সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান


মো.আবু রায়হান: সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে।(A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)।মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যাগ করে অতি সাধারণ জীবনযাপন করতে সর্বদা মসজিদে নববির চত্বরে অবস্থান করতেন।আসহাবে সুফফা হলো তরুণ, অবিবাহিত ও দরিদ্র সাহাবিদের একটি দলের নাম, যারা সুফফা নামক স্থানে বসবাস করতেন।(Ashab al-Suffa, is a general name given to young, unmarried and poor citizens who dwelled in Suffas, which were established by the Islamic prophet Muhammad next to Al-Masjid an-Nabawi.)প্রাথমিকভাবে সুফফা মুহাজির সাহাবিদের অবস্থানের জন্য নির্মিত হয় বলে এটি ‘সুফফাতুল মুহাজিরিন নামেও পরিচিতি লাভ করে। পরে এটি বাইরে থেকে আগত শিক্ষার্থী সাহাবি এবং মদিনার নিঃস্ব অসহায় সাহাবিদের রাত্রিকালীন আবাসস্থল ও দিবাভাগে শিক্ষালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। বিপুলসংখ্যক সাহাবি এখানে অবস্থান করতে পারতেন। সেহিসেবে সুফফা ছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম আবাসিক  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। (It was the first academy in the history of Islam.)।উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিক যখন মসজিদটি প্রসারিত করেছিলেন তখন আল-সুফফার অবস্থান পরিবর্তিত হয়। যেটি এখন দিক্কত আল-আগাওয়াত নামে পরিচিত।মোদ্দাকথা আসহাবে সুফফা ইসলামের ইতিহাসে এক বিশেষ মর্যাদা ধারণ করে আছে।হাদিসে তাদের আসহাবে সুফফা বা আহলুস সুফফা উভয়টি বলা হয়েছে।মূলত মসজিদে নববিকে কেন্দ্র করে সুফফা মদিনায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের  সুচনা করেছিল। আসহাবে সুফফার সদস্য সংখ্য ছিল ৭০ থেকে ৮০ জন। অবশ্য পরবর্তী সময়ে রাসুল  (সা)- দরিদ্র মুহাজিরদের পুনর্বাসন করেন। (Roughly 70 of Prophet Muhammad's unmarried companions constantly lived in the yard of the prophet's masjid and did not leave his side.)।আসহাবে সুফফার সদস্যগণ খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-আশাক মানবিক চাহিদার কোনো চিন্তা করতেন না। রাসুল  (সা)-এর দরবারে হাদিয়া হিসেবে যা আসত তা থেকেই তাঁরা তাদের প্রয়োজন পূরণ করতেন।রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের সাথে বসতেন, একসঙ্গে আলাপ করতেন এবং তাদের খাবার খেতে ডেকে আনতেন এবং পানীয় একসঙ্গে ভাগ করে খেতেন। সাহাবারা আসহাবে সুফফার দুই বা তিনজনকে নিজেদের ঘর থেকে খাবার খাওয়াতেন।। এছাড়াও সাহাবারা সর্বোত্তম খেঁজুর নির্বাচন করে আল-সুফফার ছাদে আসহাবে-সুফফাদের খাওয়ানোর জন্য ঝুলিয়ে রাখতেন। বাণিজ্য প্রত্যাখ্যান এবং সামরিক হুমকির সমন্বয়ে সৃষ্ট কাজের অভাবের কারণে, আসহাবে সুফফাদের আয় খুব কম ছিল।ভর্তুকির অর্থ ও ব্যক্তিগত অনুদান থেকে ব্যয় তাদের ব্যয় নির্বাহ করা হতো।
মসজিদে নববিতে সুফফা।
