পোস্টগুলি

মে ৭, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা, জামাতে আদায় ও ফজিলত প্রসঙ্গে

ছবি
#মো. আবু রায়হান রমযানে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। তারাবীহ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। তারাবির নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদাহ, আদায় না করলে অবশ্যই গুনাহ হবে।সুন্নত ভেবে গড়িমসি করে তারাবীর নামাজ ত্যাগ করা উচিত নয়। অনেক আলেম ওলামা তারাবীকে ওয়াজিবের কাছাকাছি বলার চেষ্টা করেছেন।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনো আট রাকাত, কখনো ১৬ রাকাত, আবার কখনো ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বিশেষ কারণবশত নিয়মিত ২০ রাকাত পড়তেন না। কেননা, তিনি কোনো কাজ নিয়মিত করলে তা উম্মতের জন্য ওয়াজিব তথা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। এ করুণা দৃষ্টির কারণে তিনি তাঁর আমলে প্রতিনিয়ত ২০ রাকাত পূর্ণ তারাবিহ জামাত হতে দেননি। যার দরুন সালাতুত তারাবিহ সুন্নত, ওয়াজিব নয়; তবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা জরুরি সুন্নত।  তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে।তারাবীর নামাজের রাকাত সংখ্যা ২০ বলেন ইমাম  হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ।মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবীহ পড়েন। ২০ রাকাত তারাবিহ নামাজ হওয়ার সপক্ষে দল

তারাবিহ নামাজের নিয়ত দোয়া ও মুনাজাত

ছবি
রমজান মাসে মুসলিমরা এশার নামাজের পর অতিরিক্ত ২ রাকাত করে যে নামাজ আদায় করে থাকেন তা তারাবীর নামাজ নামে পরিচিত।অর্থাৎ দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবিহ নামাজ’ বলা হয়। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা।তারাবিহ আরবি শব্দ এর একবচন 'তারবীহাতুন। তারাবি নামাজের নিয়ত نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى جهة الكعبة الشريفة الله اكبر. উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’আলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার। অর্থ: আমি ক্বিবলামুখি হয়ে দু’রাকাআত তারাবিহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাযের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। দুই রাকাত/ চার রাকাত পর দোয়া প্রত্যেক ২ রাকাত পর সালাম ফিরানোর পর ইসতেগফার পড়তে হয়, দুরুদ পড়তে হয়, আল্লাহর স্মরণে জিকির করতে হয়। তারপর চার রাকাত হলেও কুরআন হাদিসের দুআ’গুলো পড়া হয়; যে দোয়াগুলো ৫ ওয়াক্ত নামাজে পড়া হয়। কিন্তু তারাবির যে দোয়াটি বর্তমানে জারি আছে, এই দোয়াটি

ব্যথিত হই

সবাই যখন বলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু সর্বত্র যখন চলে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা তখন খেই হারিয়ে ফেলি। যখন পত্রিকা নিয়ে বসি তখন হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ি। ফেসবুকের নিউজ ফিডে তো চোখ বুলানো যায় না।ভাবি নো নিউজ ইজ গুড নিউজ।  চারিদিকে শুধু খুন ধর্ষণের ছড়াছড়ির খবর। দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য তারুণ্যের হতাশা। গত পনরো দিনে শেয়ারবাজারের আনুমানিক ২৫হাজার কোটি টাকা লোপাট। জানি না বরাতের রাতে কার রাতারাতি অাঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ভাগ্য লিখন হয়েছে। কে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় বসছেন। ঋণখেলাপিরা ঋণ নিয়ে এখন ঋণ মমওকুফের আশায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। দৃশ্যমান দুএকটি পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার ব্রিজ দিয়ে কি এসব অপকর্ম ঢেকে রাখা যাবে? এইচএসসি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন কালে শিক্ষার্থী যখন বলে স্যার একটু সুযোগ দেন তখন। লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে।চিৎকার চেঁচামেচি করি। এ পর্যন্তই। কারণ শিক্ষকরা এখন আহত বাঘ। ভবিষ্যতে প্রজন্মের এসব সোনার ছেলেদের কিছু বলার নেই। নিরবে সব সহ্য করতে হয়। ধমক দিয়েই তাদের নিবৃত্ত করার ব্যর্থ প্রয়াস চালাতে হয়। সপ্তাহ তিনেক আগে একটি চাকরির পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলাম। পরীক্ষার হলে এক তরুণ কানের কাছে এসে

কেন রমজান মাসের এতো গুরুত্ব??

ছবি
#মো. আবু রায়হান আরবি বারো মাসের নবম তম মাস হলো রমজান। অন্যান্য মাসের চেয়ে রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক বেশি।-নবী করিম (দ.) ইরশাদ করেছেন: শা’বান আমার মাস, আর রমজান হলো আল্লাহর মাস’ (মা’সাবাতা বিস্সুন্নাহ) এ মাস এত বেশি মর্যাদাবান হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে -নিন্মোক্ত আলোচনা দ্বারা রমজান মাসের গুরুত্ব সহজে উপলব্ধি করা যেতে পারে।   এক এ মাসে কোরআন মজিদ অবতীর্ণ করা হয়েছে, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, রমজান মাস যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে আর এ কোরআন মানবজাতির জন্য পথের দিশা, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন, হক বাতিলের পার্থক্যকারী। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে সে এতে রোজা রাখবে, যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে, সে পরবর্তী সময়ে গু​নে গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে দেবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হিদায়াত দান করার দরুন আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো। (সুরা বাকারা আয়াত ১৮৫ )।শুধু কোরআন নয় অন্যান্য আসমানী কিতাবও একমাসের অবতীর্ণ হয়েছে। হাদিসে বর্ণিত, হযরত ইব্রাহিম (আ.)–এর সহি