পোস্টগুলি

জুলাই ৩০, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আঙ্কারার যুদ্ধ ১৪০২

ছবি
  আঙ্কারার যুদ্ধ ১৪০২ সালের ২৮ জুলাই সংঘটিত হয়।আঙ্কারার নিকটে চুবুকের যুদ্ধক্ষেত্রে উসমানীয় সাম্রাজ্য ও তৈমুরি সাম্রাজ্যের মধ্যে এই যুদ্ধ হয়। তৈমুরিরা এই যুদ্ধে জয়ী হয়। ফলশ্রুতিতে উসমানীয় সাম্রাজ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়। যুদ্ধের তিন বছর পর তৈমুর বেগ মারা যান। এরপর তৈমুরি সাম্রাজ্যের অবনতি হতে থাকে এবং উসমানীয় সাম্রাজ্য ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হতে থাকে। তৈমুর লং ছিলেন তিমুরীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত পঁয়ত্রিশ বছর ছিলো তার রাজত্ব। আজকের দিনের তুরষ্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ (কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, ভারত, এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত) তার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। তার সাম্রাজ্যের সীমানা উসমানীয় সাম্রাজ্য পর্যন্ত পৌছায়। এই দুই শক্তির মধ্যে দ্রুত প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দেয়। তৈমুরের প্রতি অনুগত একটি আনাতোলীয় বেইলিকের কাছে উসমানীয় সুলতান বায়েজিদ কর দাবি করেছিলেন।তৈমুর একে নিজের প্রতি অপমান হিসেবে নেন এবং ১৪০০ সালে উসমানীয় শহর সেবাস্তে হামলা করেন।১৪০২ সালে উসমানীয়র

গ্যালিপলি যুদ্ধ বার্ষিকীতে এরদোয়ান

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াই ছিল গ্যালিপলি যুদ্ধ। উসমানীয় খেলাফতকে উৎখাত করতে মিত্রবাহিনী তুর্কি উপদ্বীপে অবতরণ করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। অটোম্যান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মিত্র বাহিনীর সম্মুখ সমরে মিত্র শক্তির প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার সেনা নিহত হয়। এ যুদ্ধে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ব্রিটেনের তৎকালীন কলোনী অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড এবং ইন্ডিয়া যৌথভাবে অট্টোমান সাম্রাজ্য ও জার্মানির বিরুদ্ধে লড়েছিলো। ঐতিহাসিকভাবে একে ‘গ্যালিপলি ক্যাম্পেইন’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে।। তুর্কি ভাষায় এ যুদ্ধ চানাক্কালে যুদ্ধ নামেও পরিচিত। ক্যাম্পেইনটি ২৫শে এপ্রিল, ১৯১৫ থেকে শুরু করে ৯ই ফেব্রুয়ারি, ১৯১৬ পর্যন্ত চলমান ছিল।গ্যালিপলি ক্যাম্পেইনে ২৫ হাজার ব্রিটিশ সেনা, ১০ হাজার ফরাসি সেনা এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ১০ হাজার সেনা নিহত হয়। গ্যালিপলি যুদ্ধের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো- অটোম্যান সাম্রাজ্যের কাছে হেরে যায় মিত্র শক্তি। তুরস্কের ৮৬ হাজার সেনা নিহত হলেও বেঁচে যান কমান্ডার মুস্তফা কামাল। তার হাতেই নির্মিত হয় আধুনিক

পিতা -পুত্র

  পিতা পুত্রের সমন্ধে অতিমাত্রায় আবেগ ও অনুভূতি মিশ্রিত। যে আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসার সীমা পরিসীমা নির্ণয় ও আচ করা অসম্ভব। ১০০ বছর বয়সে নিঃসন্তান নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) পুত্র সন্তানের জনক হলেন। ঐশ্বরিক আদেশ পিতা পুত্রের মধ্যে সাময়িক ছেদ ঘটাল। আল্লাহ তায়ালা ইব্রাহিম (আ.) এর কঠিন পরীক্ষা নিলেন। হযরত ইব্রাহিম (আ:) বিবি হাজেরা আর ইসমাইলকে নিয়ে বহুদূরে বর্তমান কাবাগৃহের স্থানে ও জমজম কূপের কাছে একটা গাছের নীচে তাদেরকে রাখলেন। ( তখন জমজম কূপ ছিল না ) এটি ছিল অনাবাদী, জনমানব শূন্য, পানিবিহীন একটা জায়গা। প্রাণ বাঁচানোর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর একটা জায়গা। হযরত ইব্রাহিম সামান্য পানি ও খেজুর বিবি হাজেরার পাশে রেখে চলে আসেন। আল্লাহর হুকুমে প্রিয় পুত্র ও প্রিয়তমা স্ত্রীকে জনমানবহীন মরুর বুকে ফেলে আসার অনুভূতি কী হয়েছিল আমরা জানি না।তবে হযরত ইব্রাহিম (আ.) চলে যাওয়ার সময় দোয়া করলেন-‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার পবিত্র ঘরের নিকটে এমন এক ময়দানে আমার স্ত্রী ও পুত্রকে রেখে যাচ্ছি, যা (অনাবাদি) শস্যের অনুপযোগী এবং জনশূন্য (নির্জন প্রান্তর) মরুভূমি। হে প্রভু! এ উদ্দেশ্যে (তাদের উভয়কে রেখে যাচ্ছি) যে, তারা ন