে পোল্যান্ডের সাথে ডেনমার্কের জলসীমান্ত রয়েছে। পোল্যান্ড ২০০৪ সালের ১লা মে তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।রেচ্‌পস্‌পলিতা নামটির ঐতিহাসিক ভাবে ১৬শ শতক হতে পোল্যান্ড-লিথুয়ানিয়া কমনওয়েলথের সময় হতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কমিউনিস্ট শাসনামলে (১৯৫২-১৯৮৯) দেশটির সরকারি নাম ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী পোল্যান্ড।তিন লাখ ১২ হাজার ৬৭৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট পোল্যান্ড ইউরোপের নবম বৃহত্তম দেশ। স্লাভিক উপজাতিরা প্রথম দেশটিতে বসতি স্থাপন করে। দশম শতাব্দীতে পিয়াস্ট রাজবংশের শাসনামলে রাজ্য হিসেবে পোল্যান্ড সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে। ৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্যাপ্টিজম মতাবলম্বীরা দেশটিতে আসে এবং এ সময়ই তাদের প্রচেষ্টায় দেশটিতে খ্রিস্টধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে।ষোড়শ শতকের শেষের দিককে পোল্যান্ডের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলা চলে। এ সময়ই জাগ

আজ ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয়ের দিন

ছবি
ফিলিস্তিনিরা ১৯৪৮ সাল থেকে নাকাবা দিবস পালন করে আসছে। নাকাবা অর্থ বিপর্যয়।ইহুদিদের হাতে ওই সময়ে ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয় ঘটেছিল।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে ফিলিস্তিন নামক ভূখণ্ডটি ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিন থেকে চলে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে ইহুদিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে ইউরোপে জায়নবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ায় ১৮৮০ সালের দিক থেকেই ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনে এসে বসতি গাড়তে শুরু করে। অবশেষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় ইহুদিদের স্বপ্ন বাস্তবে নেমে আসে। ইহুদিদের যেখানে স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু ফিলিস্তিনিদের জন্য সেখানে বিপর্যয়ের খুঁটি পোঁতা হয়। নাকাবা দিবসের উৎপত্তি ১৯৪৮ সালের ১৫ই মে শুরু হওয়া আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ থেকে।তার একদিন আগে, ১৪ই মে ইসরায়েল নিজেদের ঘোষণা করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে।সেসময় ওই এলাকা ছিল ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে। ফিলিস্তিন-ইসরাইলের দ্বন্দ্ব ১৯১৭ সালের, যখন ব্রিটিশ সরকার বালফোর ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় বসতি প্রতিষ্ঠা করার আ

দুর্ধর্ষ ইসরাইলি গোয়েন্দা যখন সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা

ছবি
ইউরোপ থেকে বিতাড়িত যেসব ইহুদিকে আরবরা করুণা করে আশ্রয় দিয়েছিলেন, একসময় তারাই চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে।এলি কোহেন বা এলিয়াহু বেন-শওল কোহেন ছিলেন একজন ইসরায়েলী গুপ্তচর। সিরিয়াতে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য কোহেন সমধিক পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।কিন্তু সিরিয়ার প্রতি-গোয়েন্দাবৃত্তির (কাউন্টার-ইন্টেলিজ্যান্স) দল অবশেষে তার গোয়েন্দা কার্যক্রম উন্মোচিত করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে দোষী সাব্যস্ত করার মাধ্যমে সামরিক আইনে ১৯৬৫ সালে কোহেনের ফাঁসি দন্ডাদেশ কার্যকর করে। ধারণা করা হয় যে, গ্রেপ্তারের পূর্বে কোহেনের জোগাড় করা গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্যগুলো ইসরায়েল কে ছয় দিনের যুদ্ধে সাফল্য এনে দিয়েছিল। ১৯২৪ সালে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে এক ধর্মপ্রাণ জায়নবাদি ইহুদি পরিবারে এলি কোহেনের জন্ম হয়। মূলত তার পিতা ১৯১৪ সালে সিরিয়ার আলেপ্পো শহর ছেড়ে মিশরে এসেছিলেন। এলি কোহেন ১৯৪৭ সালের দিকে মিশরের সেনাবাহ

একজন মজলুম খলিফা

ছবি
  জীবদ্দশায় সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ যত অপবাদ ও প্রপাগাণ্ডার শিকার হয়েছেন সমকালীন ইতিহাসে আর কোন শাসক ততটা হননি। সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ (২১ সেপ্টেম্বর ১৮৪২ – ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩৪তম সুলতান।। ১৮৬১ সালে তাঁর পিতা সুলতান আবদুল মজিদ ইন্তিকাল করলে চাচা আবদুল আজীজ খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৭৬ সালে তিনি নিহত হলে তাঁর ভাই পঞ্চম মুরাদ মসনদের হাল ধরেন। ধারণা করা হয়, চাচাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে ইয়াহুদী সংগঠন ‘ফ্রি মিশনে’র সাথে পঞ্চম মুরাদেরও হাত ছিল। তার ক্ষমতারোহণের পর বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকে। পঞ্চম মুরাদ ইহুদী লবির পরামর্শে খিলাফতকে বুনিয়াদি রাজতন্ত্রে পরিণত করেন। এতে খলীফা নামমাত্র শাসক হয়ে ওঠেন এবং নির্বাহী ক্ষমতা চলে যায় উযীর ও পাশাদের হাতে। মসনদে আরোহণের কয়েক মাসের মধ্যে ৫ম মুরাদের মস্তিষ্ক বিকৃতির লক্ষণ ফুটে ওঠে। কয়েকমাস পর যখন কোনো অবস্থাতেই তাকে সুস্থ করা যাচ্ছিল না, তখন আব্দুল হামিদের ডাক আসে। ইয়াহুদীবাদী ফ্রি মিশন এবং নব্য তুর্কিদের অনেক অন্যায্য শর্ত মেনেই ১৮৭৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি খিলাফতের পদে আসীন হন। (তারিখে দাওয়াতিল উসমানীয়্যা, ইয়ালমায উস