পোস্টগুলি

মে ৮, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্লগারদের নিয়ে কেন এতো ভয়?

সাধারণত ব্লগে যারা লেখেন তাদের ব্লগার বলা হয়। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্ভব পরবর্তীতে এ আন্দোলনের সাথে জড়িত কথিত মুক্তমনা ব্লগারদের আল্লাহ রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম সম্পর্কে  কটাক্ষ ও কটুক্তি করে ব্লগে লেখার অভিযোগে কয়েকজন ব্লগারকে জঙ্গিরা হত্যা করে। এরপর থেকে সাধারণ জনমনে ব্লগারদের  নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় ও তাদের ব্যাপারে মনে ভীতি  তৈরী হয়। তখন থেকে ব্লগার মানেই নাস্তিক ও খারাপ এ ধরনের চিন্তা অনেকের মনেই বাসা বাঁধে। রিয়েল ফ্যক্ট হলো প্রযুক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিক আছে। ব্লগ হচ্ছে আপনার চিন্তা চেতনা প্রকাশের মুক্ত প্লাট ফরম। এখানে যেমন একজন ধর্ম বিরোধী তাদের যুক্তিতে যৌক্তিক লেখা লিখতে পারে তেমনিভাবে একজন আস্তিক ধর্মভীরু নিজের ধর্মের চিন্তা ধারা যৌক্তিকভাবে ব্লগে উপস্থাপন করতে পারে। মনে রাখতে হবে ব্লগার মানেই নাস্তিক বা ধর্ম বিরোধী না। এখানে অনেকেই ধর্মীয় লেখা লিখে থাকে। আপনার হাতে থাকা একটা নাইফ দিয়ে আপনি ইচ্ছা করলে আপেল কেটে খেয়ে নাইফের সঠিক ইউজ করতে পারেন। আবার এ নাইফ কোন দুষ্ট চক্রের হাতে পড়লে সে নাইফ কারো পেটে বসিয়ে দিতে পারে। তেমনি এ প্রযুক্তির আশির্বাদ ও অভিশাপ আছে।  ইতিবাচ

তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান, তাকওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত

ছবি
মো. আব রায়হানঃ পবিত্র মাহে রমজান হলো তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের প্রশিক্ষণ বছরের বাকি দিনগুলোতে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।উঁচু-নিচু, ধনী-গরীব, সাদা-কালো নির্বিশেষে যে কোন মুসলিম নারী পুরুষ তাকওয়া অবলম্বন করে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক তথা সামগ্রিক জীবন পরিচালনা করেন, তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে মু্ত্তাকী নামে পরিচিত। আল্লাহ বলেন - " হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।"(সুরা বাকারা আয়াত-১৮৩ )। আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।’ (সুরা হুজরাত -১০)। মুসলমানদের জন্য তাকওয়া অর্জন গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদত। তাকওয়া অর্জন ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়। হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করায় হলো তাকওয়া। গোপনে প্রকাশে যা করছি আল্ল

খাদ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়ার বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর হুশিয়ারি

ছবি
মো আবু. রায়হানঃ খাদ্যে ভেজাল ও ওজনে কম দেওয়া একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। একদিকে মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা অন্যদিকে খাদ্যে ভেজাল জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলছে। খাদ্য বেশিদিন সতেজ ও সংরক্ষণ করার জন্য ফরমালিন ও বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল, রং ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে এসব করলেও কর্তৃপক্ষ যেন নিশ্চুপ। এসব খাদ্য খেয়ে জনগণ হচ্ছে অসুস্থ ও বিভিন্ন অসুখ বিসুখে আক্রান্ত। কিছু ব্যবসায়ী পণ্য বিক্রির সময় হরদম মিথ্যা কথা বলে ও কসম করে দ্রব্য বিক্রি করে যা ঠিক নয়। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সব ব্যবসায়ীকে মিথ্যা কসম বর্জন করতে হবে। খাঁটি মাল বলে বিক্রি করে আদৌও খাঁটি কিনা সেটা বিক্রেতা খাঁটি বলে চালিয়ে দেয়। আবু কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, ততক্ষণ তাদের চুক্তি ভঙ্গ করার ঐচ্ছিকতা থাকবে। যদি তারা উভয়েই সততা অবলম্বন করে ও পণ্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করে, তাহলে তাদের পারস্পরিক এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে। আর যদি তারা মিথ্যার আশ্রয় নেয় এবং পণ্যের দোষ গোপন করে, তাহলে তাদের এ ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত শ