আস সুফফায় দুধরনের ছাত্র ছিলেন প্রথমতঃ সার্বক্ষণিক ছাত্র, দ্বিতীয়তঃ আশ্রয়হীন যারা বাধ্য হয়ে থাকতেন। ধারণা করা হয় যে, এক সময়ে ৩০০ জন সুফফায় ছিল, কিন্তু তাদের সংখ্যা কম বেশি হতো। এক সময় তাদের  মোট সংখ্যা ৪০০ সদস্যে পৌঁছায়।মদিনার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিধি দলের আগমনের কারণে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেত। আবার তারা চলে গেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যেত। আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতি আসহাবে সুফফার সংখ্যা ৪০০ বলে উল্লেখ করেছেন। হাফেজ আবু নুয়াইম তার হিলইয়াতুল আউলিয়া গ্রন্থে সুফফার স্থায়ী বাসিন্দা ৭০ জন উল্লেখ করেছেন। আসহাবে সুফফার সেরা শিক্ষার্থীরা ছিলেন হযরত আবু হুরায়রা (রা), হযরত বেলাল (রা), হযরত শোয়াইব (রা), হযরত আম্মার (রা) প্রমুখ।সুফফার শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থনীতি শাস্ত্রে হযরত ওমর (রা.), হাদিস শাস্ত্রে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.), কেরাত শাস্ত্রে সালিম (রা.), আধ্যাত্মিক সাধনায় আবুজর গিফারি (রা.), সুহাইব রুমি (রা.), সালমান ফারসি (রা.), আবু দারদা (রা.), আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.), হানজালা (রা.), আইন ও বিচার শাস্ত্রে মুয়াজ ইবনে জাবল (রা.), সামরিক বিজ্ঞানে সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) ও হুজাইফা ইবনে ইয়ামান (রা.) প্রমুখ। এখানে তাঁরা রাসূলের (সাঃ) নিকট থেকে যে শিক্ষা পেতেন, সেই শিক্ষা দূর দূরান্তে গিয়ে প্রচার করতেন। আনাস ইবনে মালেক (রা) বলেন, ‘রাসূল সা. আহলে সুফফার সদস্যদের পড়াতেন।’আসহাবে সুফফা ছিলেন ইসলামের মেহমান। তাদের কোনো ঘরবাড়ি এবং সহায়-সম্পদ ছিল না।আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ৭০ জন (আহলে সুফ্ফাকে) এই অবস্থায় দেখেছি, তাদের কারো কাছে (গা ঢাকার) জন্য চাদর ছিল না, কারো কাছে লুঙ্গী ছিল এবং কারো কাছে চাদর, (এক সঙ্গে দু’টি বস্ত্রই কারো কাছে ছিল না) তারা তা গর্দানে বেঁধে নিতেন। অতঃপর সেই বস্ত্র কারো পায়ের অর্ধগোছা পর্যন্ত হত এবং কারো পায়ের গাঁট পর্যন্ত। সুতরাং তাঁরা তা হাত দিয়ে জমা করে ধরে রাখতেন, যেন লজ্জাস্থান দেখা না যায়।’ (বুখারি- ৪৪২)। হযরত আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) বলেন, আসহাবে সুফফা ছিলেন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তাদের আর্থিক অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল যে, শীত নিবারণ কিংবা পুরো শরীর আবৃত করার মতো কোনো কাপড় তাদের ছিল না। এ অবস্থায় অর্ধ আবৃত পোশাক নিয়ে তারা বাইরে আসতে লজ্জাবোধ করতেন। অন্যদিকে সুফফার চারপাশ খোলা ছিল বলে অবাধে ধুলাবালি ঢুকত। ফলে তাদের পোশাক আশাক ময়লা হয়ে যেত। 
আসহাবে সুফফার পানাহারের তত্ত্বাবধান করতেন হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে কোনো সাদকা এলে তিনি তা আসহাবে সুফফার জন্য পাঠিয়ে দিতেন। আর তাঁর কাছে কোনো হাদিয়া এলে তিনি তাদের সঙ্গে নিয়ে ভাগ করে খেতেন। অনেক সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) তাদের নিজ ঘরে দাওয়াত দিতেন। কখনও দুধ পান করাতেন, কখনও খেজুর, ময়দা ও মাখন মিশ্রিত খাবার এবং কখনও রুটি, গোশত ও সবজির সুপ দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করাতেন। সুরা বাকারার ২৭৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আসহাবে সুফফার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। আসহাবে সুফফার মতো যারা নিজেদেরকে দ্বীনের কাজে নিয়োজিত রাখে তাদেরকে দান-সহযোগিতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে এ আয়াতে।