তাকওয়া অর্জনের মাস মাহে রমজান, তাকওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
মো. আব রায়হানঃ পবিত্র মাহে রমজান হলো তাকওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের প্রশিক্ষণ বছরের বাকি দিনগুলোতে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।উঁচু-নিচু, ধনী-গরীব, সাদা-কালো নির্বিশেষে যে কোন মুসলিম নারী পুরুষ তাকওয়া অবলম্বন করে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক তথা সামগ্রিক জীবন পরিচালনা করেন, তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে মু্ত্তাকী নামে পরিচিত। আল্লাহ বলেন -
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।"(সুরা বাকারা আয়াত-১৮৩ )।
আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক সম্মানিত যিনি তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক খোদাভীরু। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছু জানেন এবং সব বিষয়ে অবহিত।’ (সুরা হুজরাত -১০)।
মুসলমানদের জন্য তাকওয়া অর্জন গুরুত্ব পূর্ণ ইবাদত। তাকওয়া অর্জন ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়। হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জ্ঞান করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করায় হলো তাকওয়া। গোপনে প্রকাশে যা করছি আল্লাহ দেখছেন এই অনুভূতিই সৃষ্টি হওয়ায় হলো তাকওয়া। আভিধানিক অর্থে তাকওয়া শব্দের অর্থ - ভয় করা,বিরত থাকা,রক্ষা করা, আত্মশুদ্ধি, পরহেযগারী,বাঁচা, আত্মরক্ষা করা, নিষ্কৃতি লাভ করা ,নিজেকে কোন বিপদ ও অকল্যাণ থেকে সম্ভাব্য সকল উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা।God consciousness ... piousness, fear of Allah, love for Allah, and self restraint".তাকওয়ার অর্থ: বান্দা যে জিনিসকে ভয় করে তার থেকে বাঁচা ও তার থেকে আড়াল হওয়ার ঢাল গ্রহণ করার নাম তাকওয়া।আল্লাহর তাকওয়া অর্জন করার অর্থ: বান্দা যে জিনিসকে ভয় করে, যেমন আল্লাহর গোস্বা, শাস্তি ও অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচা ও তার থেকে সুরক্ষার জন্য আল্লাহর আনুগত্য করা ও তার নাফরমানি থেকে বিরত থাকা।ইবনে আব্বাস (রা) তাকওয়া অর্জনকারী মুত্তাকীর সংজ্ঞায় বলেছেন: “মুত্তাকী তারা, যারা আল্লাহ ও তার শাস্তিকে ভয় করে।”
ইবনে মাসউদ (রা) তাকওয়া প্রসঙ্গে বলেন, তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য করা তার নাফরমানী না করা, আল্লাহকে স্মরণ করা তাকে না ভুলা, তার শোকর আদায় করা তার কুফরী না করা।”
তালক ইবনে হাবীব বলেছেন: “তাকওয়ার অর্থ: আল্লাহর নির্দেশমতো তুমি তার আনুগত্য করা ও তার সাওয়াবের আশা রাখ এবং তার নির্দেশমতো তার নাফরমানী ত্যাগ কর ও তার শাস্তিকে ভয় কর।”
তাকওয়ার কয়েকটি উদাহরণ-
এক
একবার হযরত উবাই ইবনে কাব (রা)-কে ওমর (রা) তাকওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, হে ওমর (রা)! পাহাড়ের দুই ধারে কাঁটাবন, মাঝখানে সরু পথ। এমতাবস্থায় কিভাবে চলতে হবে? তিনি বলেন, গায়ে যেন কাঁটা না লাগে, সাবধানে পথ অতিক্রম করতে হবে। হযরত উবাই ইবনে কাব (রা) বললেন, এটাই তাকাওয়া। সুতরাং আজকের এই পাপ পঙ্কিলতাপৃর্ণ পৃথিবী, যার রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপাচার, অনাচার, শিরক, কুফর, বিদায়াত যেখানে অক্টোপাসের মত ছড়িয়ে আছে, দুর্নীতি, ঘুষ আর সুদের কাঁটা থেকে একজন মুমিনকে আত্মরক্ষা করে সাবধানে জীবনের পথ অতিক্রম করতে হবে।
