পোস্টগুলি

নভেম্বর ১৭, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দুনিয়ায় একখন্ড জান্নাত

দুনিয়ায় জান্নাত রয়েছে। কথাটি শুনতে প্রশ্নবিদ্ধ মনে হলেও সত্য যে, এ দুনিয়ার একটি স্থানকে ‘জান্নাতের বাগান’ ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। বাস্তবেও সেখানে জান্নাতি পরিবেশ বিরাজ করে। সে স্থান কোনটি? عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي অর্থাৎ হাফস ইবন আসিম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) অথবা আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ "আমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগিচাসমূহের একটি বাগিচা। আর আমার মিম্বর হাওযের উপর অবস্থিত।"সুতরাং রওজা বা জান্নাতের বাগান হলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মসজিদে অবস্থিত খুতবার মিম্বার এবং তাঁর ঘর (বর্তমানে সমাধিস্থল) এর মধ্যস্থিত স্থানই রওজা বা (রিয়াজুল জান্নাহ বা জান্নাতের বাগান)। পবিত্র নগরী মদিনার মসজিদে নববির বর্তমান মেহরাব তথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমাধ

কেয়ামতের আগে জাজিরাতুল আরব

ইমাম আবু দাউদ (৪২৫২) ও ইমাম তিরমিযি (২২১৯) ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্‌সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: "আল্লাহ্‌তাআলা তামাম পৃথিবীকে আমার জন্য ভাঁজ করেছিলেন; যাতে করে আমি পৃথিবীর পূর্ব প্রান্ত ও পশ্চিম প্রান্ত দেখতে পাই। পৃথিবীর যতটুকুকে আমার দেখার জন্য ভাঁজ করা হয়েছিল অচিরেই ততটুকুতে আমার উম্মতের রাজত্ব কায়েম হবে। আমাকে সাদা ও কালো দুটো গচ্ছিত ধন দেওয়া হয়েছে...। আমার উম্মতের কিছু গোত্র পৌত্তলিকদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এবং আমার উম্মতের কিছু গোত্র মূর্তিপূজাতে লিপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না।" ইমাম বুখারী তাঁর সহিহ গ্রন্থের একটি পরিচ্ছেদের শিরোনাম দেন এভাবে: "যামানা পরিবর্তন হওয়া; এমনকি মূর্তিপূজায় লিপ্ত হওয়া" শীর্ষক পরিচ্ছেদ। এরপর তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিস উল্লেখ করেন: তিনি বলেন: "'যুল-খাসলা'-র উপর দাওসের নারীদের নিতম্ব নাচার আগ পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না।" 'যুল-খাসলা' হচ্ছে দাওস গোত্রের তাগুত; জাহেলী যুগে তারা যার পূজা করত।[সহিহ বুখারী (৭১১৬)] হাদিস থেকে জানা যায় যে, শেষ যামান