এ আয়াতে এমন একদল লোককে সাহায্য করার কথা বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর দ্বীনের খেদমতে নিজেদেরেকে কায়মনোবাক্যে সার্বক্ষণিকভাবে উৎসর্গ করে থাকে। তাদের সার্বক্ষণিক সময় দ্বীনি মেহনতে ব্যয় করার কারণে নিজেদের ভরণ-পোষণের জন্য কাজ-কর্ম করার সুযোগ থাকে না। আল্লাহ বলেন, "দান ও সদকা এমন অভাবগ্রস্তদের প্রাপ্য,যারা আল্লাহর পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে জীবিকার সন্ধানে ঘোরা ফেরা করতে পারে না, তারা কিছু চায় না বলে অবিবেচক ব্যক্তিরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। কিন্তু তুমি তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবে। তারা মানুষের কাছে ব্যাকুলভাবে কিছু চায় না। তোমরা যা কিছু দান কর,আল্লাহ তা জানেন।" ( সুরা বাকারাহ আয়াত -২৭৩)।আসহাবে সুফফার অন্তর্গত কোনো কোনো সাহাবি জ্ঞানসাধনার পাশাপাশি অবসর সময়ে পানি সরবরাহ করে কিংবা কাঠ বিক্রি করে কিছু আয়-উপার্জনের চেষ্টা করতেন। অর্জিত অর্থ দিয়ে খাবার ক্রয় করে নিজেও খেতেন অন্য ভাইকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করতেন। আবার অনেক সময় তাদের উপোসও থাকতে হতো।হযরত ফাদ্বালাহ ইবনে উবাইদ (রা) থেকে বর্ণিত,  রাসূলুল্লাহ (সা) যখন লোকদের নামাজ পড়াতেন, তখন কিছু লোক ক্ষুধার কারণে (দুর্বলতায়) পড়ে যেতেন, আর তাঁরা ছিলেন আহলে সুফ্ফাহ। এমনকি মরুবাসী বেদুঈনরা বলত, এরা পাগল।’ একদা যখন রাসূলুল্লাহ (সা) নামাজ সেরে তাদের দিকে মুখ ফিরালেন, তখন বললেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে তোমরা এর চাইতেও অভাব ও দারিদ্র্য পছন্দ করতে।’ (তিরমিযি-২৩৬৮, আহমদ -২৩৪২০)।মদিনায় হিজরত করার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বিশিষ্ট সাহাবি হযরত মুসআব ইবনে উমায়ের (রা.) কে শিক্ষক ও ইসলাম প্রচারক হিসেবে মদিনায় পাঠিয়ে সেখানে জ্ঞানচর্চার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেন। কিন্তু হিজরত-পরবর্তী সময়ে এখানে আবাসিক শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠিত হলে সুফফায় অবস্থানকারী সাহাবিদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণদানের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রখ্যাত সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সাঈদ ইবনে আস (রা.)কে সুফফার প্রশিক্ষক নিযুক্ত করেন। হযরত উবাদাহ ইবনে সামিতও সুফফার অন্যতম প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি আসহাবে সুফফাকে কোরআন এবং দ্বীনের অন্যান্য বুনিয়াদি বিষয় শিক্ষা দিতেন। সুফফায় আগত শিক্ষার্থীরা অক্ষরজ্ঞান থেকে শুরু করে কোরআন, তাজবিদ, ফিকহ, আকাইদ এবং জ্ঞানের অন্যান্য শাখার ব্যুৎপত্তি অর্জনের চেষ্টা করতেন। আর রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবনযাপন পদ্ধতি কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করে তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতেন।সুফফা মাদরাসার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন  রাসুলুল্লাহ (সা.)। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে উচ্চতর শিক্ষাদান ও শাস্ত্রজ্ঞ সৃষ্টির দায়িত্ব পালন করতেন। 
 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...