পোস্টগুলি

মে ১৯, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হেরাগুহা যেখান থেকে বিচ্ছুরিত হলো হেদায়তের দ্যুতি

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ আল্লাহর অদৃশ্য ইশারায় রাসুল (সা.) প্রতিবছর হেরা গুহায় মাসখানেক গভীর ধ্যান ও গবেষণায় নিয়োজিত থাকতেন।নির্জনে ধ্যান করাকে আরবি ভাষায় বলে তাহন্নুস। আর এর জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পান ফারান পর্বতের এই হেরা গুহা বা গারে হেরায়। জাবাল আল নুর পাহাড়টির আদি নাম ফারান। এ পাহাড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সর্বপ্রথম বরকতময় আলোকিত কুরআন নাজিল হয়। যা শুধু মুসলিম উম্মাহ নয় বরং বিশ্ব মানবতার জন্য নূর বা আলো। সে কারণেই এ পাহাড় বিশ্বব্যাপী জাবাল আল নূর নামেই পরিচিত। মহানবী (সা.) ১৫ বছর একাধারে হেরা গুহায় ধ্যান বা মোরাকাবা করেছেন। নবীজি (সা.) হেরাগুহায় ধ্যান করে আপন হূদয়কে আলোকিত করেছেন এবং সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হয়ে আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন। রাসুল (সা.)-এর ফরমান, ‘আমার প্রভুকে আমি অতি উত্তম সুরতে দেখেছি’ (তাফসীরে রুহুল বয়ান)। জাবাল আল নুর পাহাড়টি পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে ৩ কিমি উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।The Cave of Hira is located on top of Jabal Al-Nour about 3 km from Mecca.এ পাহাড়ের মূল উচ্চতা ৬৪০ মিটার ২১০০ ফুট।এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থি

জয়পুরহাটের গর্ব জীবন্ত শহিদ বুদ্ধিজীবী মজিবর রহমান দেবদাস

ছবি
মো আবু রায়হানঃ একুশে পদক বিজয়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষক জীবন্ত শহিদ বুদ্ধিজীবী নামে খ্যাত ড. মজিবর রহমান দেবদাস গতকাল মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে সোমবার (১৮ মে) জয়পুরহাটের মহুরুল গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।গতকাল দুপুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুলিশের একটি দল তার মরদেহে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। পরে তাকে জয়পুরহাট জেলার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের গণহত্যা, তাণ্ডবলীলা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা দেখে নিজের নাম পরিত্যাগ করে নতুন নাম দেবদাস ধারণ করেন। এছাড়া লোকমুখে আরেকটি কথা প্রচলন রয়েছে- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের নিপীড়নের মুখে যখন বাংলাদেশের অনেক হিন্দু যখন জীবন বাঁচাতে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছিল, তখন নিজের নাম পরিবর্তন করে দেবদাস রাখেন মজিবর রহমান। ড. মজিবর রহমান দেবদাস ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে খঞ্জনপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্

মসজিদে নববী নির্মাণের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ হযরত মুহাম্মদ (সা.) হিজরত করে মদিনায় আসার পর মসজিদে নববী নির্মিত হয়। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। এই মসজিদটিই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বোত্তম ও পবিত্র স্থানের মধ্যে দ্বিতীয়।(Masjid al Nabawi is the second holiest mosque in Islam, the second largest mosque in the world after the Masjid al-Haram in Mecca. It is resting place of the Prophet Muhammad. It was built by the Prophet himself, next to the house where he settled after his migration to Medina in 622 AD. মহিমান্বিত এই মসজিদে নববী অর্থ নবীজির মসজিদ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন, তখন এ শহরটির নাম ছিল ইয়াসরিব। রাসুল (সা.) আগমনের পরপরই ইয়াসরিব নামটি পবির্তন করে মদিনা নামকরণ করেন। কিন্তু সেখানে কোন মসজিদ ছিল না যেখানে নবীজিসহ সাহাবীরা নামাজ আদায় করবেন। নতুন হিজরতকারীদের মধ্যে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের শূন্যতা দেখা দিলে নবী (সা.) নিজেই একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। আর এ মসজিদের নাম দেন মদীনা মসজিদ। যা মসজিদে নববী (সা.) বা মদিনায়ে মুনাওয়ারা হিসেবে পরিচিত। এ মসজিদের গুরুত্ব ও মর্যাদা নিয়ে কোরআন-হাদি