দুই
হযরত ওমর (রা) তাঁর খেলাফতকালে লোকজনের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রাতের বেলা মদীনা মুনাওয়ারায় টহল দিতেন। এক রাতে তাহাজ্জুদের পর টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন, একটি ঘর থেকে কথাবার্তার শব্দ শোনা যাচ্ছে। সাধারণ অবস্থায় কারো ব্যক্তিগত কথা আড়ি পেতে শোনা জায়েয নয়। কিন্তু দায়িত্বশীল ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অনুমতি আছে। তো কথাবার্তার ধরন শুনে তাঁর কৌতূহল হল। তিনি ঘরের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ালেন এবং শুনতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তার মেয়েকে বলছে, ‘বেটি! আজ তো উটের দুধ কম হয়েছে। এত অল্প দুধ বিক্রি করে দিন গুজরান করা কষ্ট হবে। তাই দুধের সাথে একটু পানি মিশিয়ে দাও।’
মেয়ে উত্তরে বলল, ‘মা! আমীরুল মুমিনীন তো দুধের সাথে পানি মেশাতে নিষেধ করেছেন?’ বৃদ্ধা বললেন, ‘আমীরুল মুমিনীন কি আমাদের দেখছেন? তিনি হয়তো নিজ ঘরে ঘুমিয়ে আছেন। তুমি নিশ্চিন্তে পানি মেশাতে পার।’
এবার মেয়ে বলল, ‘মা, আমীরুল মুমিনীন এখানে নেই এবং তার কোনো লোকও নেই। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তো আছেন! তিনি তো দেখছেন! তাঁর কাছে আমরা কী জবাব দেব?’
ওমর (রা) দেয়ালের ওপাশ থেকে সব কথা শুনতে পাচ্ছিলেন। এতটুকু শুনেই তিনি চলে এলেন এবং পরদিন লোক পাঠিয়ে সে ঘরের খোঁজখবর নিলেন। তারপর বৃদ্ধার কাছে পয়গাম পাঠালেন যে, ‘আপনি সম্মত হলে আপনার মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিতে চাই।’
এভাবে তাকওয়ার বদৌলতে মেয়েটি আমীরুল মুমিনীনের পুত্রবধু হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করল। এই বরকতময় ঘরের তৃতীয় পুরুষে জন্মগ্রহণ করলেন খলীফা ওমর বিন আবদুল আযীয (রাহ.), যাকে পঞ্চম খলীফায়ে রাশেদ বলা হয়।
তিন
ইমাম আযম হযরত আবু হানিফা (রহ.) -এর তাকওয়া পরহেযগারি তো দৃষ্টান্ততুল্য ছিল। তাঁর সমকালীন ওলামায়ে কেরাম বলতেন যে, আমরা আমাদের যুগে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর তুলনায় অধিক মুত্তাকী পরহেযগার কাউকে দেখিনি।আলি ইবনে হাফস বলেন, হাফস ইবনে আব্দুর রহমানের ব্যবসা ইমাম আবু হানিফা (রহ.) -এর সাথে অংশীদার ছিলেন। একবার ইমাম সাহেব তার নিকট ব্যবসার কিছু সামগ্রী দিয়ে তাকে তা বিক্রির জন্য পাঠালেন। সাথে সাথে একথাও বলে দেন যে, এ কাপড়গুলোর মধ্য থেকে এই একটি কাপড়ে কিছু খুঁত আছে। সুতরাং বিক্রি করার সময় তা ক্রেতাকে দেখিয়ে বিক্রি করবে। কিন্তু ঘটনাক্রমে অন্যান্য কাপড়ের সাথে তিনি সেই কাপড় একত্রে বিক্রি করে ফেলেন। খুঁত জায়গাটি ক্রেতাকে দেখাতে ভুলে যান। আর উক্ত কাপড়টি কোন ক্রেতা কিনেছিল তা সঠিক জানাও ছিল না। পরে ইমাম সাহেবের নিকট ফিরে এসে ব্যবসা সংক্রান্ত খবরাদি অবহিত করেন। এ সময় তিনি তাকে উক্ত কাপড়টির কথা জিজ্ঞেস করেন। হাফ্স ইবনে আব্দুর রহমান বললেন, হযরত সেটির কথা আমার মনেই ছিল না। হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.) তখন এ ব্যবসার সম্পূর্ণ অর্থ সাদকা করে দিলেন। আর সে সময় তার মূল্য ছিল ২০ হাজার দেরহাম। ওপরন্ত এরপর তিনি হাফ্স ইবনে আব্দুর রহমানের সাথে যৌথ ব্যবসাই বন্ধ করে দেন।
সাদা কালো আরব অনারব,ধনী গরীব হিসেবে মানুষ মর্যাদা পাবে না। মানুষের মর্যাদা নির্ধারিত হবে তাকওয়ার ওপর। আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, আর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই বেশী মর্যাদাসম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে বেশী তাকওয়াসম্পন্ন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত।(সূরা হুজুরাত - ১৩)।মক্কা বিজয়ের সময় কা'বার তাওয়াফের পর রাসুল (সা) যে বক্তৃতা করেছিলেন তাতে বলেছিলেন, “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি তোমাদের থেকে জাহেলিয়াতের দোষ-ত্রুটি ও অহংকার দূর করে দিয়েছেন। হে লোকেরা! সমস্ত মানুষ দু’ ভাগে বিভক্ত। এক, নেককার ও পরহেজগার যারা আল্লাহর দৃষ্টিতে মর্যাদার অধিকারী। দুই, পাপী ও দুরাচার যারা আল্লাহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট। অন্যথায় সমস্ত মানুষই আদমের সন্তান। আর আদম মাটির সৃষ্টি।”(তিরমিযী- ৩১৯৩)।
বিদায় হজ্জে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বক্তৃতা করেছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, “হে লোকজন! সাবধান তোমাদের আল্লাহ একজন। কোন অনারবের ওপর কোন আরবের ও কোন আরবের ওপর কোন অনারবের কোন কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের ও কোন শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণঙ্গের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই আল্লাহভীতি ছাড়া। তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহভীরু সেই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাবান। আমি কি তোমাদেরকে পৌঁছিয়েছি? তারা বলল, আল্লাহর রাসূল পৌঁছিয়েছেন। তিনি বললেন, তাহলে যারা এখানে উপস্থিত আছে তারা যেন অনুপস্থিত লোকদের কাছে এ বাণী পৌছিয়ে দেয়।” (মুসনাদে আহমাদ- ৫/৪১১)।এখানে দুটি বিষয় জানা আবশ্যক। শ্রেষ্ঠত্ব দু'প্রকার-
এক, ঐ শ্রেষ্ঠত্ব, যা অর্জন করা মানুষের ইচ্ছা ও শক্তির বাইরে। এগুলোকে অনিচ্ছাধীন শ্রেষ্ঠত্ব বলা হয়। উদাহরণত-শ্বেতাঙ্গ হওয়া, সুশী হওয়া ইত্যাদি। দুই, ঐ শ্রেষ্ঠত্ব, যা মানুষ অধ্যবসায় ও চেষ্টার দ্বারা অর্জন করতে পারে। এ গুলোকে ইচ্ছাধীন শ্রেষ্ঠত্ব বলা হয়।"আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তোমাদের বংশ ও আভিজাত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেননা৷ তোমাদের মধ্যে যে বেশী আল্লাহভীরু সে-ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী ৷"( ইবনে জারীর) ৷ আরো একটি হাদীসের ভাষ্য হচ্ছে, "আল্লাহ তা'আলা তোমাদের চেহারা -আকৃতি ও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন ৷ " ( মুসলিম, ও ইবনে মাজাহ)।তাকওয়া অর্জন ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।তাকওয়া হচ্ছে জান্নাত লাভের অপরিহার্য শর্ত। সে জান্নাতের উত্তরাধিকারী আমি অবশ্য তাদেরকে বানাব, আমার বান্দাদের মধ্যে যারা তাকওয়ার অধিকারী।” (সূরা মরিয়াম ৬৩)।সূরা আল-মুমিনুনের শুরুতে মুমিনদের গুণাগুণ বৰ্ণনা করে শেষে বলা হয়েছে: “তারাই হবে অধিকারী—অধিকারী হবে ফিরদাওসের যাতে তারা স্থায়ী হবে। (আয়াত, ১০–১১) । আরো এসেছে, “তোমরা তীব্র গতিতে চল নিজেদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তকীদের জন্য। (সূরা আলে ইমরান আয়াত -১৩৩)। অন্যত্র বলা হয়েছে, “আর যারা তাদের প্রতিপালকের তাকওয়া অবলম্বন করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।” (সূরা আযযুমার আয়াত- ৭৩)। তাকওয়া সৃষ্টি হতে হবে অন্তরে, শুধুমাত্র মুখের বুলিতে, পোশাক পরিচ্ছদে তাকওয়া সৃষ্টি হয় না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্বীয় বক্ষের দিকে ইশারা করে বলেছেন, ‘তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে’।আসুন তাকওয়ার অর্জনের মাস মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা পালন করে আল্লাহ ভীতি অর্জন করি এবং পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি।
এক, ঐ শ্রেষ্ঠত্ব, যা অর্জন করা মানুষের ইচ্ছা ও শক্তির বাইরে। এগুলোকে অনিচ্ছাধীন শ্রেষ্ঠত্ব বলা হয়। উদাহরণত-শ্বেতাঙ্গ হওয়া, সুশী হওয়া ইত্যাদি। দুই, ঐ শ্রেষ্ঠত্ব, যা মানুষ অধ্যবসায় ও চেষ্টার দ্বারা অর্জন করতে পারে। এ গুলোকে ইচ্ছাধীন শ্রেষ্ঠত্ব বলা হয়।"আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন তোমাদের বংশ ও আভিজাত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেননা৷ তোমাদের মধ্যে যে বেশী আল্লাহভীরু সে-ই আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদার অধিকারী ৷"( ইবনে জারীর) ৷ আরো একটি হাদীসের ভাষ্য হচ্ছে, "আল্লাহ তা'আলা তোমাদের চেহারা -আকৃতি ও সম্পদ দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজ-কর্ম দেখেন ৷ " ( মুসলিম, ও ইবনে মাজাহ)।তাকওয়া অর্জন ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়।তাকওয়া হচ্ছে জান্নাত লাভের অপরিহার্য শর্ত। সে জান্নাতের উত্তরাধিকারী আমি অবশ্য তাদেরকে বানাব, আমার বান্দাদের মধ্যে যারা তাকওয়ার অধিকারী।” (সূরা মরিয়াম ৬৩)।সূরা আল-মুমিনুনের শুরুতে মুমিনদের গুণাগুণ বৰ্ণনা করে শেষে বলা হয়েছে: “তারাই হবে অধিকারী—অধিকারী হবে ফিরদাওসের যাতে তারা স্থায়ী হবে। (আয়াত, ১০–১১) । আরো এসেছে, “তোমরা তীব্র গতিতে চল নিজেদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সে জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আকাশ ও পৃথিবীর সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তকীদের জন্য। (সূরা আলে ইমরান আয়াত -১৩৩)। অন্যত্র বলা হয়েছে, “আর যারা তাদের প্রতিপালকের তাকওয়া অবলম্বন করত তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।” (সূরা আযযুমার আয়াত- ৭৩)। তাকওয়া সৃষ্টি হতে হবে অন্তরে, শুধুমাত্র মুখের বুলিতে, পোশাক পরিচ্ছদে তাকওয়া সৃষ্টি হয় না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্বীয় বক্ষের দিকে ইশারা করে বলেছেন, ‘তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে, তাকওয়া এখানে’।আসুন তাকওয়ার অর্জনের মাস মাহে রমজানে সিয়াম সাধনা পালন করে আল্লাহ ভীতি অর্জন করি এবং পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন